নেত্রকোণায় ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচণা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

জেলা প্রতিনিধি, নেত্রকোণা
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৬: ৪৮
আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৬: ৫০

নেত্রকোণায় চাঞ্চল্যকর শিশু পান্নাকে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচণা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একই সাথে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও একলাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বিজ্ঞাপন

সোমবার দুপুরে আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ ডক্টর এ কে এম এমদাদুল হক।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৭ সনের ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঠাকুরাকোনা রেলের পাশে থাকা রিকশা চালক লালচান মিয়ার ১৪ বছরের শিশু কন্যা পান্নাকে ডেকে নিয়ে পাশের মাছের ফিশারি খামারের ঘরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরিবার সদস্যরা খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে খামার থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসলে আসামিরা পরিবারটিকে বিষয়টি ধামাচাপার জন্য হুমকি দিয়ে আসে। পরদিন সকালে শিশু পান্নার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পাশের আরেকটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে।

এ ঘটনায় পান্নার মা বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করলেও আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়। পরে দাফন করতে বাধ্য হয়।

এ ঘটনায় আদালতের মাধ্যমে ঐ বছরের ১০ সেপ্টেম্বর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের পর পুনরায় লাশ দাফন করা হয়। পরবর্তীতে এঘটনায় তিন অভিযুক্ত অপু, মামুন ও সুলতান মিয়াকে আটক করে পুলিশ।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) নূরুল কবীর রুবেল জানান, ১৮ সনের ৫ এপ্রিল পুলিশ চূড়ান্ত চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ নয় বছর পর ১৬ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক উক্ত রায় দেয়। রায় ঘোষণাকালে তিন জন আসামিই উপস্থিত ছিলেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত