রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের নলকূপের বোরিংয়ে পড়া দুই বছরের শিশু সাজিদের খোঁজ পেতে গর্তে আবারো নামানো হচ্ছে ক্যামেরা।
এরআগে বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সাজিদের কোনো সাড়া মেলেনি। এ পর্যন্ত গর্তের খোঁড়া হয়েছে ৫০ ফুট।
স্থানীয়রা বলছেন, ৮০ থেকে ৮৫ ফুট গভীরে ছিলো গভীর নলকূপের বোরিং।
এর আগে ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম
বলেন, বিশ্বের কোথাও এমন কোনো প্রযুক্তি নেই যে, এত গভীর গর্ত থেকে তাৎক্ষণিক কাউকে উদ্ধার করবে। গর্তটি প্রায় ২০০ ফুট গভীর। নিরাপত্তার খাতিরে আমরা পাশে গর্ত করে অনুসন্ধান চালাচ্ছি। বিভিন্ন উন্নত দেশেও এত গভীরে পৌঁছাতে ৭৫-৭৮ ঘণ্টা সময় লাগে।
তিনি আরো বলেন, প্রথম পর্যায়ে ৩৫ ফুট পর্যন্ত গর্তে ক্যামেরা পাঠানো হলেও কিছু দেখা যায়নি। এখন ৪৫ ফুট পর্যন্ত নামতে পেরেছে ফায়ার সার্ভিস। আমরা সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। পদ্ধতিগত কোনো ভুলও এখানে নেই।
এর আগে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের ধান খড়ের মাঠে খেলতে খেলতে হঠাৎ গভীর একটি গর্তে পড়ে যায় সে। মাত্র ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের সেই অন্ধকার গর্তে পড়ে যাওয়া ছোট্ট শিশুটি উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


হাঁটার সময় আচমকা মা ডাক শুনতে পান রুনা
৫০ ফুট খোঁড়া হলেও সাড়া মেলেনি শিশু সাজিদের