রংপুর মহানগরীর যানজট কমাতে অনিবন্ধিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের বিকল্প নেই বলে মত দিয়েছেন বক্তারা। ‘যানজট নিরসনে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এই মত দেন বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, প্রশাসন, বিআরটিএ ও সিটি কর্পোরেশন, ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর একটি হোটেল এ আলোচনা হয়। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোগে ও যুক্তরাজ্যের এফসিডিওর সহযোগিতায় এর আয়োজন করে রংপুরের মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম-এমএএফ।
বক্তারা বলেন, রংপুরে নিবন্ধিত সংখ্যার চেয়ে প্রায় দশগুণ অটোরিকশা চলাচল করছে। এসবই যানজটের প্রধান কারণ। এছাড়া চালকদের ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা নেই। ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন দোকানপাট গড়ে উঠেছে। পথচারীরা হাঁটছেন মূল সড়ক দিয়ে। সব মিলিয়ে শহরের ভেতরের সড়কে একটা বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। অনিবন্ধিত অটোরিকশা চলাচল বাতিল করতে না পারলে যানজট নিরসন সম্ভব নয়।
তারা বলেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া গড়ে উঠেছে নগরীর বিভিন্ন স্থাপনা ও সড়ক। এছাড়া নির্দিষ্ট স্টপেজ না থাকার কারণে যেখানে-সেখানে গাড়ি দাঁড়াচ্ছে। ফলে যানজট আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
যানজট নিরসনে সবার দাবি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন রংপুর বিআরটিএ, রংপুর সিটি কর্পোরেশন ও ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা। নতুন করে কোনো অটোরিকশার নিবন্ধন দেওয়া হবে না জানিয়ে তারা বলেন, নিবন্ধনবিহীন অটোরিকশা চলাচল বাতিল করলে যানবাহনের মনিটরিং ও চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া সহজ হবে। একই সঙ্গে নাগরিকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
রংপুর এমএএফ’র ইয়ুথ ফেলো আল আমিন ইসলামের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেন রংপুর বিআরটিএ সহকারী পরিচালক শফিকুল আলম সরকার, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব বিশ্বাস, ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক কেরামত আলী, কারমাইকেল কলেজ ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার আলী ইজাদ।

