ময়মনসিংহের হরিনাদী এমদাদিয়া ফাজিল মাদরাসা
আব্দুল কাইয়ুম, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের ফুলপুরের হরিনাদী এমদাদিয়া ফাজিল মাদরাসাটি একসময় সুপরিচিত ছিল এলাকার শিক্ষার আলোকবর্তিকা হিসেবে । তবে বর্তমান অধ্যক্ষের মারাত্মক অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলার কারণে প্রতিষ্ঠানটি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
অধ্যক্ষ মো. আতাউল্লাহ ফকিরের বিরুদ্ধে রয়েছে অবৈধ নিয়োগ, যোগ্যতার ঘাটতি, অর্থ আত্মসাৎ ও প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচারিতার ভয়াবহ অভিযোগ। তার অবৈধ নিয়োগ, অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষক ও স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিলেও তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আতাউল্লাহ ফকির ১৯৮৭ সালে দাখিলে দ্বিতীয় বিভাগ এবং ১৯৮৯ সালে আলিমে তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। এরপর ১৯৯১ সালে মহিষারকান্দি নি.ম. উলুম দাখিল মাদরাসায় সহকারী জুনিয়র মৌলভি পদে নিয়োগ পান এবং জালিয়াতি করে একই বছর জুনিয়র মৌলভি পদে এমপিওভুক্ত হন।
পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে ফাজিলে তৃতীয় বিভাগ এবং ১৯৯৪ সালে দ্বিতীয় বিভাগে কামিল পাস করেন। কিন্তু ১৯৯৫ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষকের যে কোনো পদে নিয়োগ পেতে হলে প্রতিটি পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ থাকতে হবে। তৃতীয় বিভাগ থাকলে তাকে অযোগ্য ধরা হবে। সে হিসেবে আতাউল্লাহ ফকির সরাসরি অযোগ্য হয়েছিলেন।
এদিকে এমপিও নীতিমালার শর্ত সাময়িক স্থগিত হলে আতাউল্লাহ ফকির ১৯৯৬ সালে নান্দাইলের নন-এমপিও আচারগাঁও ইসলামিয়া আলিম মাদরাসায় আরবি প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। কিন্তু ২০০০ সালে এমপিও নীতিমালার শর্ত পুনর্বহাল হলে তিনি আবারও স্থায়ীভাবে অযোগ্য হয়ে যান।
এমন অযোগ্যতার পরও ২০০১ সালের ১ জুলাই নান্দাইলের রাজাপুর ফাজিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ পদে বসেন তিনি । যদিও এই পদে বসার জন্য অবশ্যই সব পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগ থাকা এবং ফাজিল-কামিল মাদরাসায় প্রভাষক পদে ছয় বছরের অভিজ্ঞতা থাকা আবশ্যক ছিল।
আতাউল্লাহ ফকিরের একাধিক পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ এবং ফাজিল-কামিল মাদরাসায় প্রভাষক পদে অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও তিনি অবৈধভাবে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পান এবং দুই দশক সেই পদে থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত এমপিও বাবদ বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করেন।
পরবর্তীতে উপাধ্যক্ষ পদের অভিজ্ঞতা সনদ দেখিয়ে তিনি ২০২১ সালের ২১ মার্চ আওয়ামী দাপটে ফুলপুরের হরিনাদী এমদাদিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ পদে বসেন। একই বছরের নভেম্বরে তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে চতুর্থ গ্রেডে এমপিওভুক্ত হন, যা শিক্ষা প্রশাসনের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। তাতে বিদ্যমান এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রভাষক-সহকারী অধ্যাপক পদে ন্যূনতম ১২ বছর এবং উপাধ্যক্ষ পদে তিন বছরের অভিজ্ঞতার কথা ছিল।
কিন্তু আতাউল্লাহ ফকিরের প্রভাষক বা সহকারী অধ্যাপক পদে কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। তাছাড়া আলিম ও ফাজিলে তৃতীয় বিভাগ থাকায় তিনি আদৌ এ পদে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য ছিলেন না। অথচ মাদরাসা শিক্ষকদের আওয়ামীপন্থি সংগঠনের প্রভাব ও স্থানীয় এমপি, সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমদের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের দাপটে অধ্যক্ষ পদে বসেন।
এলাকায় সে সময় কেউ মুখ খোলার সাহস না পেলেও এখন তার দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের মধ্যে রয়েছে সভাপতির অনুমোদন ছাড়াই তিনি ব্যাংক থেকে লাখ লাখ টাকা উত্তোলন, শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ তহবিল ও সঞ্চয়পত্রের জমাকৃত অর্থ আত্মসাৎ এবং শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া।
এছাড়াও রয়েছে মাদরাসার গাছপালা বিক্রি করে সেই অর্থ আত্মসাৎ, দাতা সদস্যকে মৃত দেখিয়ে ভুয়া অ্যাডহক কমিটি গঠন করে নিয়োগবাণিজ্য।
মাদরাসার প্রশাসনিক ক্ষেত্রেও অধ্যক্ষের একনায়কতন্ত্র চলছে। মাদরাসায় গভর্নিং বডি গঠন না করে তিনি এককভাবে সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। মতের বাইরে থাকা শিক্ষকরা বারবার হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সহকারী অধ্যাপক ইব্রাহীম খলিল জানান, অধ্যক্ষ মাদরাসায় কোনো কমিটি রাখতে চান না এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব চাইলে অসুস্থতার অজুহাত দেন।
মাদরাসার অফিস সহকারীর দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক আবু তাহের অভিযোগ করে বলেন, মাদরাসার সব ডকুমেন্টসহ রেজুলেশন বই নিজের বাসায় নিয়ে গেছেন অধ্যক্ষ।
মাদরাসার জমিদাতা আব্দুছ সোবহান বলেন, ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর মানুষ ভেবেছিল পরিবর্তন আসবে। কিন্তু অধ্যক্ষ আতাউল্লাহর অনিয়মের কারণে মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রমের মানোন্নয়ন না হয়ে বরং প্রশাসনিক দ্বন্দ্ব ও অনিয়ম বেড়েছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক পরিবেশ ভেঙে পড়েছে।
অভিযোগের সত্যতা যাছাইয়ে এই প্রতিবেদক সরেজমিনে গেলে অধ্যক্ষ আতাউল্লাহ ফকির বলেন, তিনি অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে তার দায় নিয়োগকর্তাদের। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রসিদ ছাড়া টাকা আদায় এবং মাদরাসার রেজুলেশন বইসহ সব কাগজপত্র তার বাসায় রাখাসহ জীবিত দাতা সদস্য আব্দুল কাদিরকে মৃত দেখিয়ে বিভিন্ন কাজ করার কথা স্বীকার করেন আতাউল্লাহ ফকির।
এ ব্যাপারে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম সীমা বলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে আমাকে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন। শিগগির বিষয়গুলো দেখা হবে।
তবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) লুৎফুন নাহারকে সরকারি নম্বরে বারবার কল দিলেও পাওয়া যায়নি।
হরিনাদী এমদাদিয়া ফাজিল মাদরাসার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মতে, আতাউল্লাহ ফকিরের অপসারণ এখন সময়ের দাবি। তার অবৈধ নিয়োগ ও দুর্নীতির কারণে যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ হতে দীর্ঘ সময় লাগবে। প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়াই এর একমাত্র সমাধান।
ময়মনসিংহের ফুলপুরের হরিনাদী এমদাদিয়া ফাজিল মাদরাসাটি একসময় সুপরিচিত ছিল এলাকার শিক্ষার আলোকবর্তিকা হিসেবে । তবে বর্তমান অধ্যক্ষের মারাত্মক অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলার কারণে প্রতিষ্ঠানটি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
অধ্যক্ষ মো. আতাউল্লাহ ফকিরের বিরুদ্ধে রয়েছে অবৈধ নিয়োগ, যোগ্যতার ঘাটতি, অর্থ আত্মসাৎ ও প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচারিতার ভয়াবহ অভিযোগ। তার অবৈধ নিয়োগ, অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষক ও স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিলেও তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আতাউল্লাহ ফকির ১৯৮৭ সালে দাখিলে দ্বিতীয় বিভাগ এবং ১৯৮৯ সালে আলিমে তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। এরপর ১৯৯১ সালে মহিষারকান্দি নি.ম. উলুম দাখিল মাদরাসায় সহকারী জুনিয়র মৌলভি পদে নিয়োগ পান এবং জালিয়াতি করে একই বছর জুনিয়র মৌলভি পদে এমপিওভুক্ত হন।
পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে ফাজিলে তৃতীয় বিভাগ এবং ১৯৯৪ সালে দ্বিতীয় বিভাগে কামিল পাস করেন। কিন্তু ১৯৯৫ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষকের যে কোনো পদে নিয়োগ পেতে হলে প্রতিটি পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ থাকতে হবে। তৃতীয় বিভাগ থাকলে তাকে অযোগ্য ধরা হবে। সে হিসেবে আতাউল্লাহ ফকির সরাসরি অযোগ্য হয়েছিলেন।
এদিকে এমপিও নীতিমালার শর্ত সাময়িক স্থগিত হলে আতাউল্লাহ ফকির ১৯৯৬ সালে নান্দাইলের নন-এমপিও আচারগাঁও ইসলামিয়া আলিম মাদরাসায় আরবি প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। কিন্তু ২০০০ সালে এমপিও নীতিমালার শর্ত পুনর্বহাল হলে তিনি আবারও স্থায়ীভাবে অযোগ্য হয়ে যান।
এমন অযোগ্যতার পরও ২০০১ সালের ১ জুলাই নান্দাইলের রাজাপুর ফাজিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ পদে বসেন তিনি । যদিও এই পদে বসার জন্য অবশ্যই সব পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগ থাকা এবং ফাজিল-কামিল মাদরাসায় প্রভাষক পদে ছয় বছরের অভিজ্ঞতা থাকা আবশ্যক ছিল।
আতাউল্লাহ ফকিরের একাধিক পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ এবং ফাজিল-কামিল মাদরাসায় প্রভাষক পদে অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও তিনি অবৈধভাবে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পান এবং দুই দশক সেই পদে থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত এমপিও বাবদ বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করেন।
পরবর্তীতে উপাধ্যক্ষ পদের অভিজ্ঞতা সনদ দেখিয়ে তিনি ২০২১ সালের ২১ মার্চ আওয়ামী দাপটে ফুলপুরের হরিনাদী এমদাদিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ পদে বসেন। একই বছরের নভেম্বরে তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে চতুর্থ গ্রেডে এমপিওভুক্ত হন, যা শিক্ষা প্রশাসনের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। তাতে বিদ্যমান এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রভাষক-সহকারী অধ্যাপক পদে ন্যূনতম ১২ বছর এবং উপাধ্যক্ষ পদে তিন বছরের অভিজ্ঞতার কথা ছিল।
কিন্তু আতাউল্লাহ ফকিরের প্রভাষক বা সহকারী অধ্যাপক পদে কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। তাছাড়া আলিম ও ফাজিলে তৃতীয় বিভাগ থাকায় তিনি আদৌ এ পদে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য ছিলেন না। অথচ মাদরাসা শিক্ষকদের আওয়ামীপন্থি সংগঠনের প্রভাব ও স্থানীয় এমপি, সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমদের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের দাপটে অধ্যক্ষ পদে বসেন।
এলাকায় সে সময় কেউ মুখ খোলার সাহস না পেলেও এখন তার দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের মধ্যে রয়েছে সভাপতির অনুমোদন ছাড়াই তিনি ব্যাংক থেকে লাখ লাখ টাকা উত্তোলন, শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ তহবিল ও সঞ্চয়পত্রের জমাকৃত অর্থ আত্মসাৎ এবং শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া।
এছাড়াও রয়েছে মাদরাসার গাছপালা বিক্রি করে সেই অর্থ আত্মসাৎ, দাতা সদস্যকে মৃত দেখিয়ে ভুয়া অ্যাডহক কমিটি গঠন করে নিয়োগবাণিজ্য।
মাদরাসার প্রশাসনিক ক্ষেত্রেও অধ্যক্ষের একনায়কতন্ত্র চলছে। মাদরাসায় গভর্নিং বডি গঠন না করে তিনি এককভাবে সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। মতের বাইরে থাকা শিক্ষকরা বারবার হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সহকারী অধ্যাপক ইব্রাহীম খলিল জানান, অধ্যক্ষ মাদরাসায় কোনো কমিটি রাখতে চান না এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব চাইলে অসুস্থতার অজুহাত দেন।
মাদরাসার অফিস সহকারীর দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক আবু তাহের অভিযোগ করে বলেন, মাদরাসার সব ডকুমেন্টসহ রেজুলেশন বই নিজের বাসায় নিয়ে গেছেন অধ্যক্ষ।
মাদরাসার জমিদাতা আব্দুছ সোবহান বলেন, ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর মানুষ ভেবেছিল পরিবর্তন আসবে। কিন্তু অধ্যক্ষ আতাউল্লাহর অনিয়মের কারণে মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রমের মানোন্নয়ন না হয়ে বরং প্রশাসনিক দ্বন্দ্ব ও অনিয়ম বেড়েছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক পরিবেশ ভেঙে পড়েছে।
অভিযোগের সত্যতা যাছাইয়ে এই প্রতিবেদক সরেজমিনে গেলে অধ্যক্ষ আতাউল্লাহ ফকির বলেন, তিনি অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে তার দায় নিয়োগকর্তাদের। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রসিদ ছাড়া টাকা আদায় এবং মাদরাসার রেজুলেশন বইসহ সব কাগজপত্র তার বাসায় রাখাসহ জীবিত দাতা সদস্য আব্দুল কাদিরকে মৃত দেখিয়ে বিভিন্ন কাজ করার কথা স্বীকার করেন আতাউল্লাহ ফকির।
এ ব্যাপারে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম সীমা বলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে আমাকে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন। শিগগির বিষয়গুলো দেখা হবে।
তবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) লুৎফুন নাহারকে সরকারি নম্বরে বারবার কল দিলেও পাওয়া যায়নি।
হরিনাদী এমদাদিয়া ফাজিল মাদরাসার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মতে, আতাউল্লাহ ফকিরের অপসারণ এখন সময়ের দাবি। তার অবৈধ নিয়োগ ও দুর্নীতির কারণে যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ হতে দীর্ঘ সময় লাগবে। প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়াই এর একমাত্র সমাধান।
নিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
১৩ মিনিট আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
৩২ মিনিট আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
১ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হলে বর্তমান সরকার আর কোনো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারবে না। সে কারণে দ্রুত পিডি নিয়োগ করে নভেম্বরেই কাজ শুরু করতে হবে। সেটি করা না হলে সারা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে চীন টাকা না দিলেও নিজের টাকা দিয়ে কাজ শুরুর দাবি জানান তারা।
২ ঘণ্টা আগে