আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

এনসিপি জান্নাত আরা রুমীর দাফন সম্পন্ন

উপজেলা প্রতিনিধি, পত্নীতলা (নওগাঁ)

এনসিপি জান্নাত আরা রুমীর দাফন সম্পন্ন

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেত্রী জান্নাত আরা রুমীর দাফনকাজ সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা সদর নজিপুর সরকারি কবরস্থানে জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়। এসময় রুমীর পরিবার, আত্মীয় স্বজনের সাথে বন্ধুবান্ধব ও স্থানীয় এলাকাবাসী এবং ২৪’র বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহযোদ্ধারা জানাযায় অংশ নেয়।

এর আগে রাজধানীর ঢাকা থেকে লাশবাহী রুমীর লাশ একটি অ্যাম্বুলেন্সে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২ টার দিকে নজিপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে।

বিজ্ঞাপন

২৪’র গণ-আন্দোলনে প্রথমে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন অতঃপর হাসিনা সরকারের পতনের পক্ষে জীবনবাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন জান্নাত আরা রুমী (৩০)।

তৎকালীন নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা সদর নজিপুর পৌর এলাকায় স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রথম সারির মিছিলের নজির স্থাপন করেছিলেন ‘জুলাই কন্যা’ খ্যাত জান্নাত রুমী। এরপর এনসিপি দলে যুক্ত হন সে।

স্বপ্ন ছিল দেশপ্রেমের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে দেশের জন্য কাজ করার। কিন্তু, বিধিবাম! রাজধানীর হাজারীবাগের জিগাতলা পুরাতন গণ-আন্দোলনে রোডের একটি ছাত্রী হোস্টেলের জীবনবাজি থেকে বৃহস্পতিবার সকালে জান্নাত আরার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এমন ‘রহস্যময় মৃত্যু’ খবরটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) এ ছড়িয়ে পড়লে নওগাঁ জেলা তথা জান্নাত আরার জন্মস্থান পত্নীতলা উপজেলায় শোকের মাতম পড়ে যায়।

জানা যায়, জান্নাত আরা রুমি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ধানমন্ডি থানার সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন।

আরও জানা যায়, রুমী নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলা সদর নজিপুর পৌর এলাকার বাসস্ট্যান্ডে পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। তার বাবার নাম জাকির হোসেন ও মা নুরজাহান বেগম।

জান্নাতের সহপাঠীরা জানায়, ‘জান্নাত রুমী ২০১২ সালে এসএসসি পাস করে ও এইচএসসি ২০১৪ সালে নজিপুর সরকারি কলেজ থেকে উত্তীর্ণ হন। এরপর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নার্সিং ডিপ্লোমা ভর্তি হন। পরবর্তী সময়ে বৈবাহিক সম্পর্ক জড়িয়ে ধরে একটি পুত্র সন্তানের মা হন। সন্তানের বয়স বর্তমানে প্রায় ৪ বৎসর। গত ক’মাস পূর্বে স্বামীকে তালাক দেন জান্নাত রুমী। এরপর এনসিপিতে যোগদান করে ঢাকায় অবস্থান করছে। এর আগে স্থানীয় নজিপুর বাসস্ট্যান্ডে বেসরকারি হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন।’

পত্নীতলা উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তৎকালীন সময়ের নেতা মারুফ মোস্তফা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সদস্য রুহুল আমীন, মাসুদ রানা, সুমাইয়া জান্নাতসহ অনেকেই এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ‘জান্নাত আরা আর নেই! ভাবতেই অবাক লাগে। স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের পতনের প্রথম সারির মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন জান্নাত রুমী। এমন অকাল মৃত্যুতে আমরা সবাই গভীর শোকাহত।’

তারা আরও দাবি করে- ‘জান্নাতের মৃত্যুরহস্য’ উদঘাটন করার দাবি জানাই। সেই সাথে যদি কোনো ব্যক্তি বা কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত পরিচয় জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা ত্যাগী তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্ব দানকারী একজন নেত্রীকে হারালাম।’

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর

খুঁজুন