বগুড়ার ধুনটে সাবেক এমপি জিএম সিরাজের গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও যুবদল নেতার ওপর ককটেল হামলার অভিযোগে করা পৃথক দু’টি মামলায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ৪ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার মানিকপোটল গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ুব আলী ওরফে নবির উদ্দিন (৪০), চিথুলিয়া গ্রামের রওশন আলীর ছেলে গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম লুলু (৪৫), বিলকাজুলী গ্রামের ধীরেন চন্দ্রনাথের ছেলে ধুনট ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রফুল্ল চন্দ্র সরকার (৬০) ও নাংলু গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে নিমগাছি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইবনে সউদ (৪০)।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাদের বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরআগে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ধুনট শহরে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মশাল মিছিল করতে থাকে। এ সময় যুবদল নেতা রিপন সেখ ও তার লোকজন তাদের বাঁধা দেয়। তখন মশাল মিছিলকারীরা যুবদল নেতার ওপর ককটেল হামলা চালায়। এ ঘটনায় ১৯ ফেব্রুয়ারি ধুনট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চরপাড়া গ্রামের রিপন সেখ বাদি হয়ে ৯৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা প্রফুল্ল চন্দ্র সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মাদ সিরাজ ২০১৮ সালের ১১ ডিসেম্বর গণসংযোগকালে ধুনট শহরের কলাপট্টী এলাকায় পৌঁছান। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ককটেল হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহীন বাদি হয়ে ৪৪ নেতাকর্মীর নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আইয়ুব আলী নবির, জাহিদুল ইসলাম ও ইবনে সউদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুল ইসলাম বলেন, এ সব মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

