নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী, কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরা সদস্য ও নওগাঁ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ইঞ্জিনিয়ার মো. এনামুল হকের নেতৃত্বে প্রায় ১০ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রা করে শোডাউন করা হয়েছে।
র্যালি চলাকালে তিনি দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে ভোট চান। একই সঙ্গে জামায়াতের সমর্থনে বিভিন্ন স্লোগান দেন কর্মীরা।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার পর থেকে পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন পর্যায়ের জামায়াত সমর্থক নেতাকর্মীরা নজিপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও নজিপুর পাবলিক মাঠে সমবেত হন। পরে সমাবেশে সকাল ৯টায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মো. এনামুল হক, উপজেলা জামায়াতের নেতা ডা. সামসুল আলম, জামায়াতের নেতা ডা. আবু ওবায়দা, পত্নীতলা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মো. হাবিবুর রহমান, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও নওগাঁ জেলা যুব বিভাগের সভাপতি মো. মারুফ আহম্মেদ, পত্নীতলা উপজেলার শাখার আমির মাওলানা মো আব্দুল মকিম, পত্নীতলা উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. হারুনুর রশিদ, নজিপুর পৌর জামায়াতের আমির মোফাচ্ছেল হোসেন, ঘোষনগর ইউনিয়ন পরিষদের জামায়াত মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাবেক উপজেলা শিবির সভাপতি আখতার ফারুক প্রমুখ।
বক্তব্য শেষে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মোটরসাইকেল র্যালিটি শুরু হয়। নজিপুর পৌর এলাকার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সড়ক দিয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে ধামইরহাট উপজেলা সদর ও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষে আগ্রাদ্বিগুন-পত্নীতলা উপজেলায় মধইল বাজার প্রদক্ষিণ করে আবার নজিপুর পাবলিক মাঠ ও নজিপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গিয়ে র্যালি শেষ হয়।
কর্মসূচিতে দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। তাদের হাতে ছিল দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ও দলীয় এবং বাংলাদেশের পতাকা।
এ সময় ছাদখোলা গাড়ি থেকে সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।
তিনি বলেন, “এই আসনের প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে।
আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লার বিজয়ের মাধ্যমে বিগত সময়ের অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করে নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) দেশের একটি মডেল আসন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে।”
পত্নীতলা উপজেলা সোস্যাল মিডিয়া সেক্রেটারি মো. আমানুল্লাহ জানান, 'আমাদের উপজেলায় আজকের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় ৫ হাজারের বেশি বাইক অংশ নেয়। প্রায় ১৫ হাজার নেতাকর্মীর স্বতঃস্ফূর্ত মিলনমেলায় পরিণত করেছে এই আয়োজন। কর্মসূচিতে শৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী ও মেডিকেল টিম এবং মোটরসাইকেল মেরামতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'ধামইরহাট উপজেলায় আরও ৫ হাজার মোটরসাইকেল আমাদের শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন। এতে এই আসনে আজকের কর্মসূচিতে প্রায় ২২ হাজার জামায়াতের নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশগ্রহণ করেন।'

