
উপজেলা প্রতিনিধি, (রায়গঞ্জ) সিরাজগঞ্জ

রায়গঞ্জের নও মুসলিম বিধবা রহিমা বেওয়া বহু বছর ধরে ভগ্নদশা মাটির ঘরে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। জীর্ণ শীর্ণ মাটির তৈরি ঘরে রাতের বেলা জ্বলে না আলো, নেই সুপেয় পানি। দারিদ্র্য আর একাকীত্বের সঙ্গে প্রতিদিন চলছে তার কঠিন সংগ্রাম।
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের বাঁকাই (শিকারপুর) গ্রামের নও মুসলিম বিধবা রহিমা বেওয়া (৬৫)। একসময় ছিলেন হাসিখুশি, স্বাভাবিক জীবনের এক সাধারণ নারী। এখন তিনি বসবাস করছেন ভগ্নদশা এক মাটির ঘরে—যেখানে দেয়ালের অধিকাংশ স্থান ভেঙে পড়েছে, মরিচাধরা টিনের চালায় ফুটো হয়ে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি ঢোকে। ফাটা টিনের নিচে পুরনো পলিথিন বিছিয়ে কোনোমতে আশ্রয় তৈরি করলেও শীত ও বর্ষায় পড়তে হয় সীমাহীন দুর্ভোগে। ঘরে নেই আলো, সুপেয় পানি বা শৌচাগারের ন্যূনতম ব্যবস্থা।
জানা যায়, বিনোদবারি গ্রামের এক হিন্দু পরিবারে জন্ম নেওয়া রহিমা বেওয়া মাত্র সাত বছর বয়সে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেন। পরে পাশের গ্রামের জালাল উদ্দিনকে বিয়ে করে জীবন শুরু করলেও দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে তাদের কোনো সন্তান হয়নি। প্রায় ১৭ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই একা এবং অসহায় হয়ে পড়েন তিনি। বয়সের ভারে চোখে ঝাপসা দেখেন, শরীর দুর্বল, কাজ করার শক্তিও নেই। কখনো আধা পেট খেয়ে আবার কখনো না খেয়েই দিন কেটে যায়।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে রহিমা বেওয়া বলেন, একটা টিনের ঘর আর সুপেয় পানির ব্যবস্থা হলে বাকি জীবনটা শান্তিতে কাটাতে পারতাম। গরু-ছাগল পালনের জন্য একটু সাহায্য পেলে আমার আর ভিক্ষা করতে হতো না।
প্রতিবেশী ইউসুফ আলী বলেন, বৃদ্ধা রহিমার অবস্থা খুবই করুণ। বর্ষা বা শীতে ওই ঘরে থাকা যায় না। সমাজের কেউ সাহায্যের হাত বাড়ালে তিনি অন্তত স্বস্তিতে থাকতে পারবেন।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। দ্রুত খোঁজ নিয়ে তার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।
রহিমা বেওয়ার জীবনযুদ্ধ কেবল একজন নারীর গল্প নয়—এ গ্রামীণ দারিদ্র্যের নীরব আর্তনাদ, যেখানে অসহায় মানুষেরা প্রতিদিন টিকে থাকার সংগ্রামে লড়ে যান নিঃশব্দে।

রায়গঞ্জের নও মুসলিম বিধবা রহিমা বেওয়া বহু বছর ধরে ভগ্নদশা মাটির ঘরে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। জীর্ণ শীর্ণ মাটির তৈরি ঘরে রাতের বেলা জ্বলে না আলো, নেই সুপেয় পানি। দারিদ্র্য আর একাকীত্বের সঙ্গে প্রতিদিন চলছে তার কঠিন সংগ্রাম।
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের বাঁকাই (শিকারপুর) গ্রামের নও মুসলিম বিধবা রহিমা বেওয়া (৬৫)। একসময় ছিলেন হাসিখুশি, স্বাভাবিক জীবনের এক সাধারণ নারী। এখন তিনি বসবাস করছেন ভগ্নদশা এক মাটির ঘরে—যেখানে দেয়ালের অধিকাংশ স্থান ভেঙে পড়েছে, মরিচাধরা টিনের চালায় ফুটো হয়ে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি ঢোকে। ফাটা টিনের নিচে পুরনো পলিথিন বিছিয়ে কোনোমতে আশ্রয় তৈরি করলেও শীত ও বর্ষায় পড়তে হয় সীমাহীন দুর্ভোগে। ঘরে নেই আলো, সুপেয় পানি বা শৌচাগারের ন্যূনতম ব্যবস্থা।
জানা যায়, বিনোদবারি গ্রামের এক হিন্দু পরিবারে জন্ম নেওয়া রহিমা বেওয়া মাত্র সাত বছর বয়সে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেন। পরে পাশের গ্রামের জালাল উদ্দিনকে বিয়ে করে জীবন শুরু করলেও দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে তাদের কোনো সন্তান হয়নি। প্রায় ১৭ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই একা এবং অসহায় হয়ে পড়েন তিনি। বয়সের ভারে চোখে ঝাপসা দেখেন, শরীর দুর্বল, কাজ করার শক্তিও নেই। কখনো আধা পেট খেয়ে আবার কখনো না খেয়েই দিন কেটে যায়।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে রহিমা বেওয়া বলেন, একটা টিনের ঘর আর সুপেয় পানির ব্যবস্থা হলে বাকি জীবনটা শান্তিতে কাটাতে পারতাম। গরু-ছাগল পালনের জন্য একটু সাহায্য পেলে আমার আর ভিক্ষা করতে হতো না।
প্রতিবেশী ইউসুফ আলী বলেন, বৃদ্ধা রহিমার অবস্থা খুবই করুণ। বর্ষা বা শীতে ওই ঘরে থাকা যায় না। সমাজের কেউ সাহায্যের হাত বাড়ালে তিনি অন্তত স্বস্তিতে থাকতে পারবেন।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। দ্রুত খোঁজ নিয়ে তার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।
রহিমা বেওয়ার জীবনযুদ্ধ কেবল একজন নারীর গল্প নয়—এ গ্রামীণ দারিদ্র্যের নীরব আর্তনাদ, যেখানে অসহায় মানুষেরা প্রতিদিন টিকে থাকার সংগ্রামে লড়ে যান নিঃশব্দে।

এতে বক্তারা বলেন, বিগত সতেরো বছর দলের দুঃসময়ে হাজারো মামলা, হামলা ও নির্যাতনের মুখোমুখি হলেও কাজী সালাউদ্দিন কখনো তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়াননি। এমনকি নির্যাতিত নেতাকর্মীদের আর্থিক বা নৈতিক কোন সহযোগিতাও করেননি।
৩ মিনিট আগে
তারেক রহমান আমাকে ধানের শীষের প্রার্থী দিয়েছেন। এই আসন উপহার দেওয়া আমার ঈমানী দায়িত্ব। আজ থেকে আপনারা ঘরে ঘরে ধানের শীষের ভোট চাইতে বেড়িয়ে পড়ুন। আমাকে ভালবাসেন, ধানের শীষকে ভালবাসেন, তারেক রহমানকে ভালবাসেন। এটা প্রমাণ করার এখনই সুযোগ। এই বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়ায় বিএনপি ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে।
৪ মিনিট আগে
ফেনীতে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে জুলাই ঐক্যের ব্যানারে জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
১৪ মিনিট আগে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশে স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই।
১৫ মিনিট আগে