ধানের জমিতে এ কেমন শত্রুতা!

উপজেলা প্রতিনিধি, পাবর্তীপুর (দিনাজপুর)
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬: ০৯
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬: ২০

পার্বতীপুর উপজেলার চন্ডিপুরে ইউনিয়নে রোপণকৃত আমন ধান ক্ষেতে ক্ষতিকারক কীটনাশক স্প্রে করে জমির ধান গাছ নষ্ট করে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। এতে আনুমানিক ২ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী কৃষক সিজিনুর রহমান ও মজিবর‌ রহমান ।

জানা গেছে, উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের বড় চন্ডিপুর চৈতাপাড়া গ্রামে ২ একর ১৪ শতক আমন ধানের গাছে বিষাক্ত ঘাসমারা ঔষধ স্প্রে করে প্রতিপক্ষরা। সরেজমিনে রোববার সকালে ধান ক্ষেত দেখতে পাওয়া যায় গাছ মরে হলুদ রং ধারণ করেছে।

বিজ্ঞাপন

‎ভুক্তভোগী কৃষক সিজিনুর রহমান ও মজিবর‌ রহমান বলেন, আমরা ২ জন মিলে বর্গাচাষি হিসাবে ধান রোপণ করি। কিন্তু পূর্ব শত্রুতার জেরে পুরাতন বাজারের উপেন্দ্রনাথ শীলের পুত্র গোপাল চন্দ্র শীল গত শুক্রবার রাতে ক্ষতিকর ঘাসমারা ওষুধ স্প্রে করেন। এতে ধানগাছ বিবর্ণ হয়ে মরে যায়।

‎ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সিজিনুর রহমান-মজিবর‌ রহমান বলেন, প্রতিপক্ষের সাথে তাদের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সেই শত্রুতার জেরে রাতের অাধারে প্রতিপক্ষরা আমাদের রোপনকৃত আমন ধান গাছে বিষাক্ত পদার্থ স্প্রে করে। এ ব্যাপারে পাবর্তীপুর মডেল থানায় মামলা হয়েছে।

এদিকে গোপাল চন্দ্র শীলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, জমিটি আমার পৈত্তিক সূত্রে পাওয়া। আমার কাগজ পত্র সব ঠিক আছে। আদালতে এ নিয়ে মামলা বিচারাধীন। আমি থাকি জমি থেকে ২০ কি.মি. দূর পাবর্তীপুর শহরে। কিভাবে ঔষধ স্প্রে করব।

পাবর্তীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিব হুসাইন আমার দেশ কে বলেন, আমাকে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেছে। তবে আমার ফিল্ড অফিসার কে সরেজমিনে পাঠাব। তিনি রিপোট দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাবর্তীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, মামলা পেয়েছি। আমি আইনগত ব্যবস্থা নিব।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত