
জসিম উদ্দিন, সুনামগঞ্জ

শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে ক্রমেই সুনামগঞ্জের রাজনীতিতে বিরোধী দলের ওপর নেমে আসে হামলা-মামলা আর নিপীড়নের কালো থাবা। আওয়ামী লীগ এবং পুলিশের তাণ্ডবে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী হয়ে পড়ে কোণঠাসা। সভা-সমাবেশের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব হতে শুরু করে।
বিনা উসকানিতে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা, গায়েবি মামলার বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে পড়েন আওয়ামীবিরোধী শিবিরের নেতাকর্মীরা। দলীয় কার্যালয়গুলোও অক্ষত ছিল না আওয়ামী লীগের তাণ্ডব থেকে। বিএনপি ও জামায়াতের দলীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন সময় ভাঙচুর চালায় আওয়ামী ক্যাডাররা।
রাজপথে সরকারবিরোধী স্লোগান তুললেই চলত পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সাঁড়াশি অভিযান। এমনকি জিহ্বা কেটে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতার কাছ থেকে। অন্যদিকে, বিরোধী মতের মানুষদের জন্য সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ছিল অনানুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ। শিক্ষিত যুবকরা সিএনজি অটো, লেগুনা, বাস কাউন্টারে চাকরি করতেও বাধ্য হন। অনেকে এলাকা ছেড়ে রাজধানীতে ছোটখাটো চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। হামলা-মামলার ভয়ে রাত কাটাতে হয়েছে পালিয়ে থেকে।
ছাত্রদল-ছাত্রশিবির নেতাদের হাজতখানায় নিয়ে নির্যাতন করত আওয়ামী দোসর পুলিশ সদস্যরা। নির্যাতনের ক্ষত-যন্ত্রণা এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকে। পুলিশি নির্যাতন ও আওয়ামী লীগের তাণ্ডবে ঈদের জামাত, জানাজাও আদায় করতে পারতেন না নেতাকর্মীরা। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের মানবাধিকার বলতে কিছুই ছিল না। এভাবেই কবিতা, গান আর জল-জোছনার সুনামগঞ্জ গত দেড় দশকে আবহমানকালের রাজনৈতিক সৌহার্দের পরিবেশ হারিয়েছে ফ্যাসিবাদের কালো থাবায়।
স্থানীয়ভাবে ফ্যাসিবাদ কায়েমে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট। তার প্রতিষ্ঠিত ত্রাসের রাজত্বে বিরোধী পক্ষ হারায় রাজনৈতিক অধিকার। শিকার হয় জুলুম-নির্যাতনের।
জেলা শহরকেন্দ্রিক ক্ষমতার দাপট খাটান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন ও তার ভাই পৌর মেয়র নাদের বখত। মুকুট-পলিন-নাদের ছাড়াও জেলা সদরের বাইরে তৎকালীন এমপি মুহিবুর রহমান মানিক, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, রণজিত সরকার, আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম, আবুল কালাম চৌধুরী, শামীম আহমদ চৌধুরী, মোশারফ মিয়া, প্রদীপ রায়, আব্দুল খালিক প্রমুখ ছিলেন ফ্যাসিবাদের পোস্টারবয়।
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের দুই খলিফা হাসনাত হোসেন ও নূর হোসেন ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন নিজ এলাকায়। সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি সূত্র জানায়, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে গেলে তাদের শহরে দাঁড়াতেও দেয়নি পুলিশ। পুরাতন বাসস্টেশন থেকে কামারখাল, ২০০ গজের মধ্যে সভা-সমাবেশ করতে বাধ্য করা হয় বিরোধী দলগুলোকে। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করতে চাইলে হামলা চালানো হতো সমাবেশ-মিছিলে। সঙ্গে ছিল নাশকতার গায়েবি মামলা। নিরপরাধ বিরোধী দলের

শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে ক্রমেই সুনামগঞ্জের রাজনীতিতে বিরোধী দলের ওপর নেমে আসে হামলা-মামলা আর নিপীড়নের কালো থাবা। আওয়ামী লীগ এবং পুলিশের তাণ্ডবে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী হয়ে পড়ে কোণঠাসা। সভা-সমাবেশের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব হতে শুরু করে।
বিনা উসকানিতে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা, গায়েবি মামলার বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে পড়েন আওয়ামীবিরোধী শিবিরের নেতাকর্মীরা। দলীয় কার্যালয়গুলোও অক্ষত ছিল না আওয়ামী লীগের তাণ্ডব থেকে। বিএনপি ও জামায়াতের দলীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন সময় ভাঙচুর চালায় আওয়ামী ক্যাডাররা।
রাজপথে সরকারবিরোধী স্লোগান তুললেই চলত পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সাঁড়াশি অভিযান। এমনকি জিহ্বা কেটে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতার কাছ থেকে। অন্যদিকে, বিরোধী মতের মানুষদের জন্য সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ছিল অনানুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ। শিক্ষিত যুবকরা সিএনজি অটো, লেগুনা, বাস কাউন্টারে চাকরি করতেও বাধ্য হন। অনেকে এলাকা ছেড়ে রাজধানীতে ছোটখাটো চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। হামলা-মামলার ভয়ে রাত কাটাতে হয়েছে পালিয়ে থেকে।
ছাত্রদল-ছাত্রশিবির নেতাদের হাজতখানায় নিয়ে নির্যাতন করত আওয়ামী দোসর পুলিশ সদস্যরা। নির্যাতনের ক্ষত-যন্ত্রণা এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকে। পুলিশি নির্যাতন ও আওয়ামী লীগের তাণ্ডবে ঈদের জামাত, জানাজাও আদায় করতে পারতেন না নেতাকর্মীরা। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের মানবাধিকার বলতে কিছুই ছিল না। এভাবেই কবিতা, গান আর জল-জোছনার সুনামগঞ্জ গত দেড় দশকে আবহমানকালের রাজনৈতিক সৌহার্দের পরিবেশ হারিয়েছে ফ্যাসিবাদের কালো থাবায়।
স্থানীয়ভাবে ফ্যাসিবাদ কায়েমে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট। তার প্রতিষ্ঠিত ত্রাসের রাজত্বে বিরোধী পক্ষ হারায় রাজনৈতিক অধিকার। শিকার হয় জুলুম-নির্যাতনের।
জেলা শহরকেন্দ্রিক ক্ষমতার দাপট খাটান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন ও তার ভাই পৌর মেয়র নাদের বখত। মুকুট-পলিন-নাদের ছাড়াও জেলা সদরের বাইরে তৎকালীন এমপি মুহিবুর রহমান মানিক, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, রণজিত সরকার, আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম, আবুল কালাম চৌধুরী, শামীম আহমদ চৌধুরী, মোশারফ মিয়া, প্রদীপ রায়, আব্দুল খালিক প্রমুখ ছিলেন ফ্যাসিবাদের পোস্টারবয়।
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের দুই খলিফা হাসনাত হোসেন ও নূর হোসেন ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন নিজ এলাকায়। সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি সূত্র জানায়, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে গেলে তাদের শহরে দাঁড়াতেও দেয়নি পুলিশ। পুরাতন বাসস্টেশন থেকে কামারখাল, ২০০ গজের মধ্যে সভা-সমাবেশ করতে বাধ্য করা হয় বিরোধী দলগুলোকে। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করতে চাইলে হামলা চালানো হতো সমাবেশ-মিছিলে। সঙ্গে ছিল নাশকতার গায়েবি মামলা। নিরপরাধ বিরোধী দলের

গোপালপুরে শতবর্ষ ধরে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে শশীমুখী উচ্চবিদ্যালয়। টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ীর হেমনগর এলাকায় অবস্থিত এই বিদ্যালয় এখন মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছে। ১৯০০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি এখনো গোপালপুরে শিক্ষার অন্যতম আলোকবর্তিকা হিসেবে পর
২১ মিনিট আগে
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ফাঁকা পড়ে থাকার বিষয়টি অবগত হয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২৪ মিনিট আগে
চলতি বছর হলিধানি এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে মালচিং পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন জাতের তরমুজ চাষ শুরু হয়েছে। মাচা পদ্ধতিতে ঝুলন্ত তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে । এই পদ্ধতিতে তরমুজের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক।
৩২ মিনিট আগে
গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় নরসিংদীর শিবপুর বিসিকে তিন বছরেও গড়ে ওঠেনি শিল্প-কারখানা। এছাড়াও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সৈয়দনগরে গড়ে তোলা ‘নরসিংদীর সম্প্রসারণকৃত বিসিক’ এখন অপরাধ ও অসামাজিক কার্যকলাপের স্থানে পরিণত হয়েছে। গেটে নেই কোনো পাহারাদার। গড়ে ওঠেনি কোনো শিল্প-কারখানা।
৩৫ মিনিট আগে