নড়াইলের যুবককে সৌদিতে আটকে মুক্তিপণ দাবি, আদালতে মামলা

জেলা প্রতিনিধি, নড়াইল
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ১৬
ছেলের আর্তনাদ শুনছেন অসহায় বাবা-মা। ইনসার্টে শিমুল শেখ

নড়াইলে সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারি চক্রের প্রলোভনে সৌদি আরব গিয়ে আটকে পড়েছেন এক যুবক। অভিযোগ উঠেছে, ওই চক্র তাকে আটকে রেখে নির্যাতন চালাচ্ছে এবং পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করছে। এরই মধ্যে ভুক্তভোগী পরিবার সহায়-সম্বল বিক্রি ও ধারদেনায় জড়িয়ে বিপুল অর্থ পাচারকারিদের হাতে তুলে দিয়েছে। সর্বশেষ আদালতের শরণাপন্ন হলে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী গ্রামের খোরশেদ মোল্যার ছেলে খায়রুল ইসলাম (৩৩) ও তার ভাই শরিফুল ইসলাম (২৫) একই গ্রামের হতদরিদ্র জাফর শেখের পরিবারকে উন্নত জীবনের লোভ দেখান। তারা জাফরের ছেলে শিমুল শেখকে সৌদি পাঠানোর প্রস্তাব দেন। পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে ভালো বেতন ও সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে গেল মে মাসে শিমুলকে সৌদি আরব পাঠানো হয়।

কিন্তু সৌদি পৌঁছেই ভেঙে যায় স্বপ্ন। অভিযোগে বলা হয়েছে, শিমুলকে কাজ না দিয়ে আটকে রাখা হয়, অকথ্য শারীরিক নির্যাতন চালানো হয় এবং ফোনে তার পরিবারকে আরো তিন লাখ টাকা পাঠাতে বলা হয়। টাকা না দিলে দেশে ফেরানো হবে না বলে জানায় পাচারকারিরা। নিরুপায় হয়ে শিমুলের মা পারভিন বেগম ২২ সেপ্টেম্বর মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে তিনি সুস্থ শরীরে ছেলেকে দেশে ফেরার অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন।

অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, ‘গ্রাম্য বিরোধের কারণেই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। শিমুল একটি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি গেছে। আমরা কাউকে পাঠাইনি, টাকা নেইনি, মুক্তিপণ দাবিও করিনি। বরং শিমুল যে কোম্পানিতে গিয়েছিল সেখান থেকে পালিয়ে অন্যত্র গিয়ে কাজ করছে।’


মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যশোর পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মহিদুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানানো যাবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত