আরিফুল ইসলাম, সাঁথিয়া (পাবনা)
দেশের প্রচলিত আইন অমান্য করে সাঁথিয়া উপজেলায় কৃষিজমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হচ্ছে। জমির উপরিভাগের মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়। রাতের আঁধারে কৃষিজমিতে খনন করা হচ্ছে পুকুর। প্রতিবছর কৃষিজমির বড় একটি অংশ চলে যাচ্ছে বাণিজ্যিক পুকুর খননে। মাছ চাষে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষিজমিতে পুকুর খনন করছেন মালিকরা। আর এই লাভজনক ব্যবসায় যুক্ত আছেন নিজ নিজ এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।
জানা যায়, জমির উপরিভাগের মাটি কেটে নেওয়ায় দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতায় কমতে শুরু করেছে ফসল উৎপাদন। ফসলি জমির মাটি কেটে বাণিজ্যিকভাবে পুকুরে পরিণত হয়েছে। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে জমির মাটি কাটা হচ্ছে এক্সকাভেটরে । পরে ট্রাকে করে মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে ইটভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায়।
কাশিনাথপুর, করমজা, ক্ষেতুপাড়া, নন্দনপুর, আতাইকুলা, ভুলবাড়ীয়া, ধুলাউড়িসহ উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে কৃষিজমি কেটে বাণিজ্যিক পুকুর খনন করা হয়েছে। এর মধ্যে নন্দনপুর ও ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি পুকুর খনন করা হয়েছে। পুকুর খননের কারণে আশপাশের জমি ভাঙনের মুখে পড়েছে। তা ছাড়া মাটিবোঝাই ট্রাক চলাচল করায় সড়কগুলোতে খানাখন্দের সৃষ্টি হচ্ছে।
বেড়া-মাধপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের দুপাশে দেখা যায়, কৃষিজমিতে শত শত পুকুর খনন করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। মাছের উৎপাদন বাড়ায় সাফল্য হিসেবে দেখছে মৎস্য বিভাগ। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, বাণিজ্যিক এসব পুকুর খনন করা হয়েছে আবাদি জমিতেই। অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননে জলাবদ্ধতায় প্রতিবছরই ফসলহানি হচ্ছে। চাপ বাড়ছে খাদ্যনিরাপত্তা ও পরিবেশের ওপর। কয়েক বছর ধরেই এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে ফসলি জমিতে পুকুর খননের মহোৎসব চলছে।
অভিযোগ উঠেছে, পুকুর খনন বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই বললেই চলে। বিভিন্ন এলাকায় কিছু কিছু অসাধু ব্যক্তি আবাদি জমিতে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে ভেকু মেশিন দিয়ে চলছে পুকুর খননের মহোৎসব। এতে কমছে কৃষিজমি, বাড়ছে কৃষিশ্রমিকের বেকারত্ব। ভেঙে পড়ছে গ্রামীণ নিরাপত্তাবেষ্টনী। এর ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শ্রেণি পরিবর্তন করে আবাদযোগ্য জমিতে পুকুর খননের সুযোগ নেই আইনে। তারপরও একশ্রেণির অসাধু ব্যক্তি নানা কৌশলে পুকুর খনন করে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিল ও নিচু এলাকাগুলো অনাবাদি কিংবা এক ফসলি দেখিয়ে পুকুর খনন করছে তারা।
সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, কয়েক বছরে পুকুরের কারণে অনেক ধানিজমি কমেছে । পাঁচ বছরে আমাদের অফিস থেকে পুকুর খননের কোনো ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি । তবে সরকারি নির্দেশনা থাকার পরও অবৈধভাবে পুকুরগুলো গড়ে উঠছে। উপজেলার মধ্যে কিছু অনাবাদি জমি ছিল, এগুলো আবাদযোগ্য করা হয়েছে। এরপরও পাঁচ বছর আগে আবাদি জমির পরিমাণ ছিল ২৭ হাজার ৪২৫ হেক্টর, বর্তমানে ২৭ হাজার ৪০১ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে।
সাঁথিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামছুর রহমান বলেন, কয়েক বছর ধরে সাঁথিয়া উপজেলায় মাছের চাষ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। মাছ চাষ করে অনেক বেকার যুবক স্বাবলম্বী হচ্ছেন। মাছ চাষের জন্য চাষিদের নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। ফলে এ উপজেলায় এখন মাছ উদ্বৃত্ত থাকছে, যা দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করা হচ্ছে।
পুকুর খনন বিষয়ে জানতে চাইলে সাঁথিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সাদিয়া সুলতানা বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে পুকুর খনন করা যাবে না। এ বিষয়ে অভিযান চলমান আছে। ইতোমধ্যে অনেককে জরিমানাসহ আইনের আওতায় আনা হয়েছে।’
দেশের প্রচলিত আইন অমান্য করে সাঁথিয়া উপজেলায় কৃষিজমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হচ্ছে। জমির উপরিভাগের মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়। রাতের আঁধারে কৃষিজমিতে খনন করা হচ্ছে পুকুর। প্রতিবছর কৃষিজমির বড় একটি অংশ চলে যাচ্ছে বাণিজ্যিক পুকুর খননে। মাছ চাষে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষিজমিতে পুকুর খনন করছেন মালিকরা। আর এই লাভজনক ব্যবসায় যুক্ত আছেন নিজ নিজ এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।
জানা যায়, জমির উপরিভাগের মাটি কেটে নেওয়ায় দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতায় কমতে শুরু করেছে ফসল উৎপাদন। ফসলি জমির মাটি কেটে বাণিজ্যিকভাবে পুকুরে পরিণত হয়েছে। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে জমির মাটি কাটা হচ্ছে এক্সকাভেটরে । পরে ট্রাকে করে মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে ইটভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায়।
কাশিনাথপুর, করমজা, ক্ষেতুপাড়া, নন্দনপুর, আতাইকুলা, ভুলবাড়ীয়া, ধুলাউড়িসহ উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে কৃষিজমি কেটে বাণিজ্যিক পুকুর খনন করা হয়েছে। এর মধ্যে নন্দনপুর ও ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি পুকুর খনন করা হয়েছে। পুকুর খননের কারণে আশপাশের জমি ভাঙনের মুখে পড়েছে। তা ছাড়া মাটিবোঝাই ট্রাক চলাচল করায় সড়কগুলোতে খানাখন্দের সৃষ্টি হচ্ছে।
বেড়া-মাধপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের দুপাশে দেখা যায়, কৃষিজমিতে শত শত পুকুর খনন করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। মাছের উৎপাদন বাড়ায় সাফল্য হিসেবে দেখছে মৎস্য বিভাগ। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, বাণিজ্যিক এসব পুকুর খনন করা হয়েছে আবাদি জমিতেই। অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননে জলাবদ্ধতায় প্রতিবছরই ফসলহানি হচ্ছে। চাপ বাড়ছে খাদ্যনিরাপত্তা ও পরিবেশের ওপর। কয়েক বছর ধরেই এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে ফসলি জমিতে পুকুর খননের মহোৎসব চলছে।
অভিযোগ উঠেছে, পুকুর খনন বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই বললেই চলে। বিভিন্ন এলাকায় কিছু কিছু অসাধু ব্যক্তি আবাদি জমিতে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে ভেকু মেশিন দিয়ে চলছে পুকুর খননের মহোৎসব। এতে কমছে কৃষিজমি, বাড়ছে কৃষিশ্রমিকের বেকারত্ব। ভেঙে পড়ছে গ্রামীণ নিরাপত্তাবেষ্টনী। এর ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শ্রেণি পরিবর্তন করে আবাদযোগ্য জমিতে পুকুর খননের সুযোগ নেই আইনে। তারপরও একশ্রেণির অসাধু ব্যক্তি নানা কৌশলে পুকুর খনন করে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিল ও নিচু এলাকাগুলো অনাবাদি কিংবা এক ফসলি দেখিয়ে পুকুর খনন করছে তারা।
সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, কয়েক বছরে পুকুরের কারণে অনেক ধানিজমি কমেছে । পাঁচ বছরে আমাদের অফিস থেকে পুকুর খননের কোনো ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি । তবে সরকারি নির্দেশনা থাকার পরও অবৈধভাবে পুকুরগুলো গড়ে উঠছে। উপজেলার মধ্যে কিছু অনাবাদি জমি ছিল, এগুলো আবাদযোগ্য করা হয়েছে। এরপরও পাঁচ বছর আগে আবাদি জমির পরিমাণ ছিল ২৭ হাজার ৪২৫ হেক্টর, বর্তমানে ২৭ হাজার ৪০১ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে।
সাঁথিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামছুর রহমান বলেন, কয়েক বছর ধরে সাঁথিয়া উপজেলায় মাছের চাষ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। মাছ চাষ করে অনেক বেকার যুবক স্বাবলম্বী হচ্ছেন। মাছ চাষের জন্য চাষিদের নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। ফলে এ উপজেলায় এখন মাছ উদ্বৃত্ত থাকছে, যা দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করা হচ্ছে।
পুকুর খনন বিষয়ে জানতে চাইলে সাঁথিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সাদিয়া সুলতানা বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে পুকুর খনন করা যাবে না। এ বিষয়ে অভিযান চলমান আছে। ইতোমধ্যে অনেককে জরিমানাসহ আইনের আওতায় আনা হয়েছে।’
মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে,এম হারুন অর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকসহ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহি কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কিমিটির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নূর আলমের নাম রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
২ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
২ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
৩ ঘণ্টা আগে