জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামের বিভিন্ন নদ-নদীর অববাহিকা ও চরাঞ্চলে বন্যার পর দেখা দিয়েছে তীব্র নদীভাঙন। এতে একের পর এক বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, বসতভিটা এবং সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করেও হিমশিম খাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
নদীভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন বহু পরিবার। এদের মধ্যে কেউ অন্যের জমিতে ঘর তুলেছেন, আবার কেউ রাস্তার পাশে বা বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়ে কোনোমতে দিন কাটাচ্ছেন।
প্রায় ৩০ বছর আগে কুড়িগ্রামের কোদালকাটি ইউনিয়নের পাইকান্টারী পাড়া গ্রামে সংসার শুরু করেছিলেন শাহার আলী ও রাবেয়া বেগম। এবার ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে তাদের ৩০ বছরের বসতভিটাটুকুও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভিটেটুকুর অবশিষ্ট অংশ ছেড়ে যেতেও তাদের মন চাইছে না। বারবার কেঁদে ভেঙে পড়ছেন তারা।
একই গ্রামের ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা সাহেরবানু বলেন, “নদীর ডাকে খুব ভয় লাগে। রাতের বেলায় নাতি-নাতনি নিয়া ঘুমাইতে পারিনা, কখন যে বাড়ি নদীতে যায় সেই ভয়ে ঘর ভাঙতেছি। আমার ছেলে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করে, বাড়িতে ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে আর আমরা ছাড়া কেউ নাই। এই ঘর কিভাবে ভাঙবো, আর কোথায় নিয়ে তুলবো কিছুই বুঝতেছি না।”
খয়রাত জামান নামের আরেক ভুক্তভোগী বলেন, “এটা আমার পৈতৃক ভিটা। এখানেই আমার জন্ম। আজ চোখের সামনে সব নদীর গর্ভে চলে গেলো, কিছুই করতে পারলাম না। এখন কোথাও গিয়ে যে বাড়ি করবো, সে জায়গাও আমার নেই। আপাতত রাস্তার পাশে কোনোমতে থাকছি।”
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি, রৌমারী উপজেলার চর শৌলমারী, সদর উপজেলার যাত্রাপুর ও পাঁচগাছি এবং উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি জায়গায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে কোদালকাটিতে পাকা রাস্তা ও কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাজার ও ইউনিয়ন পরিষদও ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, “চলতি বছর কুড়িগ্রামের পাঁচটি পয়েন্টে ভাঙন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি পয়েন্টে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ চলছে। বাকি দুইটি পয়েন্টেও দ্রুত কাজ শুরু হবে।”
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ তাদের ভিটেমাটি হারিয়েছেন। এ বছর ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে চিলমারী, উলিপুর, চর রাজিবপুর ও কুড়িগ্রাম সদরের প্রায় সাড়ে ৪০০ বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া রৌমারী ও রাজারহাট উপজেলার শতাধিক পরিবারও ভাঙনে নিঃস্ব হয়েছে।
কুড়িগ্রামের বিভিন্ন নদ-নদীর অববাহিকা ও চরাঞ্চলে বন্যার পর দেখা দিয়েছে তীব্র নদীভাঙন। এতে একের পর এক বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, বসতভিটা এবং সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করেও হিমশিম খাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
নদীভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন বহু পরিবার। এদের মধ্যে কেউ অন্যের জমিতে ঘর তুলেছেন, আবার কেউ রাস্তার পাশে বা বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়ে কোনোমতে দিন কাটাচ্ছেন।
প্রায় ৩০ বছর আগে কুড়িগ্রামের কোদালকাটি ইউনিয়নের পাইকান্টারী পাড়া গ্রামে সংসার শুরু করেছিলেন শাহার আলী ও রাবেয়া বেগম। এবার ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে তাদের ৩০ বছরের বসতভিটাটুকুও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভিটেটুকুর অবশিষ্ট অংশ ছেড়ে যেতেও তাদের মন চাইছে না। বারবার কেঁদে ভেঙে পড়ছেন তারা।
একই গ্রামের ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা সাহেরবানু বলেন, “নদীর ডাকে খুব ভয় লাগে। রাতের বেলায় নাতি-নাতনি নিয়া ঘুমাইতে পারিনা, কখন যে বাড়ি নদীতে যায় সেই ভয়ে ঘর ভাঙতেছি। আমার ছেলে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করে, বাড়িতে ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে আর আমরা ছাড়া কেউ নাই। এই ঘর কিভাবে ভাঙবো, আর কোথায় নিয়ে তুলবো কিছুই বুঝতেছি না।”
খয়রাত জামান নামের আরেক ভুক্তভোগী বলেন, “এটা আমার পৈতৃক ভিটা। এখানেই আমার জন্ম। আজ চোখের সামনে সব নদীর গর্ভে চলে গেলো, কিছুই করতে পারলাম না। এখন কোথাও গিয়ে যে বাড়ি করবো, সে জায়গাও আমার নেই। আপাতত রাস্তার পাশে কোনোমতে থাকছি।”
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি, রৌমারী উপজেলার চর শৌলমারী, সদর উপজেলার যাত্রাপুর ও পাঁচগাছি এবং উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি জায়গায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে কোদালকাটিতে পাকা রাস্তা ও কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাজার ও ইউনিয়ন পরিষদও ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, “চলতি বছর কুড়িগ্রামের পাঁচটি পয়েন্টে ভাঙন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি পয়েন্টে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ চলছে। বাকি দুইটি পয়েন্টেও দ্রুত কাজ শুরু হবে।”
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ তাদের ভিটেমাটি হারিয়েছেন। এ বছর ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে চিলমারী, উলিপুর, চর রাজিবপুর ও কুড়িগ্রাম সদরের প্রায় সাড়ে ৪০০ বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া রৌমারী ও রাজারহাট উপজেলার শতাধিক পরিবারও ভাঙনে নিঃস্ব হয়েছে।
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় পলাতক দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
৩৫ মিনিট আগেপরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে শামসুদ্দিন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ৬৪১৪৬০। ১৯৩৯ থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুরো ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এ যোদ্ধা।
৪২ মিনিট আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভেতরে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সাবেক নেতা। ঘটনার পর তাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক মো. রায়হান হাটহাজারি কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি।
১ ঘণ্টা আগেসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেরা ইলিশ মাছ ধরতে আসে তা জানার পরই সাথে সাথে কোস্টগার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা চাই দেশের মানুষ ইলিশ খাবে সাগরে যেন কেউ চুরি করে মাছ ধরতে না পারে সেজন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে