জামালপুর জেলা কারাগারে থুথু ফেলাকে কেন্দ্র করে দুই হাজতির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মো. পাগলা হযরত (২৫) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হাজতি পাগলা হযরত। বিষয়টি জামালপুর জেলা কারাগারের জেলার লিপি রানী সাহা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মো. পাগলা হযরত জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চেংটিমারি গ্রামের মো. ইমান হোসেনের ছেলে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা কারাগারের ভেতরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তিনি বকশীগঞ্জ থানার একটি মামলার আসামি ছিলেন। অপর হাজতি মো. রহিদুর মিয়া (৪০) বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালপুরের বালুরগাঁও গ্রামের মৃত ছামিউল হকের ছেলে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা কারাগারের ভেতরে কাশি ও থুথু ফেলাকে কেন্দ্র করে পাগলা হযরতের সঙ্গে অপর হাজতি রহিদুর মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হাজতি রহিদুর মিয়া একটি কাঠ দিয়ে পাগলা হযরতের মাথায় পরপর বেশ কয়েকবার আঘাত করে। এতে পাগলা হযরত গুরুতর আহত হন। পরে কারাগার কর্তৃপক্ষ পাগলা হযরতকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুক্রবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হাজতি পাগলা হযরত।
জামালপুর জেলা কারাগারের জেলার লিপি রানী সাহা জানান, হাজতি পাগলা হযরতের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। অপর হাজতি রহিদুর মিয়া জামালপুর কারাগারে আছেন। এ ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

