উপজেলা প্রতিনিধি, মোংলা (বাগেরহাট)
দীর্ঘ তিন মাসের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। এর ফলে মোংলা উপজেলার বিভিন্ন জেলেপাড়ায় আবারও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত এখন নৌকা মেরামত, জাল সেলাই এবং মাছ ধরার সরঞ্জাম গোছানোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। তবে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সরকারি সহায়তা নিয়ে তাদের মনে চাপা ক্ষোভ রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় জেলেরা এখন নতুন আশায় বুক বেঁধেছেন। তবে মাছ ধরার সময় সীমিত হওয়ায় লগ্নিকৃত অর্থ পুনরুদ্ধার নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন তারা। অনেকেই ধারদেনা করে নৌকা ও জাল মেরামত করেছেন। পর্যাপ্ত মাছ না পেলে আবারও আর্থিক সংকটে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
চিলা ইউনিয়নের একজন জেলে জানান, “ঋণ করে জাল মেরেছি, নৌকা ঠিক করেছি। সামনে যদি যথেষ্ট মাছ না পাই, তাহলে সংসার চালানোই মুশকিল হবে।”
এদিকে জেলেরা অভিযোগ করেছেন যে, নিষেধাজ্ঞার সময়ে সরকার যে চাল বরাদ্দ করেছিল, তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল ছিল। নিবন্ধিত জেলেদের প্রতি মাসে ৮৬ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবারের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। অনেক নিবন্ধিত জেলে কার্ড থাকা সত্ত্বেও চাল পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। এর ফলে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে অথবা ধারদেনা করে দিন কাটাতে হয়েছে।
একজন জেলে বলেন, “আমরা তিন মাস মাছ ধরতে পারিনি। সরকার চাল দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেই চাল দিয়ে আমাদের মতো বড় পরিবার চলে না। ধারদেনা করে চলতে হয়েছে।”
তাদের অভিযোগ, কিছু এলাকায় অনিয়মের কারণে প্রকৃত জেলেরা অনুদান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, অথচ কিছু অযোগ্য ব্যক্তি সেই চাল পেয়েছেন।
তবে সব কষ্ট ও অনিশ্চয়তা ভুলে তারা আবারও সমুদ্রের দিকে ছুটছেন। জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়েই তারা বঙ্গোপসাগরের দিকে পাড়ি জমাচ্ছেন। স্থানীয়রা বলছেন, জেলেপাড়ায় এখন উৎসবমুখর পরিবেশ, কারণ তিন মাসের দীর্ঘ বিরতির পর আবারও নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখছেন জেলেরা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো মনে করে, চাল সহায়তা বণ্টন ব্যবস্থা আরও সুষ্ঠু করা গেলে জেলেদের কষ্ট অনেকটাই কমে আসবে। পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞার সময়ে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা গেলে তাদের আর্থিক সংকট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
তবে সবকিছুর পরও জেলেরা আশা করছেন, নতুন মৌসুমে সমুদ্র তাদের হতাশ করবে না। যথেষ্ট মাছ পেলে তারা দুঃখ-কষ্ট ভুলে আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন।
দীর্ঘ তিন মাসের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। এর ফলে মোংলা উপজেলার বিভিন্ন জেলেপাড়ায় আবারও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত এখন নৌকা মেরামত, জাল সেলাই এবং মাছ ধরার সরঞ্জাম গোছানোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। তবে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সরকারি সহায়তা নিয়ে তাদের মনে চাপা ক্ষোভ রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় জেলেরা এখন নতুন আশায় বুক বেঁধেছেন। তবে মাছ ধরার সময় সীমিত হওয়ায় লগ্নিকৃত অর্থ পুনরুদ্ধার নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন তারা। অনেকেই ধারদেনা করে নৌকা ও জাল মেরামত করেছেন। পর্যাপ্ত মাছ না পেলে আবারও আর্থিক সংকটে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
চিলা ইউনিয়নের একজন জেলে জানান, “ঋণ করে জাল মেরেছি, নৌকা ঠিক করেছি। সামনে যদি যথেষ্ট মাছ না পাই, তাহলে সংসার চালানোই মুশকিল হবে।”
এদিকে জেলেরা অভিযোগ করেছেন যে, নিষেধাজ্ঞার সময়ে সরকার যে চাল বরাদ্দ করেছিল, তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল ছিল। নিবন্ধিত জেলেদের প্রতি মাসে ৮৬ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবারের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। অনেক নিবন্ধিত জেলে কার্ড থাকা সত্ত্বেও চাল পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। এর ফলে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে অথবা ধারদেনা করে দিন কাটাতে হয়েছে।
একজন জেলে বলেন, “আমরা তিন মাস মাছ ধরতে পারিনি। সরকার চাল দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেই চাল দিয়ে আমাদের মতো বড় পরিবার চলে না। ধারদেনা করে চলতে হয়েছে।”
তাদের অভিযোগ, কিছু এলাকায় অনিয়মের কারণে প্রকৃত জেলেরা অনুদান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, অথচ কিছু অযোগ্য ব্যক্তি সেই চাল পেয়েছেন।
তবে সব কষ্ট ও অনিশ্চয়তা ভুলে তারা আবারও সমুদ্রের দিকে ছুটছেন। জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়েই তারা বঙ্গোপসাগরের দিকে পাড়ি জমাচ্ছেন। স্থানীয়রা বলছেন, জেলেপাড়ায় এখন উৎসবমুখর পরিবেশ, কারণ তিন মাসের দীর্ঘ বিরতির পর আবারও নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখছেন জেলেরা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো মনে করে, চাল সহায়তা বণ্টন ব্যবস্থা আরও সুষ্ঠু করা গেলে জেলেদের কষ্ট অনেকটাই কমে আসবে। পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞার সময়ে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা গেলে তাদের আর্থিক সংকট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
তবে সবকিছুর পরও জেলেরা আশা করছেন, নতুন মৌসুমে সমুদ্র তাদের হতাশ করবে না। যথেষ্ট মাছ পেলে তারা দুঃখ-কষ্ট ভুলে আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন।
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় পলাতক দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
৪২ মিনিট আগেপরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে শামসুদ্দিন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ৬৪১৪৬০। ১৯৩৯ থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুরো ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এ যোদ্ধা।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভেতরে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সাবেক নেতা। ঘটনার পর তাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক মো. রায়হান হাটহাজারি কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি।
১ ঘণ্টা আগেসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেরা ইলিশ মাছ ধরতে আসে তা জানার পরই সাথে সাথে কোস্টগার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা চাই দেশের মানুষ ইলিশ খাবে সাগরে যেন কেউ চুরি করে মাছ ধরতে না পারে সেজন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে