বগুড়ায় ১১৩০ বস্তা সরকারি চাল আত্মসাৎ
সবুর শাহ লোটাস, বগুড়া
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যুবলীগ নেতা শাহাদত হোসেনের গুদাম থেকে ১১৩০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর উপজেলার কালিতলা এলাকায় তার তিনতলা বাড়ির নিচে থাকা গুদামে অভিযান চালিয়ে সেটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
একই বছরের ২২ ডিসেম্বর গুদামটি খোলার পর দেখা যায় মাত্র ৬ বস্তা ছাড়া বাকি চাল উধাও হয়ে গেছে। এ ঘটনার মূলহোতা শাহাদত হলেও রহস্যময় কারণে তার নাম চার্জশিটে ৭ নম্বর আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে। অভিযোগ, মামলার মূল ফোকাস তাকে থেকে দূরে রাখার কৌশল অবলম্বন করেছে তদন্তকারী সংস্থা ও কর্মকর্তা। বর্তমানে এই নেতা প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
২০২২ সালের এনএসআই’র নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এ চাল জব্দ করে আদালত। অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের তৎকালীন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাঈম। সে সময় চালের বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় শাহাদতের ভাই শাহীন আলমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গুদামটি সিলগালা করে চালগুলো উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দেওয়ান আতিকুর রহমানের জিম্মায় দেওয়া হয়।
একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর পুলিশ গ্রেপ্তার করেন ট্রাক চালক বেলাল হোসেন, তার সহকারী রুসাত ও ভটভটি চালক রায়হান কবিরকে। উদ্ধার হয় চুরি করা চাল বহনের কাজে ব্যবহৃত ট্রাকটিও। তিনজনের আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে স্পষ্টভাবে উঠে আসে যুবলীগ নেতা শাহাদত হোসেনের নাম।
তারা জানান, শাহাদতের পরিকল্পনা ও নির্দেশেই সিলগালা করা গুদাম থেকে রাতের আঁধারে সরিয়ে ফেলা হয় ১১২৪ বস্তা চাল। এসব চাল পাঠানো হয় শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া বন্দরে। ৩১ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার তিন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরের বছর ১৯ জানুয়ারি সকালে সারিয়াকান্দির আমতলী ব্রিজের পাশ থেকে ৩৬০ বস্তা চাল উদ্ধার করে পুলিশ, যা ছিল সেই সিলগালাকৃত চালেরই অংশ। পরের বছর ১৯ মার্চ ২০২৩ সালে আদালতে যে চার্জশিট জমা পড়ে, তাতে দেখা যায় ১৪ জন আসামির তালিকায় শাহাদতের নাম রাখা হয়েছে ৭ নম্বরে। অথচ তিন আসামির জবানবন্দিতে তিনি স্পষ্টভাবে প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত। কথিত আছে, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের ও স্থানীয় নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে যুবলীগ নেতা শাহাদত জামিনে ছাড়া পান।
এ বিষয়ে ১ ও ৩ নম্বর আসামিরা বলেন, আমরা ভেবেছিলাম আগেই ধরা পড়েছি, তাই হয়তো চার্জশিটে নাম আগে এসেছে। এখন দেখি, যা হওয়ার ছিল না তাই হয়েছে। ২ নম্বর আসামি রুসাত সরাসরি অভিযোগ করে বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম আমাদের মারধর করে চাল চুরির দায় স্বীকার করতে বাধ্য করেন। বর্তমানে এই নজরুল ইসলাম বগুড়া সদর থানায় পুলিশের এএসআই হিসেবে কর্মরত।
তদন্তকারী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, যেহেতু এটা চুরির মামলা যাদের আগে ধরা হয়েছে তাদের ক্রমান্বয়ে ১ নম্বর থেকে ৭ নম্বর পর্যন্ত আসামি করা হয়। সে ক্ষেত্রে তিনি স্বীকার করেন যে, শাহাদতই ছিল এই ঘটনার মূল হোতা।
এদিকে মুঠোফোনে যুবলীগ নেতা শাহাদতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এলাকার কয়েকজন চাল ব্যবসায়ী জানান, এত বড় ঘটনার পর এখনো শাহাদত প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
অন্যদিকে মামলার বাদী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দেওয়ান আতিকুর রহমান জানান, মামলাটি বিচারাধীন। শাহাদতের নাম কেন ৭ নম্বরে, তা তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাই ভালো বলতে পারবেন। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের জবানবন্দি অনুযায়ী শাহাদতই প্রধান আসামি হওয়া উচিত ছিল।
সারিয়াকান্দি থানার ওসি জামিরুল ইসলাম জানান, মামলাটি আদালতে বিচারাধীন, আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবে, সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যুবলীগ নেতা শাহাদত হোসেনের গুদাম থেকে ১১৩০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর উপজেলার কালিতলা এলাকায় তার তিনতলা বাড়ির নিচে থাকা গুদামে অভিযান চালিয়ে সেটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
একই বছরের ২২ ডিসেম্বর গুদামটি খোলার পর দেখা যায় মাত্র ৬ বস্তা ছাড়া বাকি চাল উধাও হয়ে গেছে। এ ঘটনার মূলহোতা শাহাদত হলেও রহস্যময় কারণে তার নাম চার্জশিটে ৭ নম্বর আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে। অভিযোগ, মামলার মূল ফোকাস তাকে থেকে দূরে রাখার কৌশল অবলম্বন করেছে তদন্তকারী সংস্থা ও কর্মকর্তা। বর্তমানে এই নেতা প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
২০২২ সালের এনএসআই’র নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এ চাল জব্দ করে আদালত। অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের তৎকালীন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাঈম। সে সময় চালের বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় শাহাদতের ভাই শাহীন আলমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গুদামটি সিলগালা করে চালগুলো উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দেওয়ান আতিকুর রহমানের জিম্মায় দেওয়া হয়।
একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর পুলিশ গ্রেপ্তার করেন ট্রাক চালক বেলাল হোসেন, তার সহকারী রুসাত ও ভটভটি চালক রায়হান কবিরকে। উদ্ধার হয় চুরি করা চাল বহনের কাজে ব্যবহৃত ট্রাকটিও। তিনজনের আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে স্পষ্টভাবে উঠে আসে যুবলীগ নেতা শাহাদত হোসেনের নাম।
তারা জানান, শাহাদতের পরিকল্পনা ও নির্দেশেই সিলগালা করা গুদাম থেকে রাতের আঁধারে সরিয়ে ফেলা হয় ১১২৪ বস্তা চাল। এসব চাল পাঠানো হয় শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া বন্দরে। ৩১ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার তিন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরের বছর ১৯ জানুয়ারি সকালে সারিয়াকান্দির আমতলী ব্রিজের পাশ থেকে ৩৬০ বস্তা চাল উদ্ধার করে পুলিশ, যা ছিল সেই সিলগালাকৃত চালেরই অংশ। পরের বছর ১৯ মার্চ ২০২৩ সালে আদালতে যে চার্জশিট জমা পড়ে, তাতে দেখা যায় ১৪ জন আসামির তালিকায় শাহাদতের নাম রাখা হয়েছে ৭ নম্বরে। অথচ তিন আসামির জবানবন্দিতে তিনি স্পষ্টভাবে প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত। কথিত আছে, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের ও স্থানীয় নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে যুবলীগ নেতা শাহাদত জামিনে ছাড়া পান।
এ বিষয়ে ১ ও ৩ নম্বর আসামিরা বলেন, আমরা ভেবেছিলাম আগেই ধরা পড়েছি, তাই হয়তো চার্জশিটে নাম আগে এসেছে। এখন দেখি, যা হওয়ার ছিল না তাই হয়েছে। ২ নম্বর আসামি রুসাত সরাসরি অভিযোগ করে বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম আমাদের মারধর করে চাল চুরির দায় স্বীকার করতে বাধ্য করেন। বর্তমানে এই নজরুল ইসলাম বগুড়া সদর থানায় পুলিশের এএসআই হিসেবে কর্মরত।
তদন্তকারী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, যেহেতু এটা চুরির মামলা যাদের আগে ধরা হয়েছে তাদের ক্রমান্বয়ে ১ নম্বর থেকে ৭ নম্বর পর্যন্ত আসামি করা হয়। সে ক্ষেত্রে তিনি স্বীকার করেন যে, শাহাদতই ছিল এই ঘটনার মূল হোতা।
এদিকে মুঠোফোনে যুবলীগ নেতা শাহাদতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এলাকার কয়েকজন চাল ব্যবসায়ী জানান, এত বড় ঘটনার পর এখনো শাহাদত প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
অন্যদিকে মামলার বাদী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দেওয়ান আতিকুর রহমান জানান, মামলাটি বিচারাধীন। শাহাদতের নাম কেন ৭ নম্বরে, তা তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাই ভালো বলতে পারবেন। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের জবানবন্দি অনুযায়ী শাহাদতই প্রধান আসামি হওয়া উচিত ছিল।
সারিয়াকান্দি থানার ওসি জামিরুল ইসলাম জানান, মামলাটি আদালতে বিচারাধীন, আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবে, সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কক্সবাজারে গভীর সমুদ্রে পাচারের মুহূর্তে ২৯ জনকে উদ্ধার করেছে বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়ন। এ সময় তিন মানবপাচারকারিকে আটক করা হয়েছে। বুধবার মেরিন ড্রাইভের রাজারছড়া এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। বিজিবির টেকনাফস্থ ২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১ মিনিট আগেএ সময় অসাবধানতাবশত তার শরীরে সার্ভিস তার স্পর্শ করলে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
১০ মিনিট আগেবুধবার ভোর রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ২৩০ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। তিনি ওই এলাকার বারকোনা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।
২৩ মিনিট আগেমঙ্গলবার রাতে ১২টার দিকে তিনটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ধাওয়া করে। এসময় চালসহ একটি অটোরিকশা জব্দ করলেও বাকি দুটি রিকশা দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়।
২৯ মিনিট আগে