বাদশাহ ওসমানী, রংপুর
তিস্তার পানি কমতে শুরু করায় তীব্র স্রোতে নদীভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, ভিটেমাটিসহ ঘরবাড়ি। কিন্তু এসব বাড়িঘর রক্ষায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে নিজেদের আবাসস্থল রক্ষায় সরকারি সহযোগিতা ছাড়াই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা।
সরেজমিন দেখা যায়, যেসব এলাকায় এখনো সরকারিভাবে নদীভাঙন রোধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, ওই এলাকার বাসিন্দারা বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে নিজেদের সম্পদ রক্ষার চেষ্টা করছেন। গত বুধবার রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার টেপা মধুপুর ইউনিয়নের চরঘোনাই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, তিস্তা স্রোতে ভেঙে পড়া বাড়ি নিজেরাই নদীতে মেশিন লাগিয়ে বালু তুলে রক্ষার চেষ্টা করছেন আছিয়া ও সেলিম দম্পতি। প্রতিবেশীরা পাশে থেকে তাদের পরামর্শ দিচ্ছেন।
ওই দম্পতি আমার দেশকে বলেন, আমাদের আগের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে, কিন্তু কেউ কখনো আমাদের অনুদান বা টাকাপয়সা দেয়নি। আমরা নিজেরাই নদী থেকে বালু তুলে বাড়িঘর রক্ষার চেষ্টা করছি। তবে এ ব্যবস্থা ক্ষণস্থায়ী, যে কোনো সময় নদীর স্রোতে আমাদের এ বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
তারা অভিযোগ করেন, সবাই শুধু দেখে, কেউ কোনো সাহায্য করে না। সাংবাদিকরা এসে ছবি তুলে নিয়ে যায়, কিন্তু সত্যিকারার্থে আমাদের ভিটেমাটি, বাড়িঘর, আবাসস্থল রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। আমরা চাই আমাদের স্থায়ী বন্দোবস্ত। নদীর পাড় রক্ষা করতে পারলে আমাদের বাড়িঘরসহ ফসলি জমি রক্ষা পাবে।
তারা জানান, শুকনো মৌসুমে নদীর চরে চিনা বাদামসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ধানচাষ করে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু এ বছর নদীতে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে চরের সাইডসহ নদীর পাড় ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদের জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
তারা বলেন, বর্তমানে আমাদের বাড়ির অবস্থান থেকে ৫০০ গজ নদীর ভেতরে বাড়ি ছিল। কিন্তু তিস্তার তীব্র স্রোত আমাদের সব স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে, আমাদের উচ্ছেদ করে এ কিনারে এনে ফেলেছে। এখন যতটুকু জায়গা রয়েছে, এটি ভেঙে গেলে বাড়ি করার মতো আমাদের আর জায়গা থাকবে না।
জানা যায়, এর আগে অনেকেই বাড়িঘর-ভিটেমাটি নদীগর্ভে হারিয়ে অন্যের জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। তবে কিছু মানুষ সরকারিভাবে গুচ্ছগ্রাম বা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে গিয়ে আশ্রিত হয়ে জীবন নির্বাহ করছে।
মধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম আমার দেশকে জানান, আমার এ টেপা মধুপুর ইউনিয়নের চারটি পয়েন্টে তিস্তার ভাঙন রয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকদিনের মধ্যেই পাঁচটি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে আবাদি জমি, গাছগাছালিসহ অনেকের ভিটেমাটি নদীগর্ভে চলে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছয় হাজার করে টাকা দেওয়া হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, তিস্তা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোতে আমরা জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করছি। তবে তীব্র স্রোতের কারণে অনেক এলাকায় আমরা পৌঁছানোর আগেই কিছু বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বলে শুনেছি । পর্যায়ক্রমে সব ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল আমার দেশকে জানান, তিস্তার তীব্র স্রোতের কারণে রংপুর জেলার গংগাচড়া কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার কয়েকটি পয়েন্টে তিস্তানদী ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা করতে সরকারের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার, টিন ও নগদ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।
তিস্তার পানি কমতে শুরু করায় তীব্র স্রোতে নদীভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, ভিটেমাটিসহ ঘরবাড়ি। কিন্তু এসব বাড়িঘর রক্ষায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে নিজেদের আবাসস্থল রক্ষায় সরকারি সহযোগিতা ছাড়াই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা।
সরেজমিন দেখা যায়, যেসব এলাকায় এখনো সরকারিভাবে নদীভাঙন রোধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, ওই এলাকার বাসিন্দারা বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে নিজেদের সম্পদ রক্ষার চেষ্টা করছেন। গত বুধবার রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার টেপা মধুপুর ইউনিয়নের চরঘোনাই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, তিস্তা স্রোতে ভেঙে পড়া বাড়ি নিজেরাই নদীতে মেশিন লাগিয়ে বালু তুলে রক্ষার চেষ্টা করছেন আছিয়া ও সেলিম দম্পতি। প্রতিবেশীরা পাশে থেকে তাদের পরামর্শ দিচ্ছেন।
ওই দম্পতি আমার দেশকে বলেন, আমাদের আগের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে, কিন্তু কেউ কখনো আমাদের অনুদান বা টাকাপয়সা দেয়নি। আমরা নিজেরাই নদী থেকে বালু তুলে বাড়িঘর রক্ষার চেষ্টা করছি। তবে এ ব্যবস্থা ক্ষণস্থায়ী, যে কোনো সময় নদীর স্রোতে আমাদের এ বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
তারা অভিযোগ করেন, সবাই শুধু দেখে, কেউ কোনো সাহায্য করে না। সাংবাদিকরা এসে ছবি তুলে নিয়ে যায়, কিন্তু সত্যিকারার্থে আমাদের ভিটেমাটি, বাড়িঘর, আবাসস্থল রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। আমরা চাই আমাদের স্থায়ী বন্দোবস্ত। নদীর পাড় রক্ষা করতে পারলে আমাদের বাড়িঘরসহ ফসলি জমি রক্ষা পাবে।
তারা জানান, শুকনো মৌসুমে নদীর চরে চিনা বাদামসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ধানচাষ করে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু এ বছর নদীতে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে চরের সাইডসহ নদীর পাড় ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদের জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
তারা বলেন, বর্তমানে আমাদের বাড়ির অবস্থান থেকে ৫০০ গজ নদীর ভেতরে বাড়ি ছিল। কিন্তু তিস্তার তীব্র স্রোত আমাদের সব স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে, আমাদের উচ্ছেদ করে এ কিনারে এনে ফেলেছে। এখন যতটুকু জায়গা রয়েছে, এটি ভেঙে গেলে বাড়ি করার মতো আমাদের আর জায়গা থাকবে না।
জানা যায়, এর আগে অনেকেই বাড়িঘর-ভিটেমাটি নদীগর্ভে হারিয়ে অন্যের জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। তবে কিছু মানুষ সরকারিভাবে গুচ্ছগ্রাম বা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে গিয়ে আশ্রিত হয়ে জীবন নির্বাহ করছে।
মধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম আমার দেশকে জানান, আমার এ টেপা মধুপুর ইউনিয়নের চারটি পয়েন্টে তিস্তার ভাঙন রয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকদিনের মধ্যেই পাঁচটি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে আবাদি জমি, গাছগাছালিসহ অনেকের ভিটেমাটি নদীগর্ভে চলে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছয় হাজার করে টাকা দেওয়া হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, তিস্তা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোতে আমরা জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করছি। তবে তীব্র স্রোতের কারণে অনেক এলাকায় আমরা পৌঁছানোর আগেই কিছু বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বলে শুনেছি । পর্যায়ক্রমে সব ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল আমার দেশকে জানান, তিস্তার তীব্র স্রোতের কারণে রংপুর জেলার গংগাচড়া কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার কয়েকটি পয়েন্টে তিস্তানদী ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা করতে সরকারের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার, টিন ও নগদ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।
নিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
১৫ মিনিট আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
৩৪ মিনিট আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
১ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হলে বর্তমান সরকার আর কোনো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারবে না। সে কারণে দ্রুত পিডি নিয়োগ করে নভেম্বরেই কাজ শুরু করতে হবে। সেটি করা না হলে সারা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে চীন টাকা না দিলেও নিজের টাকা দিয়ে কাজ শুরুর দাবি জানান তারা।
২ ঘণ্টা আগে