দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত করার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় উপজেলার ভাদুরিয়া বাজারে চারমাথা মোড়ে উপস্বাস্থকেন্দ্রকে ১০ শয্যা হাসপাতালে উন্নীতকরণের দাবিতে ভাদুরিয়ার ইউনিয়নের জনগণের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বহুবছর ধরে স্থাপিত এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা না থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ রোগীরা। বিশেষ করে গ্রামের মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যও ১৬কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
দীর্ঘদিনের এই সংকট তুলে ধরে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, এখানে প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই। এটিকে ১০ শয্যা করলে আমরা অন্তত ন্যূনতম স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতভাবে পাবো। তাই আমরা এই মানববন্ধন থেকে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে আবেদন করতেছি নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থকেন্দ্রটি ১০ শয্যা হাসপাতালে উন্নীত করার আহবান জানাই।
ভাদুরিয়া বাজারের ব্যবসায়ি গোলাম আজম মনির বলেন, এলাকার প্রায় ৫০-৬০ গ্রামের মানুষ এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু ছোট পরিসরে সেবা দিতে গিয়ে কেন্দ্রটি নিজেই সংকটে পড়ে। ১০ শয্যা হাসপাতালে উন্নীত হলে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে।
দিনাজপুর দক্ষিণ জেলা ইসলামি আন্দোলনের সভাপতি ডা নুর আলম সিদ্দিক মানববন্ধনে একাত্ত্বতা প্রকাশ করে বলেন, ভাদুরিয়ায় একটি ১০ শয্যা সুবিধাসম্পন্ন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা হলে প্রসূতি মা, শিশু, বৃদ্ধসহ জরুরি রোগীরা দ্রুত চিকিৎসা পাবেন। এছাড়া ছোটখাটো দুর্ঘটনা বা জরুরি সেবার জন্য দূরে যেতে হবে না।
ভাদুরিয়াবাসীর আশা, সরকার এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে ১০ শয্যা হাসপাতালে উন্নীত করে আধুনিক স্বাস্থ্যসেবার পথ আরও সুগম করবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুলাইমান মেহেদি বলেন, ভাদুরিয়া ইউনিয়ন উপস্বাস্থকেন্দ্রটি নবাবগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে অনেক দূরে হয়ে যায়। উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতিদিনই রোগীর চাপ থাকে। এখানে ১০ শয্যা হাসপাতাল হলে স্বাস্থ্যসেবার মান বেড়ে যাবে এবং ওই এলাকার মানুষের ভোগান্তি কমবে।

