চাটমোহরে ঈদগাহ মাঠের নামকরণ নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০

উপজেলা প্রতিনিধি, চাটমোহর (পাবনা)
প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ১৫

পাবনার চাটমোহরে বিবাবদমান ঈদগাহ মাঠের নামকরণ নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নারীসহ ৩০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের আটলংকা বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২’শ বছরের পুরাতন ‘আটলংকা-বন্যাগাড়ী’ ঈদগাহ ময়দান এলাকার মুসল্লীরা নামাজ আদায় করে আসছিল। গত কয়েক মাস ধরে ঈদগাহ মাঠের নামকরণ নিয়ে স্থানীয়ভাবে এবং থানায় একাধিকবার বৈঠক হলেও কোন সমাধান হয়নি।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার এলাকায় মাইকিং করে শুক্রবার সকালে আটলংকা গ্রামবাসী ‘বন্যাগাড়ী’ নাম বাদ দিয়ে ‘আটলংকা ঈদগাহ ময়দান’ লেখা টাইলস্ লাগাতে যায়। এসসময় বন্যাগাড়ী গ্রামবাসী বাধা দিলে তাদের সাথে বচসা শুরু হয়। একসময় আটলংকা গ্রামবাসী ঈদগাহ মাঠে জড়ো হলে সেখানে বচসা সংঘর্ষে রুপ নেয়। উভয় গ্রামবাসী লাঠি-সোটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় নারীসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়।

চাটমোহর,আটঘরিয়া ও পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি আহত ২৬ জন হলেন আটলংকা গ্রামের রফিকুল ইসলাম, আব্দুল কাদের, জয়নাল আবেদীন, ইকরাম, জুয়েল, রাসেল, রাজ্জাক, সিরাজুল, বেলায়েত সেলিম, বন্যাগাড়ী গ্রামের সাব্বির, সাইফুল, ইসমাইল, আফজাল হোসেন, সেলিম, রোজিনা, শেফালী, গোলজার, চাঁদ আলী, আজিম উদ্দিন, সুরমান আলী, আরমান, আবুল হোসেন, শাহেদ আলী, মজ্জেল, মোজাম্মেল হক।

এ ব্যাপারে ঈদগাহ মাঠের প্রধান ও মূলগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহবায়ক হারেজ আলী জানান, বন্যাগাড়ীর লোকজন এক প্রতিবন্ধী ভ্যানচালককে মারপিট করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আহতরা জানান, আমরা গত ৪০ বছর ধরে ওই ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়ি। আমরা ঈদগাহ মাঠের উন্নয়নে টাকাও দেই। এখন হারেজ আলী, মাহমুদ, ইমান গং শুক্রবার সকালে বন্যাগাড়ী গ্রামের নাম বাদ দিয়ে টাইল্স লাগাচ্ছিল। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের গ্রামের নারী-পুরুষ সবাইকে মার্ াহয়।

চাটমোহর থানা অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। কোন পক্ষ এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত