হোসেন রায়হান, পঞ্চগড়
তীব্র সার সংকটের সঙ্গে চা-পাতায় নতুন মড়কে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন পঞ্চগড়ের সমতলের চা-চাষিরা। বেড়েছে উৎপাদন খরচও। গত মৌসুমের তুলনায় দাম ভালো মিললেও তার বড় অংশই চলে যাচ্ছে উৎপাদন খরচে। নানা সংকটের মধ্যেও এবার রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদনের আশা চা বোর্ডের। চায়ের উৎপাদন দুই কোটি কেজি ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পঞ্চগড় জেলার সমতল ভূমিতে সারি সারি চা-বাগানে এখন সবুজের সমারোহ। চলছে চা-পাতার মৌসুম। গেল মৌসুমে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে প্রতি কেজি কাঁচা চা-পাতা ১০ থেকে ১২ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে বাজার উঠেছে ২৬ থেকে ৩১ টাকা পর্যন্ত।
তবে ভালো দামেও তেমন স্বস্তিতে নেই চা-চাষিরা। লাল মাকড়, কারেন্ট পোকা ও লোফারের আক্রমণসহ এখন পাতা পচা রোগ দুশ্চিন্তায় ফেলেছে তাদের। সদর উপজেলার চা-চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, বাগান টিকিয়ে রাখতে বাড়ছে উৎপাদন খরচ। এছাড়া প্রয়োজন মতো সার মিলছে না বলেও অভিযোগ চাষিদের।
এবার চা মৌসুমের শুরুতেও মাত্র ১৫ থেকে ১৬ টাকায় প্রতি কেজি চা বিক্রি করতে হয়েছে চাষিদের। কয়েক মাসে দাম বেড়েছে অন্তত ১৬ টাকা। কালোবাজারে চা বিক্রি বন্ধসহ কারখানাগুলোতে প্রশাসন তদারকি জোরদার করায় চা-শিল্পে পরিবর্তন এসেছে বলে দাবি চা-চাষিদের।
নিলাম বাজারেও দর বেড়েছে পঞ্চগড়ের চায়ের। ভালো দর মেলায় চাষিদেরও ভালো দাম দেওয়া হচ্ছে বলে জানান কারখানা মালিকরা। তবে কারখানা মালিকদের অভিযোগ রয়েছে চা বোর্ডের কাছে। অমরখানা মরগেন টি ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু চিশতি অভিযোগ করে বলেন, চা বোর্ডের দৃশ্যমান কোনো পরিকল্পনা নেই। বাগানের চেয়ে কারখানার সংখ্যা বেশি হয়েছে। পাতার অভাবে কারখানাগুলো পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে পারছে না। ফলে কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
পাতার অভাবে সপ্তাহে তিন-চার দিন কারখানা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। দুই শিফটে কারখানা চালাতে কমপক্ষে ৭০ হাজার কেজি পাতার প্রয়োজন, সেখানে তিনি পাতা পাচ্ছেন ২০ হাজার কেজি। কৃষকের পাতা নিয়ে মধ্যস্বত্বভোগীরা সুবিধা নিচ্ছে। চা-পাতার বাড়তি দামের আশায় চাষিরা দালালদের কাছে পাতা বিক্রি করছে। ফলে কারখানার মালিকরা অতিরিক্ত দরে দালালদের কাছ থেকে পাতা কিনছে। ফলে চাষি এবং কারখানার মালিকদের মাঝখানে এসে দালালরা লাভবান হচ্ছে। এ ধারাবাহিকতা বন্ধ করতে না পারলে ভবিষ্যতে এর প্রভাব নেতিবাচক হবে বলে মনে করছেন তিনি।
বিগত বছরে চা-পাতার দাম না পেলেও এবার ভালো দাম পাচ্ছেন চাষিরা। মানসম্মত পাতায় চায়ের গুণগত মান বেড়েছে অকশন বাজারে যা চাষিদের অর্জন। সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারলেই থাকবে এ ধারাবাহিকতা— বললেন চা বোর্ডের পঞ্চগড় জোনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, আরিফ খান।
জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী জানান, চা নিয়ে পঞ্চগড়ে যে নৈরাজ্য ছিল চাষি ও কারখানার মালিকদের সঙ্গে সেটা নিরসন করা হয়েছে। আমরা সব বিষয়ে নজরদারি বাড়িয়েছি। বর্তমানে চাষিরা মানসম্মত পাতা সরবরাহ করায় পঞ্চগড়ের চায়ের গ্রেড উন্নত হওয়ার কারণে অকশন মার্কেটে চায়ের দর বেড়েছে। সার সংকটের বিষয়টি নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে, চা-চাষিরা যেন অনায়াসে সার পেতে পারেন।
গত দুই দশকে পঞ্চগড়ে ছোট-বড় চা-বাগান গড়ে উঠেছে প্রায় আট হাজার। চা প্রক্রিয়াজাত কারখানা রয়েছে ৩০টি। গত বছর সমতলে চায়ের উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ৪৪ লাখ কেজি। এবার তা দুই কোটি কেজি ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা চা বোর্ডের।
তীব্র সার সংকটের সঙ্গে চা-পাতায় নতুন মড়কে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন পঞ্চগড়ের সমতলের চা-চাষিরা। বেড়েছে উৎপাদন খরচও। গত মৌসুমের তুলনায় দাম ভালো মিললেও তার বড় অংশই চলে যাচ্ছে উৎপাদন খরচে। নানা সংকটের মধ্যেও এবার রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদনের আশা চা বোর্ডের। চায়ের উৎপাদন দুই কোটি কেজি ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পঞ্চগড় জেলার সমতল ভূমিতে সারি সারি চা-বাগানে এখন সবুজের সমারোহ। চলছে চা-পাতার মৌসুম। গেল মৌসুমে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে প্রতি কেজি কাঁচা চা-পাতা ১০ থেকে ১২ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে বাজার উঠেছে ২৬ থেকে ৩১ টাকা পর্যন্ত।
