স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া
বগুড়ায় জুলাই-আগস্ট শহীদ শহীদ রাতুল, শহীদ শিমুল ও শহীদ সিয়ামের সমাধি পাকাকরণের কাজ শুরু হয়েছে, যা তদারকি করছে বগুড়া জেলা পরিষদ। তবে কাজটি ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী ঠিকাদারের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ায় শহীদদের স্বজনদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
গত ২০ জুলাই বগুড়া জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী মো. মোহায়েদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত দরপত্র কার্যাদেশে জুলাই ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে বগুড়া জেলার ১৫ জন শহীদের মধ্যে পাঁচ বীর শহীদ যোদ্ধার সমাধি পাকাকরণের কার্যাদেশ জারি হয়। প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় পাঁচ লাখ টাকা।
কাজ শুরুর তারিখ নির্ধারিত হয় ২২ জুলাই এবং সমাপ্তির সময় ৩ আগস্ট।
বগুড়া শহরের উপকন্ঠে নামাজগড় আঞ্জুমানে কবরস্থানে তিন শহীদের সমাধি রয়েছে। তারা হলেন শহীদ রাতুল, শহীদ শিমুল এবং শহীদ সিয়াম। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সমাধি নির্মাণে ব্যবহার করা ইট সরকারি মান অনুযায়ী নয়। সরকারি নির্দেশে এক নম্বর মানের ইট ব্যবহারের কথা থাকলেও নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। এতে শহীদদের স্বজনরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে গাবতলী উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের শহীদ শাকিলের সমাধির কাজ একটি মাস আগে শেষ হলেও ঠিকাদার এখনও কাজ সম্পূর্ণ করেননি। শহীদ শাকিলের বাবা, দিনমজুর মোখলেছার রহমান অভিযোগ করেন, ‘আমার বেটা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে, কিন্তু তার কবর ঠিকভাবে ফিনিশিং করা হয়নি। মাথার উপর নাম ফলকও লাগানো হয়নি। আমরা ইট ধুয়ে নিজেই পরিষ্কার করেছি।’
নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা ব্যবহার করা ১০ মিলি রড, ইট, বালু ও সিমেন্টের মিশ্রণ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বগুড়ার জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানান।
শহীদ পরিবারের সদস্য উজ্জ্বল হোসেন মাস্টার বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, শহীদদের কবর নিয়েও বানিজ্য হচ্ছে। নিম্নমানের ইট ও কম মিলির রড ব্যবহার করা হচ্ছে।’
সাবেক সমন্বয়ক সাকিব খান বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী ঠিকাদার কিভাবে জুলাই শহীদদের সমাধি নির্মাণের কাজ পেয়েছেন, তা আমাদের বোধগম্য নয়। কাজের জন্য উপযুক্ত ঠিকাদার নির্বাচন করা উচিত ছিল।”
বগুড়া জেলা মহিলাদলের নেত্রী বলেন, ‘যাদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা ফ্যাসিস্টকে তাড়িয়ে দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন করেছি, তাদের সমাধি নির্মাণে অনিয়ম মেনে নেওয়া যাবে না। আশা করি জেলা প্রশাসক বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এইচ ইঞ্জিনিয়ারিং-এর কর্ণধার হাসিবুর রহমান রাসেল বলেন, ‘ইটের মান নিয়ে আমি সরাসরি দেখিনি, এটি আমার ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিল। তবে আমি তাকে নির্দেশ দিয়েছি উপকরণগুলো মানসম্মত হতে হবে।’
জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী মো. মোহায়েদুল ইসলাম বলেন, ‘শহীদদের সমাধি নির্মাণে কোনরূপ অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।’
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মো. শাহনেওয়াজ বলেন, ‘এটি একটি জাতীয় প্রকল্প। ইতিমধ্যেই অভিযোগ আমরা পেয়েছি এবং ঠিকাদারকে সতর্ক করা হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া সকল নিয়ম নীতি মেনে সম্পন্ন হয়েছে।’
বগুড়ায় জুলাই-আগস্ট শহীদ শহীদ রাতুল, শহীদ শিমুল ও শহীদ সিয়ামের সমাধি পাকাকরণের কাজ শুরু হয়েছে, যা তদারকি করছে বগুড়া জেলা পরিষদ। তবে কাজটি ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী ঠিকাদারের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ায় শহীদদের স্বজনদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
গত ২০ জুলাই বগুড়া জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী মো. মোহায়েদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত দরপত্র কার্যাদেশে জুলাই ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে বগুড়া জেলার ১৫ জন শহীদের মধ্যে পাঁচ বীর শহীদ যোদ্ধার সমাধি পাকাকরণের কার্যাদেশ জারি হয়। প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় পাঁচ লাখ টাকা।
কাজ শুরুর তারিখ নির্ধারিত হয় ২২ জুলাই এবং সমাপ্তির সময় ৩ আগস্ট।
বগুড়া শহরের উপকন্ঠে নামাজগড় আঞ্জুমানে কবরস্থানে তিন শহীদের সমাধি রয়েছে। তারা হলেন শহীদ রাতুল, শহীদ শিমুল এবং শহীদ সিয়াম। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সমাধি নির্মাণে ব্যবহার করা ইট সরকারি মান অনুযায়ী নয়। সরকারি নির্দেশে এক নম্বর মানের ইট ব্যবহারের কথা থাকলেও নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। এতে শহীদদের স্বজনরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে গাবতলী উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের শহীদ শাকিলের সমাধির কাজ একটি মাস আগে শেষ হলেও ঠিকাদার এখনও কাজ সম্পূর্ণ করেননি। শহীদ শাকিলের বাবা, দিনমজুর মোখলেছার রহমান অভিযোগ করেন, ‘আমার বেটা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে, কিন্তু তার কবর ঠিকভাবে ফিনিশিং করা হয়নি। মাথার উপর নাম ফলকও লাগানো হয়নি। আমরা ইট ধুয়ে নিজেই পরিষ্কার করেছি।’
নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা ব্যবহার করা ১০ মিলি রড, ইট, বালু ও সিমেন্টের মিশ্রণ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বগুড়ার জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানান।
শহীদ পরিবারের সদস্য উজ্জ্বল হোসেন মাস্টার বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, শহীদদের কবর নিয়েও বানিজ্য হচ্ছে। নিম্নমানের ইট ও কম মিলির রড ব্যবহার করা হচ্ছে।’
সাবেক সমন্বয়ক সাকিব খান বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী ঠিকাদার কিভাবে জুলাই শহীদদের সমাধি নির্মাণের কাজ পেয়েছেন, তা আমাদের বোধগম্য নয়। কাজের জন্য উপযুক্ত ঠিকাদার নির্বাচন করা উচিত ছিল।”
বগুড়া জেলা মহিলাদলের নেত্রী বলেন, ‘যাদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা ফ্যাসিস্টকে তাড়িয়ে দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন করেছি, তাদের সমাধি নির্মাণে অনিয়ম মেনে নেওয়া যাবে না। আশা করি জেলা প্রশাসক বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এইচ ইঞ্জিনিয়ারিং-এর কর্ণধার হাসিবুর রহমান রাসেল বলেন, ‘ইটের মান নিয়ে আমি সরাসরি দেখিনি, এটি আমার ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিল। তবে আমি তাকে নির্দেশ দিয়েছি উপকরণগুলো মানসম্মত হতে হবে।’
জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী মো. মোহায়েদুল ইসলাম বলেন, ‘শহীদদের সমাধি নির্মাণে কোনরূপ অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।’
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মো. শাহনেওয়াজ বলেন, ‘এটি একটি জাতীয় প্রকল্প। ইতিমধ্যেই অভিযোগ আমরা পেয়েছি এবং ঠিকাদারকে সতর্ক করা হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া সকল নিয়ম নীতি মেনে সম্পন্ন হয়েছে।’
কক্সবাজারে গভীর সমুদ্রে পাচারের মুহূর্তে ২৯ জনকে উদ্ধার করেছে বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়ন। এ সময় তিন মানবপাচারকারিকে আটক করা হয়েছে। বুধবার মেরিন ড্রাইভের রাজারছড়া এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। বিজিবির টেকনাফস্থ ২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৬ মিনিট আগেএ সময় অসাবধানতাবশত তার শরীরে সার্ভিস তার স্পর্শ করলে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
১৫ মিনিট আগেবুধবার ভোর রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ২৩০ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। তিনি ওই এলাকার বারকোনা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।
২৮ মিনিট আগেমঙ্গলবার রাতে ১২টার দিকে তিনটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ধাওয়া করে। এসময় চালসহ একটি অটোরিকশা জব্দ করলেও বাকি দুটি রিকশা দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়।
৩৪ মিনিট আগে