Ad T1

শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটিতে ৭ আ.লীগ নেতা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৫, ১৩: ৩৪
আপডেট : ১০ মে ২০২৫, ১৯: ৪৯

সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাত নেতাকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে বিএনপির একুশ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটিতে। সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলন এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদের তত্ত্বাবধানে এই আওয়ামী পুনর্বাসন হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের। এ নিয়ে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির পোড়খাওয়া তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে টাকার বিনিময়ে চিহ্নিত আওয়ামীরা স্থান করে নিচ্ছে বিএনপির কমিটিতে। এ বিষয়ে শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা সলিমনূরসহ বেশ কয়েকজন নেতা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউস এবং সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকীর কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

নবঘোষিত শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন, প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক রওশন খান সাগর, ৬ নম্বর সদস্য আনসার উদ্দিন, সাত নম্বর সদস্য ফারুক আহমদ, ১১ নম্বর সদস্য লুৎফর রহমান জায়গিরদার, ১৪ নম্বর সদস্য মাহির উদ্দিন, সর্বশেষ ২১ নম্বর সদস্য জিয়াউল হক সরাসরি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে ছিলেন এবং সাবেক মন্ত্রী আবদুল মান্নানের সহচর হিসেবে এলাকায় সুপরিচিত। তারা প্রত্যেকেই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দায়িত্বে থেকে সুবিধাভোগী। গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের সুবিধা নিয়ে হঠাৎ করে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে তাদের দেখে তৃণমূল নেতাকর্মীরা রীতিমতো হতাশ বলা চলে।

বিএনপির শান্তিগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান পাওয়া আওয়ামী লীগের নেতাদের গত ১৫ বছরের আমলনামা খুঁজে দেখা যায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং সাবেক মন্ত্রী আওয়ামী লীগের নেতা আবদুল মান্নানের অতি ঘনিষ্ঠ ছিলেন। মন্ত্রী আবদুল মান্নানের বাসভবনে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে হরহামেশাই দেখা গেছে উপজেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন এবং প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক রওশন খান সাগরকে। আবদুল মান্নানের বাসভবনে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের একাধিক ছবিও রয়েছে।

এ ছাড়া আওয়ামী লীগের উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাসায়ও বৈঠকের ছবিতে তাদের দেখা যাচ্ছে। ৬ নম্বর সদস্য আনসার উদ্দিনকেও পৃথকভাবে আবদুল মান্নানের বাসায় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে দেখা যেত সব সময়। বিভিন্ন ছবিতেও আবদুল মান্নানের বাসায় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তাকে দেখা যাচ্ছে।

আহ্বায়ক কমিটির ৭ নম্বর সদস্য ফারুক আহমদ সরাসরি আবদুল মান্নানের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে একজন খাস চামচায় পরিণত হয়েছিলেন। পুরস্কার হিসেবে আবদুল মান্নান তাকে উপজেলা চেয়ারম্যান বানিয়েছিলেন। এখন আবার তাদেরকে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হয়েছে সগৌরবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত