
আহসান কবীর, যশোর

ভূমি নিয়ে কাজ করে সেটেলমেন্ট অফিস। অথচ এই দপ্তরটি যশোরে নিজেদের জোনাল অফিসের বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য ভূমি মেলাতে পারেনি এক যুগেও! আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, সিভিল সার্জনের বাংলো ও পুলিশ সুপারের অফিসের একাংশের মালিক ভূমির আকালে থাকা যশোর সেটেলমেন্ট অফিস।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশের ১৯টি পুরোনো জেলায় জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের কার্যক্রম চলে প্রধানত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। ২০১২ সালের জুন মাসে এসব জেলায় জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের নিজস্ব বহুতল ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়।
প্রতিটি অফিস ভবন নির্মাণের জন্য প্রায় আধা একর করে ভূমির দরকার হবে বলে ২০১৩ সালে গণপূর্ত অধিদপ্তর জানায়। এর প্রায় এক যুগ পরও যশোর, ফরিদপুর, পটুয়াখালী, বগুড়া, দিনাজপুর ও জামালপুর জেলায় জমি মেলেনি। ফলে এসব জেলায় অফিসের নিজস্ব ভবন নির্মাণের কোনো অগ্রগতিও হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যশোরে সেটেলমেন্ট অফিসের নামে অন্তত দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমি সরকারের অন্য দপ্তরের দখলে রয়েছে। এর মধ্যে শহরের পুরাতন কসবায় ২ দশমিক ০২ একরের বিশাল আয়তনের জমিটি রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের দখলে। সেখানে অনেক আগে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন বাংলোয় জেলার সিভিল সার্জন বসবাস করেন।
নথিপত্র বলছে, তৎকালীন ‘পূর্ববাংলা প্রদেশের’ সিএস খতিয়ানের ১৩৯০ নম্বর কুঠিবাড়িটি জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারের বাসভবন। কিন্তু কীভাবে এটি স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে গেল, তা এক রহস্য।
এ বিষয়ে যশোরের জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার জাকির হোসেন বলেন, সেটেলমেন্ট অফিস যখন জেলা প্রশাসকের অধীনে ছিল, তখন হয়তো সরকারি এই ভূমি স্বাস্থ্য বিভাগের ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুদ রানা তার সরকারি বাসভবনটি সেটেলমেন্টের জায়গায় অবস্থিত বলে স্বীকার করেন। তবে কীভাবে সেটেলমেন্টের জায়গায় সিভিল সার্জন বসবাস করেনÑএ প্রশ্নের উত্তর তার কাছে নেই। আমার দেশ-এর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেটেলমেন্ট কর্তৃপক্ষ যদি ভূমিটি নিজেদের দখলে নিতে চায়, তাহলে মন্ত্রণালয়কে জানাব। সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
সরকারি নথিপত্রে দেখা যায়, যশোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের একাংশের (দুই একর) ভূমির মালিকও তখনকার ভারত সম্রাটের পক্ষে সেটেলমেন্ট ডিপার্টমেন্ট। সম্প্রতি পুলিশ সুপারের নতুন কার্যালয় নির্মিত হয়েছে। তবে পুরোনো ভবনটিতে এখনো জেলা পুলিশের কাজকর্ম চলছে।
প্রাচীন নথিপত্র অনুযায়ী, ‘যশোর জেলার ইমাদপুর পরগনার যশোহর মৌজার জেএল ৮০ নম্বর ভূমিটি ভারত সম্রাটের পক্ষে সেটেলমেন্ট ডিপার্টমেন্টের যশোর অফিসের জন্য ‘অ্যাকোয়ার্ড’ করা হয়। কিন্তু ব্রিটিশ আমল থেকে ওই স্থানে যশোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয় অবস্থিত।
যশোর জেলা পুলিশের প্রধান হিসেবে গত মার্চে নিযুক্ত হন রওনক জাহান। স্বাভাবিকভাবেই ভূমি-সংক্রান্ত কোনো জটিলতা আছে কি না, তা তিনি জানেন না। এ বিষয়ে তিনি জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই আলম সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই আলম পুলিশ সুপারের অফিসের একাংশ যে সেটেলমেন্টের জমির ওপর স্থাপিতÑএমন কথা এই প্রথম শুনলেন। তিনি আমার দেশকে বলেন, সেটেলমেন্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কী কাগজপত্র আছে, তা আমাদের জানা নেই। তাছাড়া সম্প্রতি প্রাচীন এই ভবনটির সংস্কারকাজও শুরু করেছে পুলিশ বিভাগ।’
জেলা পুলিশের মুখপাত্রের স্পষ্ট মত, চাইলেই তো কাউকে পুলিশের কার্যালয়ের স্থানে ভবন নির্মাণ করতে দেওয়া যায় না। যদি জমি নিয়ে কোনো বিরোধ থাকে, তাহলে তা আন্তঃমন্ত্রণালয় যোগাযোগের মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।
এদিকে, যশোর সদরের এসি ল্যান্ডের কার্যালয় ও পৌর ভূমি অফিস যে স্থানে অবস্থিত, সেটি একসময় নড়াইলের জমিদারের কাছারি ছিল। শহরের লোন অফিসপাড়ার প্রায় এক একরের এই জমিসহ স্থাপনাটি আজও ‘নড়াইল কাছারি’ নামে পরিচিত। ‘নড়াইল কাছারিতে’ প্রায় এক একর জমি রয়েছে। সেখানে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস নির্মাণের জন্য আধা একর জমি বরাদ্দের নির্দেশনা চেয়ে ২০১২ সালের ৩ জুলাই যশোরের তখনকার জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজুর রহমান ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল বারিক স্বাক্ষরিত চিঠিতে দেখা যায়, এ বিষয়টিও চূড়ান্ত হয়নি। সাবেক জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান পরবর্তীতে ভূমি সচিবও হয়েছিলেন। কিন্তু তখনো এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
অন্যদিকে, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস নির্মাণের জন্য আরেকটি সম্ভাব্য স্থান যশোর কালেক্টরেট চত্বরের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের জমি। এ জমির (৮০ নম্বর যশোহর মৌজার এসএ ১ নম্বর খতিয়ানের ৮১ নম্বর দাগের হাল জরিপ ১ নম্বর খতিয়ানের ২৬৮ নম্বর দাগের ৭ দশমিক ৭৩৭৫) মধ্যে আধা একর জায়গা চেয়ে যশোরের তখনকার জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার দিলীপ কুমার বণিক ২০১৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসককে চিঠি দেন।
এই স্থানটিতে নির্মিত একটি টিনশেডে দীর্ঘদিন ভূমি অফিসের কার্যক্রম চলছে। এখানেই কালেক্টরেট ক্লাব ও তার সামনে কর্মচারীদের খেলাধুলার জায়গা। এই স্থানে ১০ তলা ভবন নির্মিত হলে কর্মচারীদের বিনোদনের স্থান থাকবে না। পাশেই অবস্থিত অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীর কালেক্টরেট ভবনের সৌন্দর্যও নষ্ট হবে। সে কারণে কোনো জেলা প্রশাসকই এ প্রস্তাবে রাজি হননি।
কর্তৃপক্ষ এই চারটি স্থান পরিদর্শন, জরিপসহ সম্ভাব্যতা যাচাই করে দীর্ঘদিনেও কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।
যোগাযোগ করা হলে যশোরের জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার জাকির হোসেন আমার দেশকে বলেন, প্রকল্পটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। নিশ্চয়ই ভূমি পাওয়া যাবে এবং ভবনও নির্মিত হবে। এক যুগেও কোনো প্রকল্প কীভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে থাকেÑএমন প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি সেটেলমেন্ট অফিসার।
এ বিষয়ে যশোরের বর্তমান জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, ডিসি অফিস চত্বরে নতুন করে ১০ তলা ভবন নির্মিত হলে কালেক্টরেট ভবনের নান্দনিকতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সে কারণে এখানে বহুতল ভবন নির্মাণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বরং সরকারি কোনো অব্যবহৃত জায়গা থাকলে সেখানে ভবন নির্মাণে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ভূমি নিয়ে কাজ করে সেটেলমেন্ট অফিস। অথচ এই দপ্তরটি যশোরে নিজেদের জোনাল অফিসের বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য ভূমি মেলাতে পারেনি এক যুগেও! আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, সিভিল সার্জনের বাংলো ও পুলিশ সুপারের অফিসের একাংশের মালিক ভূমির আকালে থাকা যশোর সেটেলমেন্ট অফিস।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশের ১৯টি পুরোনো জেলায় জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের কার্যক্রম চলে প্রধানত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। ২০১২ সালের জুন মাসে এসব জেলায় জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের নিজস্ব বহুতল ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়।
প্রতিটি অফিস ভবন নির্মাণের জন্য প্রায় আধা একর করে ভূমির দরকার হবে বলে ২০১৩ সালে গণপূর্ত অধিদপ্তর জানায়। এর প্রায় এক যুগ পরও যশোর, ফরিদপুর, পটুয়াখালী, বগুড়া, দিনাজপুর ও জামালপুর জেলায় জমি মেলেনি। ফলে এসব জেলায় অফিসের নিজস্ব ভবন নির্মাণের কোনো অগ্রগতিও হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যশোরে সেটেলমেন্ট অফিসের নামে অন্তত দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমি সরকারের অন্য দপ্তরের দখলে রয়েছে। এর মধ্যে শহরের পুরাতন কসবায় ২ দশমিক ০২ একরের বিশাল আয়তনের জমিটি রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের দখলে। সেখানে অনেক আগে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন বাংলোয় জেলার সিভিল সার্জন বসবাস করেন।
নথিপত্র বলছে, তৎকালীন ‘পূর্ববাংলা প্রদেশের’ সিএস খতিয়ানের ১৩৯০ নম্বর কুঠিবাড়িটি জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারের বাসভবন। কিন্তু কীভাবে এটি স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে গেল, তা এক রহস্য।
এ বিষয়ে যশোরের জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার জাকির হোসেন বলেন, সেটেলমেন্ট অফিস যখন জেলা প্রশাসকের অধীনে ছিল, তখন হয়তো সরকারি এই ভূমি স্বাস্থ্য বিভাগের ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুদ রানা তার সরকারি বাসভবনটি সেটেলমেন্টের জায়গায় অবস্থিত বলে স্বীকার করেন। তবে কীভাবে সেটেলমেন্টের জায়গায় সিভিল সার্জন বসবাস করেনÑএ প্রশ্নের উত্তর তার কাছে নেই। আমার দেশ-এর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেটেলমেন্ট কর্তৃপক্ষ যদি ভূমিটি নিজেদের দখলে নিতে চায়, তাহলে মন্ত্রণালয়কে জানাব। সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
সরকারি নথিপত্রে দেখা যায়, যশোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের একাংশের (দুই একর) ভূমির মালিকও তখনকার ভারত সম্রাটের পক্ষে সেটেলমেন্ট ডিপার্টমেন্ট। সম্প্রতি পুলিশ সুপারের নতুন কার্যালয় নির্মিত হয়েছে। তবে পুরোনো ভবনটিতে এখনো জেলা পুলিশের কাজকর্ম চলছে।
প্রাচীন নথিপত্র অনুযায়ী, ‘যশোর জেলার ইমাদপুর পরগনার যশোহর মৌজার জেএল ৮০ নম্বর ভূমিটি ভারত সম্রাটের পক্ষে সেটেলমেন্ট ডিপার্টমেন্টের যশোর অফিসের জন্য ‘অ্যাকোয়ার্ড’ করা হয়। কিন্তু ব্রিটিশ আমল থেকে ওই স্থানে যশোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয় অবস্থিত।
যশোর জেলা পুলিশের প্রধান হিসেবে গত মার্চে নিযুক্ত হন রওনক জাহান। স্বাভাবিকভাবেই ভূমি-সংক্রান্ত কোনো জটিলতা আছে কি না, তা তিনি জানেন না। এ বিষয়ে তিনি জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই আলম সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই আলম পুলিশ সুপারের অফিসের একাংশ যে সেটেলমেন্টের জমির ওপর স্থাপিতÑএমন কথা এই প্রথম শুনলেন। তিনি আমার দেশকে বলেন, সেটেলমেন্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কী কাগজপত্র আছে, তা আমাদের জানা নেই। তাছাড়া সম্প্রতি প্রাচীন এই ভবনটির সংস্কারকাজও শুরু করেছে পুলিশ বিভাগ।’
জেলা পুলিশের মুখপাত্রের স্পষ্ট মত, চাইলেই তো কাউকে পুলিশের কার্যালয়ের স্থানে ভবন নির্মাণ করতে দেওয়া যায় না। যদি জমি নিয়ে কোনো বিরোধ থাকে, তাহলে তা আন্তঃমন্ত্রণালয় যোগাযোগের মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।
এদিকে, যশোর সদরের এসি ল্যান্ডের কার্যালয় ও পৌর ভূমি অফিস যে স্থানে অবস্থিত, সেটি একসময় নড়াইলের জমিদারের কাছারি ছিল। শহরের লোন অফিসপাড়ার প্রায় এক একরের এই জমিসহ স্থাপনাটি আজও ‘নড়াইল কাছারি’ নামে পরিচিত। ‘নড়াইল কাছারিতে’ প্রায় এক একর জমি রয়েছে। সেখানে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস নির্মাণের জন্য আধা একর জমি বরাদ্দের নির্দেশনা চেয়ে ২০১২ সালের ৩ জুলাই যশোরের তখনকার জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজুর রহমান ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল বারিক স্বাক্ষরিত চিঠিতে দেখা যায়, এ বিষয়টিও চূড়ান্ত হয়নি। সাবেক জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান পরবর্তীতে ভূমি সচিবও হয়েছিলেন। কিন্তু তখনো এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
অন্যদিকে, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস নির্মাণের জন্য আরেকটি সম্ভাব্য স্থান যশোর কালেক্টরেট চত্বরের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের জমি। এ জমির (৮০ নম্বর যশোহর মৌজার এসএ ১ নম্বর খতিয়ানের ৮১ নম্বর দাগের হাল জরিপ ১ নম্বর খতিয়ানের ২৬৮ নম্বর দাগের ৭ দশমিক ৭৩৭৫) মধ্যে আধা একর জায়গা চেয়ে যশোরের তখনকার জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার দিলীপ কুমার বণিক ২০১৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসককে চিঠি দেন।
এই স্থানটিতে নির্মিত একটি টিনশেডে দীর্ঘদিন ভূমি অফিসের কার্যক্রম চলছে। এখানেই কালেক্টরেট ক্লাব ও তার সামনে কর্মচারীদের খেলাধুলার জায়গা। এই স্থানে ১০ তলা ভবন নির্মিত হলে কর্মচারীদের বিনোদনের স্থান থাকবে না। পাশেই অবস্থিত অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীর কালেক্টরেট ভবনের সৌন্দর্যও নষ্ট হবে। সে কারণে কোনো জেলা প্রশাসকই এ প্রস্তাবে রাজি হননি।
কর্তৃপক্ষ এই চারটি স্থান পরিদর্শন, জরিপসহ সম্ভাব্যতা যাচাই করে দীর্ঘদিনেও কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।
যোগাযোগ করা হলে যশোরের জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার জাকির হোসেন আমার দেশকে বলেন, প্রকল্পটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। নিশ্চয়ই ভূমি পাওয়া যাবে এবং ভবনও নির্মিত হবে। এক যুগেও কোনো প্রকল্প কীভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে থাকেÑএমন প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি সেটেলমেন্ট অফিসার।
এ বিষয়ে যশোরের বর্তমান জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, ডিসি অফিস চত্বরে নতুন করে ১০ তলা ভবন নির্মিত হলে কালেক্টরেট ভবনের নান্দনিকতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সে কারণে এখানে বহুতল ভবন নির্মাণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বরং সরকারি কোনো অব্যবহৃত জায়গা থাকলে সেখানে ভবন নির্মাণে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

নওগাঁর মান্দায় ট্রাক-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মহাসড়কের ওপর টর্চলাইট জ্বালিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে,এম হারুন অর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকসহ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহি কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কিমিটির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নূর আলমের নাম রয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
নিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
৭ ঘণ্টা আগে