নারী কাবাডি বিশ্বকাপে রেফারী হিসেবে মনোনীত দিনাজপুরের মোহাম্মদ আলি

উপজেলা প্রতিনিধি, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ১১
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ১১

দ্বিতীয় নারী কাবাডি বিশ্বকাপে রেফারী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার সৈয়দ মোহাম্মদ আলী। তিনি ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়নের মৃত সৈয়দ আবুল খায়ার এর ছেলে। শিক্ষক সৈয়দ মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ) থেকে বিএসএস, এমএসএস এবং উত্তরা ইউনিভার্সিটি থেকে বিপিএড, এম পিএড সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে পার্বতীপুর উপজেলার ভবানীপুর ডিগ্রী কলেজের শরীর চর্চার শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত ৯ নভেম্বর বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন এর রেফারিজ কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও সদস্য-সচিব মো. মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে এই মনোনয়নের তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, আগামী ১৫-২৫ নভেম্বর পর্যন্ত '২য় নারী কাবাডি বিশ্বকাপ-২০২৫' ঢাকা মিরপুরস্থ শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বকাপ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার নিমিত্তে শরীরচর্চা শিক্ষক সৈয়দ মোহাম্মাদ আলী কে টেকনিক্যাল অফিসিয়াল হিসেবে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন থেকে মনোনীত করা হয়েছে। এমতাবস্থায় সৈয়দ মোহাম্মাদ আলী কে আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন, ঢাকায় রিপোর্ট করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।

জানা-গেছে, উদীয়মান রেফারী হিসাবে ক্রীড়া ক্ষেত্রে তার নিষ্ঠা, দক্ষতা ও দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন তাকে এ গৌরবময় দায়িত্ব প্রদান করেছেন। অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় নারী কাবাডি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, আর্জেন্টিনা, চাইনিজ তাইপে, ইরান, কেনিয়া, নেপাল, পোল্যান্ড, থাইল্যান্ড, উগান্ডা, জার্মানি, জাঞ্জিবার অংশগ্রহণ করছেন।

ভবানীপুর ডিগ্রী কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ সমরেশ চন্দ্র দাস বলেন, সৈয়দ মোহাম্মদ আলী এর আগে আন্তঃ ইউনিভার্সিটি, আন্তঃজেলা ও জাতীয় পর্যায়ে বহু খেলার রেফারী হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারিতে তারুণ্যের উৎসব কাবাডি প্রতিযোগিতায় সেরা পাঁচ রেফারির মধ্যে একজন হয়েছেন। বিশ্বকাপ পর্যায়ে তার মনোনয়ন পাওয়ায় দিনাজপুরসহ পুরো উত্তরাঞ্চলের জন্য একটি গর্বের বিষয়।

রেফারী সৈয়দ মোহাম্মদ আলী জানান, আন্তর্জাতিক মানের খেলায় রেফারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি। এটি আমার জন্য যেমন চ্যালেঞ্জ, তেমনি আনন্দের। তবে এসব কিছু করার সুযোগ হয়েছে আমার কলেজের সভাপতি ও অধ্যক্ষের সহযোগিতায়। সকলের কাছে দোয়া চাই। তার এই অর্জনে স্থানীয় ক্রীড়া মহল, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানিয়েছেন।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত