জীবনযুদ্ধে অনবদ্য এক ‘মা’ও তার দুই সন্তানের সংগ্রামী জীবন চলছেই। গোয়ালে গরু নেই, হাতে নেই টাকা, তবুও জমিতে ধানের চারা আগাম রোপণ করতে হবে। না হলে হয়তো সারা বছর অনাহারে থাকতে হবে। তাই নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন লাঙ্গল-জোয়াল, কষ্ট-ক্লান্তি করে কোনোভাবে এক বিঘা জমি চাষ করতে পারলেই কিছুটা স্বস্তি মিলবে।
আর এ কারণেই ছেলেদের নিয়ে লাঙ্গল- জোয়াল হাতে নিয়েছি। অনেক মানুষ দেখেছি কষ্টের মধ্যে দিয়ে সুখের নাগাল পায়, কিন্তু আমার পরিবারে সুখ আছে কিনা তা ভগবানই জানে।
সুখ থাকলে কি বাচ্চা ছেলেদের নিয়ে হাল চাষ করতে হয় ?। ওদের বাবা অসুস্থ; দুই ছেলের মধ্যে সুধাংশু বাড়ৈ (১৮) ও সজল বাড়ৈ (১৫)। এরা স্থানীয় চরবানিয়ারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে। পরিবারের টানা পোড়েন আর অর্থাভাবে দুই ছেলেকে পড়ালেখা করাতে কষ্ট হয়। কেউ কিছু সহায়তা করলে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।
নাম না জানিয়েই জীবনের এমন করুণ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেছেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চর বানিয়ারি ইউনিয়নের উমোজুড়ি গ্রামের আশুতোষ মন্ডলের স্ত্রী (৪৫)। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ‘আমার দেশ’- প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
স্থানীয় কমলেশ চক্রবত্তী বলেন, আশুতোষ এর পরিবারকে নিয়ে আমরা গর্বকরি। তাদের দুই ছেলে রয়েছে, অভাবের কারনে এক বিঘা জমি চাষাবাদ করতে যে টাকা লাগে অনেক সময় সেটা জোগাড় করা তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। অপর দিকে স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুইছেলে পড়ালেখা করে। তাদেরকে খরচ চালাতে কষ্ট হয়। পরিবারটির সহযোগিতার জন্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

