মায়ের কাটা মাথা উদ্ধারের পর মিলল মেয়ের গলিত লাশ

রংপুর অফিস
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫: ৩৯

রংপুরের পীরগঞ্জে মায়ের খণ্ডিত মাথা উদ্ধারের একদিন পর পাঁচ বছরের মেয়ের পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার সকালে উপজেলার বড় বদনাপাড়া গ্রামের ঘাতক আতিকুল ইসলামের বাড়ির পেছনে বাগানের ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

নিহত সায়মা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দিলালপুর গ্রামের রেজাউল করিমের মেয়ে। এর আগে, শুক্রবার সকালে তার স্ত্রী দেলোয়ারার মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করা হয়। ঠিক একদিন পর উদ্ধার করা হয় তার খণ্ডিত মাথা।

সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) আছিফা আফরোজা আদুরি বলেন, পুলিশের কাছে মেয়ে সাইমার সন্ধান জানতে চান নিহতের স্বামী রেজাউল। বিচ্ছেদের পর স্ত্রীর সঙ্গে তার মেয়েও ছিল।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আতিকুল পুলিশকে জানান, দেড় মাস আগে সায়মাকে হত্যা করেন তিনি। পরে লুঙ্গিতে পেঁচিয়ে বাড়ির পেছনের গাছের বাগানে গোবরের স্তূপের পাশে তিন-চার ফুট গর্তে পুঁতে রাখেন। তার দেওয়া তথ্যমতে সায়মার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়।

স্থানীয়রা জানায়, ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে বড় বদনাপাড়ায় ক্ষেত থেকে মরিচ তুলছিলেন এক নারী। ওই সময় মাথাবিহীন নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেন তিনি। পরে খবর দিলে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

এছাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিআইডির অপরাধ অনুসন্ধান দল। পরে আঙুলের ছাপের মাধ্যমে নিহতের পরিচয় ও ঠিকানা শনাক্ত করা হয়। দেলোয়ারা নীলফামারীর জলঢাকার পশ্চিম গোরমুক্তা গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে।

এ ঘটনায় হত্যা মামলা করেন পুলিশের এসআই অনন্ত কুমার বর্মণ। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে বড় বদনাপাড়া গ্রামের মুনছুর আলী মণ্ডলের ছেলে আতিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আতিকুলের স্বীকারোক্তিতে কাটা মাথা, শিশুর লাশের সন্ধান মিললে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দুটি হত্যাকাণ্ডের রহস্য ও ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে তদন্ত চলছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি এমএ ফারুক। আতিকুল এলাকায় জুয়াড়ি হিসেবে পরিচিত বলেও জানান তিনি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত