ভারত কখনও আমাদের বন্ধু হতে পারে না: এটিএম আজহারুল

রংপুর অফিস
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩: ৪৪

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, ভারত কখনও বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারে না। তারা বন্ধু হলে আমাদের স্বার্থের প্রতি খেয়াল থাকতো। ভারত ফারাক্কা ও গজলডোবার বাদ দিয়ে আমাদের নদীগুলোকে শুকনো মৌসুমে মরুভূমি বানিয়ে দেয়। আবার বর্ষাকালে পানি ছেড়ে দিয়ে তলিয়ে দেয়। এখনও আমরা তিস্তা নদীর ন্যায্য হিস্যা পাইনি। খরার সময় তিস্তা নদী দিয়ে গরুর গাড়ি চলে। তারা আন্তর্জাতিক নদী আইন মানে না। ভারত সবসময় তাদের স্বার্থের জন্য সবকিছু করতে পারে তারা শুধু নিতে জানে দিতে জানে না। ভারত আমাদের বন্ধু হলে অবশ্য অবশ্যই আমাদের স্বার্থগুলো দেখতো। বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি করত না।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বাগমারার হাটে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে পথসভায় এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির শাহ মোহাম্মদ রুস্তম আলী, সেক্রেটারি মাওলানা মিনহাজুল ইসলামসহ উপজেলা এবং ইউনিয়ন জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।

বিজ্ঞাপন

এটিএম আজহারুল বলেন, আমরা ঐকমত্য কমিশনে যে মতামত ব্যক্ত করেছি সেই মতামতগুলোকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে। কারণ এই মতামতগুলোর আইনি ভিত্তি না থাকলে সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

তিনি বলেন, সামনে নির্বাচনে সৎ যোগ্য এবং দেশ প্রেমিক ও নেই নীতিবান লোককে ভোট দিতে হবে। অসৎ লোককে ভোট দিলে তারা ভোট নেওয়ার পরে নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করে। এলাকার উন্নয়নে মনোনিবেশ করে না। সৎ ও আল্লাহভীরু মানুষ কখনও অন্যায় দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি করতে পারে না। তারা আখেরাতের কথা চিন্তা করে মানুষের কল্যাণের কথা ভাবে। এজন্য সামনে নির্বাচনে ভেবেচিন্তে ভোট দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার ছাত্র-জনতার খনি আওয়ামী সরকারের মতো দিনের ভোট আর রাতে হবে না। ভাই আপনারা নির্ভয়ে নির্দ্বিধায় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আপনাদের পছন্দের ভালো মানুষকে ভোট দিবেন। এবারে জোর করে কেউ কারো ভোট দিতে পারবে না নিতেও পারবেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে যারা নির্বাচনী আসনে এমপি পদপ্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে দলের হাই কমান্ডকে একটি টাকাও দিতে হয় না। অথচ অন্যান্য দলে হাইকমান্ডকে খুশি করতে না পারলে নমিনেশন পাওয়া যায় না। যে প্রার্থী তাদের হাই কমান্ডকে বেশি খুশি করতে পারেন তারাই সেই আসনের নমিনেশন পায়। টাকা দিয়ে নমিনেশন কিনে আবার ভোটারদেরকে টাকা দিয়ে ভোট নিলে তাদেরকে অবশ্যই অনিয়ম দুর্নীতি করতেই হবে। কারণ এত টাকা খরচ করে নমিনেশন নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়ে সেই টাকা তারা আগে তোলার চেষ্টা করে। এ কারণে এলাকার উন্নয়ন হয় না। জামায়াতে ইসলামের প্রার্থীরা এমপি নির্বাচিত হলে একটি টাকাও দুর্নীতি হবে না। কারণ জামায়াতের প্রার্থীরা সৎ এবং আল্লাহভীরু। তাই আগামী নির্বাচনে জামায়তের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বদরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির কামরুজ্জামান কবিরকে দেখতে রংপুর ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালে যান।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত