হাসির খোরাকের প্রতীক ইসির তালিকায় থাকে কীভাবে, প্রশ্ন সারজিসের

জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগড়
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০: ৪২

মুলা বেগুন প্রতীক নির্বাচন কমিশনের রুচিবোধের অভাব বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

বিজ্ঞাপন

রোববার বিকালে পঞ্চগড় শেরেবাংলা পার্কে বিভিন্ন এলাকার মসজিদ কমিটির সদস্যদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, যেসব মার্কা মানুষের হাসির খোরাক জোগায় তা নির্বাচন কমিশনের তালিকায় কীভাবে থাকে? এটাতো তাদেরও রুচিবোধের অভাব। এই জায়গাটা তাদের ঠিক করা উচিত। আমাদের কেন বলে দিতে হবে নির্বাচন কমিশনের প্রতীকে মুলা বেগুন খাট থালাবাটি এগুলো থাকতে পারে না। দেশে কি মার্কার অভাব পড়েছে? আমরা আশা করছি এটা তারা সংশোধন করবে। আইনগত কোন বাধা না থাকায় আমরা শাপলা ছাড়া অন্য কিছু ভাবছি না। আমরা সর্বশেষ তাদের সাদা শাপলা, লাল শাপলার অপশন দিয়েছিলাম। যদি একান্তই শাপলার সাথে যদি কিছু অ্যাড করতে হয়, তাতে আমাদের দ্বিমত থাকবে না।

আমরা স্পষ্ট দেখছি নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছাচারিতা করছে। তারা ক্ষমতার অপব্যবহারের চেষ্টা করছে। তারা কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এমন আচরণ করছে। এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। এর জন্য যদি আমাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হয় আমরা তা করবো। শাপলা নিয়েই আমরা নির্বাচন করবো।

এ সময় তিনি আরও বলেন, ভারত মহানন্দা নদীর উজানে তাদের স্লুইসগেটের ৯টি হঠাৎ করে ভোরে খুলে দেয়ায় বাংলাবান্ধায় একটি গ্রাম ঝুঁকিতে পড়েছে। নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে। আমরা ভারতকে বলতে চাই, তাদের আচরণ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মতো হতে হবে। তারা মন চাইলো নদীতে স্লুইসগেট দিলো, মন চাইলো আটকে রাখলো, মন চাইলো ছেড়ে দিলো। এমন কাজ করলে বাংলাদেশে অ্যান্টি ইন্ডিয়ান সেন্টিমেন্ট দিন দিন আরও প্রকট হবে। এটি দুই রাষ্ট্রের সম্পর্কের জন্য পজেটিভ কোনো বার্তা দেবে না।

এমন অনেক নদী আছে তাদের উৎপত্তি স্থল ভারতে নয়, নেপালে বা চায়নায়। তারা যদি এমনটি করে তাহলে ভারতকেও সমস্যায় পড়তে হবে। সব দিন কিন্তু ভারতের দিন নয়। দিন বাংলাদেশেরও আসবে এবং অন্য দেশগুলোরও আসবে। আমরা তাদের কাছে সমতার বা ভ্রাতৃত্বের আচরণ প্রত্যাশা করি। এর পাশাপাশি বলতে চাই, যতদিন তারা শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে না দিচ্ছে, বাংলাদেশের কাছে মানুষের কাছে যে সেন্টিমেন্ট তারা প্রত্যাশা করে তা কখনোই পাবে না।

এর আগে বাংলাবান্ধার মহানন্দার পাড়ে বাঁধ দেয়ার সময় বিএসএফ বাধা দিয়েছিল। এমনকি তারা গুলি ছুড়েছে। বাংলাদেশের নদীর পাড়ে আমরা ব্লক দিবো আর ওরা গুলি করবে- এই সাহস যদি এবার বিএসএফ করে তাহলে বিজিবি বলেন বাংলাদেশের মানুষ বলেন, এটার উপযুক্ত জবাব দেবে। ওরা ওদের পাশে যা করে আমরা তো কিছু বলতে যাই না। এখানেও তারা যেন কোনো স্পর্ধা না দেখায়। বাংলাদেশের জমি ও বসতভিটা রক্ষায় আমি পরিবেশ উপদেষ্টা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

পরে সারজিস জানান জেলার পাঁচ উপজেলার ১২০টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য এনসিপির মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার বরাদ্দ এনেছেন তিনি।পরে গণঅভ্যুত্থানসহ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহত ও আহতদের জন্য মোনাজাত করা হয়।

এ সময় এনসিপি পঞ্চগড় সদর উপজেলার প্রধান সমন্বয়ক নয়ন তানবীরুল বারীসহ এনসিপি ও জাতীয় যুবশক্তির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত