ভুতুড়ে বিলের কবলে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা

উপজেলা প্রতিনিধি, গোপালপুর (টাঙ্গাইল)
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৫, ১৮: ০৬
আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২৫, ১৯: ০৩

ভুতুড়ে বিলের কবলে গোপালপুরের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগ তুলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ময়মনসিংহ পিবিএস-১ এর গোপালপুর জোনাল শাখার গ্রাহকরা।

টাঙ্গাইল গোপালপুর উপজেলা সর্ব পশ্চিমে যমুনা নদী তীরবর্তী গ্রাম সোনামুই ও পূর্ববর্তী মধুপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী নারায়ণপুর গ্রামের গ্রাহকরা অভিযোগ করে বলেছেন , মিটারে ব্যবহৃত ইউনিটের চেয়ে ৫০-২০০ ইউনিট বেশি বিল করা হচ্ছে। মিটার না দেখে অনুমান করেই বিল করা হচ্ছে। এ কারনে তারা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন, অন্যথায় জরিমানা দিতে হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১-৭৫ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারে ভ্যাট ব্যতীত ৫.২৬ টাকা বিল ও ৭৬-২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারে অতিরিক্ত ৭.২০ টাকা হারে বিদ্যুৎ বিল করা হয়। এতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল দিতেও বাধ্য হতে হয়।

ধোপাকান্দি ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা তাওফিক আহমেদ বলেন, ৮ তারিখে ৬৬৩০ ইউনিট রিডিং লেখা হয়েছে, অথচ আজকে ৩০ তারিখে মিটারে রিডিং আছে ৬৫৭৫ ইউনিট। তার অভিযোগ, অতিরিক্ত ইউনিটের ব্যাপারে অফিসকে অবগত করলে, তারা পরের মাসে সমন্বয় করবে বলেও সমন্বয় করেন না। আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মিটারে বেশি রিডিং লেখা হয়েছে। তারা মিটার না দেখেই এমন ভূতুড়ে বিল বানাচ্ছে।

সোনামুই মধ্যপাড়া জামে মসজিদের সদস্য বিপ্লব খান বলেন, আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মিটারেই অতিরিক্ত রিডিং লেখা হয়েছে। আমাদের মসজিদে মিটারে আজকে পর্যন্ত ১৬৮৬ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করা হয়েছে, অথচ ২০ দিন আগে বিল করা হয়েছে ১৭২০ ইউনিট। এভাবে বাড়তি বিলের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া বন্ধ করা না হলে আমরা গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ গড়ে তুলব।

গোপালপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. দেলোয়ার হোসাইন বলেন, রিডিং লেখতে ভুল হতেও পারে, এরকম গ্রাহক যদি আসে কেউ তদন্ত করে আমরা সেটা ঠিক করে দিচ্ছি। গত নয় দিনে ১২-১৪টির মতো ঠিক করেছি। আমার এখানে ৭৫ হাজার গ্রাহক অথচ লোকবল সীমিত। কতজন গ্রাহকের এমন ভুল হয়েছে তার কোনো তথ্য নেই। না দেখে রিডিং করার অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা রিডিং দেখতে ফিল্ডে লোক পাঠাই।

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত