আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

চৌহালীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

উপজেলা প্রতিনিধি, চৌহালী (সিরাজগঞ্জ)
চৌহালীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার স্থল ইউনিয়নের ডিলার হাসান আলীর বিরুদ্ধে কার্ডধারীদের চাল না দিয়ে কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, প্রতি মাসে ওই ডিলার ৫৮৭ বস্তা চাল বরাদ্দ পেয়ে থাকেন। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি কার্ডধারী ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল পাওয়ার কথা। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, ডিলার হাসান আলী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস ও ট্যাগ অফিসারের যোগসাজশে নিয়মিত চাল সরবরাহ না করে কালোবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়রা জানান, অনেক কার্ডধারী জানেনই না তাদের নামে কার্ড রয়েছে। এমনকি মৃত ব্যক্তিদের নামেও চাল উত্তোলনের প্রমাণ মিলেছে। সন্তোষা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, দিঘলবাড়ি গ্রামের আলেক চান, ফলসাটিয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ, নওহাটা গ্রামের কোরবান আলী ও হাসিনা খাতুন অভিযোগ করেন, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা বরাদ্দকৃত চাল পাননি। অপরদিকে চলতি বছরের জুনে মারা যাওয়া গোলজার শেখ এবং দেড় মাস আগে মৃত রওশনারা খাতুনের নামে চাল উত্তোলন হলেও তাদের পরিবার কিছুই জানে না।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডিলার হাসান আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি নিয়ম মেনেই কার্ডধারীদের চাল দিয়েছি। কেউ হয়তো মিথ্যা অভিযোগ করছে।”

এ বিষয়ে ওই সময়ের ট্যাগ অফিসার আবু হুরায়রা বলেন, দায়িত্বে থাকার সময় তেমন কোনো অভিযোগ পাননি তিনি। তবে বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার মামুন সিরাজ জানান, আগস্ট মাসে তিনি নিজে উপস্থিত থেকে ২৯০ বস্তা চাল বিতরণ করেছেন। কিন্তু দ্বিতীয় চালানের বাকি চাল বিতরণে তাকে কিছুই জানায়নি ডিলার হাসান। পরে ডিলার চাল বিতরণ দেখিয়ে মাষ্টাররোলে স্বাক্ষর চাইলে তিনি তা অস্বীকৃতি জানান এবং পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অ.দা.) আনোয়ার হোসেন বলেন, চাল বিতরণে কোন অনিয়ম হয়েছে কিনা তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ইউএনও স্যার।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখন আমি খেলার মাঠে আছি এ বিষয়ে পরে কথা বলব।

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন