বগুড়ার শেরপুরে টানা ভারী বর্ষণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা ও মহাসড়কে হাঁটুপানিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে পৌর এলাকা, শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকারটোলা, হামছায়াপুর, শেরুয়াবটতলা, ধর্মকাম, খামারকান্দি, কুসুম্বি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল এবং বাজারঘেঁষা রাস্তাঘাট ও বসতবাড়িগুলোতে পানি ঢুকে পড়েছে।
মঙ্গলবার ভোর থেকে টানা বৃষ্টির ফলে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের হামছায়াপুর ও শেরুয়াবটতলা এলাকায় মহাসড়কে হাঁটুপানি জমে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে দূরপাল্লার গাড়িগুলো চলাচল করছে। যার ফলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এ ছাড়াও গ্রামীণ কাঁচা-পাকা রাস্তাগুলোর বিভিন্ন অংশে পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় ড্রেনেজব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় পানি সঠিকভাবে নিষ্কাশন হতে পারছে না। ফলে সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী ও ব্যবসায়ীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ড্রেন পরিষ্কার না করায় এবং অপরিকল্পিত নগর ব্যবস্থাপনার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। কিন্তু এবার টানা বৃষ্টিতে ঘরবাড়ির ভেতরে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে রান্নাবান্না থেকে শুরু করে দৈনন্দিন কাজকর্ম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। পৌরশহরের হামছায়াপুর (খন্দকারপাড়া) ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুরুল ইসলামের বাড়ির ভেতর প্রায় হাঁটুপানি। ঘরের আসবাপত্র পানিতে তলিয়ে গেছে। একই চিত্র লক্ষ করা যায় শাহবন্দেগী ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি বসতবাড়িতে।
উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম আজাদ বলেন, পরিকল্পিতভাবে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ না থাকায় এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সরকারিভাবে আর্থিক বরাদ্দ পেলে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজব্যবস্থা নির্মাণের মাধ্যমে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা সম্ভব।
শেরপুর উজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক আশিক খান বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে কয়েকটি জায়গায় পাম্পের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। খুব দ্রুত এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হবে।