তবে ভালো দামেও তেমন স্বস্তিতে নেই চা-চাষিরা। লাল মাকড়, কারেন্ট পোকা ও লোফারের আক্রমণসহ এখন পাতা পচা রোগ দুশ্চিন্তায় ফেলেছে তাদের। সদর উপজেলার চা-চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, বাগান টিকিয়ে রাখতে বাড়ছে উৎপাদন খরচ। এছাড়া প্রয়োজন মতো সার মিলছে না বলেও অভিযোগ চাষিদের।
এবার চা মৌসুমের শুরুতেও মাত্র ১৫ থেকে ১৬ টাকায় প্রতি কেজি চা বিক্রি করতে হয়েছে চাষিদের। কয়েক মাসে দাম বেড়েছে অন্তত ১৬ টাকা। কালোবাজারে চা বিক্রি বন্ধসহ কারখানাগুলোতে প্রশাসন তদারকি জোরদার করায় চা-শিল্পে পরিবর্তন এসেছে বলে দাবি চা-চাষিদের।
নিলাম বাজারেও দর বেড়েছে পঞ্চগড়ের চায়ের। ভালো দর মেলায় চাষিদেরও ভালো দাম দেওয়া হচ্ছে বলে জানান কারখানা মালিকরা। তবে কারখানা মালিকদের অভিযোগ রয়েছে চা বোর্ডের কাছে। অমরখানা মরগেন টি ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু চিশতি অভিযোগ করে বলেন, চা বোর্ডের দৃশ্যমান কোনো পরিকল্পনা নেই। বাগানের চেয়ে কারখানার সংখ্যা বেশি হয়েছে। পাতার অভাবে কারখানাগুলো পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে পারছে না। ফলে কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
পাতার অভাবে সপ্তাহে তিন-চার দিন কারখানা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। দুই শিফটে কারখানা চালাতে কমপক্ষে ৭০ হাজার কেজি পাতার প্রয়োজন, সেখানে তিনি পাতা পাচ্ছেন ২০ হাজার কেজি। কৃষকের পাতা নিয়ে মধ্যস্বত্বভোগীরা সুবিধা নিচ্ছে। চা-পাতার বাড়তি দামের আশায় চাষিরা দালালদের কাছে পাতা বিক্রি করছে। ফলে কারখানার মালিকরা অতিরিক্ত দরে দালালদের কাছ থেকে পাতা কিনছে। ফলে চাষি এবং কারখানার মালিকদের মাঝখানে এসে দালালরা লাভবান হচ্ছে। এ ধারাবাহিকতা বন্ধ করতে না পারলে ভবিষ্যতে এর প্রভাব নেতিবাচক হবে বলে মনে করছেন তিনি।
বিগত বছরে চা-পাতার দাম না পেলেও এবার ভালো দাম পাচ্ছেন চাষিরা। মানসম্মত পাতায় চায়ের গুণগত মান বেড়েছে অকশন বাজারে যা চাষিদের অর্জন। সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারলেই থাকবে এ ধারাবাহিকতা— বললেন চা বোর্ডের পঞ্চগড় জোনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, আরিফ খান।
জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী জানান, চা নিয়ে পঞ্চগড়ে যে নৈরাজ্য ছিল চাষি ও কারখানার মালিকদের সঙ্গে সেটা নিরসন করা হয়েছে। আমরা সব বিষয়ে নজরদারি বাড়িয়েছি। বর্তমানে চাষিরা মানসম্মত পাতা সরবরাহ করায় পঞ্চগড়ের চায়ের গ্রেড উন্নত হওয়ার কারণে অকশন মার্কেটে চায়ের দর বেড়েছে। সার সংকটের বিষয়টি নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে, চা-চাষিরা যেন অনায়াসে সার পেতে পারেন।
গত দুই দশকে পঞ্চগড়ে ছোট-বড় চা-বাগান গড়ে উঠেছে প্রায় আট হাজার। চা প্রক্রিয়াজাত কারখানা রয়েছে ৩০টি। গত বছর সমতলে চায়ের উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ৪৪ লাখ কেজি। এবার তা দুই কোটি কেজি ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা চা বোর্ডের।
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় পলাতক দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
৩২ মিনিট আগেপরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে শামসুদ্দিন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ৬৪১৪৬০। ১৯৩৯ থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুরো ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এ যোদ্ধা।
৩৯ মিনিট আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভেতরে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সাবেক নেতা। ঘটনার পর তাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক মো. রায়হান হাটহাজারি কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি।
১ ঘণ্টা আগেসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেরা ইলিশ মাছ ধরতে আসে তা জানার পরই সাথে সাথে কোস্টগার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা চাই দেশের মানুষ ইলিশ খাবে সাগরে যেন কেউ চুরি করে মাছ ধরতে না পারে সেজন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে