যশোরে বাড়িতে ঢুকে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩

যশোরে চঞ্চল মাহমুদ নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার বাবা মধু গাজী, মা হাসিনা বেগম এবং ভাই তুহিন গাজীও হামলায় আহত হন। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে যশোর সদর উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয়রা জানান, ইজিবাইক চুরি নিয়ে সৃষ্ট গোলযোগের সূত্র ধরে চিহ্নিত একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

পুলিশ এই ঘটনায় সন্ত্রাসী ও স্থানীয় কথিত চোর সিন্ডিকেটের প্রধানসহ তিনজনকে আটক করেছে। তারা হলেন- সিন্ডিকেটপ্রধান রবিউল ইসলাম, চক্রের সদস্য বিল্লাল হোসেন ও মুন্না।

এলাকাবাসী জানান, ডাকাতিয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী সকাল ১০টার দিকে মধু গাজীর বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে। বাড়ির লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা মধু গাজীর বড় ছেলে চঞ্চল মাহমুদকে কোপাতে শুরু করে।

চিৎকার শুনে মা, বাবা ও ছোট ভাই চঞ্চলকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদেরও এলোপাতাড়ি কোপায়। আক্রান্তদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

এলাকাবাসী গুরুতর অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চঞ্চল মাহমুদকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বাবা মধু গাজীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক তাহমিদ হাসান।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সম্প্রতি চঞ্চল মাহমুদের একটি ইজিবাইক চুরি হয়। চঞ্চল, তার পরিবার ও স্থানীয়দের ধারণা, বাইকটি রবিউলের সিন্ডিকেট চুরি করেছে। সে কারণে লোকমারফত রবিউলের কাছে বাইকটি ফেরত চান চঞ্চল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রবিউল ও তার অনুসারীরা গতকাল চঞ্চলকে কুপিয়ে হত্যা ও তার মা-বাবা-ভাইকে খুনের চেষ্টা করে।

যশোর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ামাত্র এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাহিনীপ্রধান রবিউল ও তার দুই সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। অন্যদেরও আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।