রংপুরে অজ্ঞান পার্টির মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ১১

রংপুরে অজ্ঞান পার্টির মূলহোতাসহ ১১ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার র‍্যাব সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র‍্যাব-১৩ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহা. জয়নুল আবেদীন।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশেষ অভিযানে মহানগরীর হোটেল এম রহমান, হোটেল জামাল এবং হোটেল সানমুন থেকে আন্তজেলা অজ্ঞান পার্টির মূলহোতাসহ ১১ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরো বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিভিন্ন অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা সারাদেশে পশুরহাটে গরু ব্যবসায়ীদের চেতনানাশক ঘুমের ওষুধ এবং চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে তৈরি হালুয়া খাইয়ে অজ্ঞান করে তাদের কাছে থাকা বিপুল অর্থ লুটপাটসহ নানাভাবে সর্বস্বান্ত করার ফন্দিতে রয়েছে।

ঈদকে সামনে রেখে এই অজ্ঞান পার্টি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কোম্পানির ৪৫ পাতা (৪৫০ পিস) চেতনানাশক ওষুধ, বিভিন্ন সাইজের প্রায় ১০ কৌটা চেতনানাশক হালুয়া এবং ১টি পলিথিন ব্যাগে ১৭ পিস হালুয়া উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ফরিদপুর আলফাডাঙ্গা পাড়া গ্রামের ইমরান খান (৩৫), রাজবাড়ী পূর্ব বাগদুলীর আব্দুল সাদেক সেখ (২৫), আব্দুল লতিফ, সিরাজগঞ্জ রামপুরের খসরু আহমেদ (৪৬), গাইবান্ধার জয়নাল আবেদীন (৪৫), মুন্সীগঞ্জের চরবিশ্বনাথের মহিবুল (৪৫), টঙ্গিবাড়ী পুররা এলাকার চাঁন শরীফ ব্যাপারী (৬২), শ্রীনগর কামারখোলার রিপন (৫৫), মানিকগঞ্জের সমেতপুরের আ. সালাম (৪০), জামালপুরের ঘাসির পাড়ার আজাহার উদ্দিন (৬২), কুষ্টিয়ার রেজাউল ইসলাম (৫৫)।

কর্নেল মোহা. জয়নুল আবেদীন বলেন, এদের প্রত্যেকের নামে আন্তজেলা অজ্ঞান পার্টি হিসেবে বিভিন্ন জেলায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা গ্রামের ইমরান খান এই অজ্ঞান পার্টির মূলহোতা।

তার নির্দেশনায় বাকিরা বিভিন্ন গরুর হাটে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তাদের দেওয়া জবানবন্দি অনুযায়ী শুক্রবার দিনাজপুর জেলার আমবাড়ী গরুর হাটে তাদের কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা ছিল। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।