কাজী গোলাম কিবরিয়া, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার)
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ৪ নং সিন্দুরখাঁন ইউনিয়নের লংলিয়াছড়া এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলনের ধারা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন বালু ব্যবসায়ী ও ডায়না ট্রাক ড্রাইভারদের সহযোগিতায় প্রতিদিন নদী ও ছড়ার তলদেশ থেকে শত শত ঘনফুট বালু তুলে নেওয়া হচ্ছে।
ফিনলে চা বাগানের ভেতরের কুঞ্জবন, পাট্টার ব্রিজ, ইসলামপুর, কামারগাঁও, চিড়িগাঁও, বনগাঁও ও পারেরটং—এই সাতটি পয়েন্টে প্রতিদিন ১০০টির বেশি গাড়ি বালু তোলার জন্য ব্যবহৃত হয়। সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত ও ভোরবেলায় ডায়না ট্রাকে এসব বালু লোড করা হয়। পরে তা বিক্রি করা হয় হবিগঞ্জের মিরপুর এলাকায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্রিজের পাশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, ফলে সেতুগুলো এখন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে। বিশেষ করে লংলিয়াছড়ার পাট্টার ব্রিজ এবং চিড়িগাঁও স্টিল ব্রিজ নদীর পাড় ভাঙন ও মাটি সরে যাওয়ার কারণে যে কোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে ছড়ার পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হওয়ায় স্থানীয় কৃষিজমি ও জলাশয় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে নদী ও ছড়ার স্বাভাবিক গঠন নষ্ট হবে এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করলেও স্থায়ী সমাধান আসছে না। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের সহায়তায় এই অবৈধ বালু ব্যবসা চলমান। অভিযান শেষে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও পরে আবার বালু উত্তোলন পুরোদমে শুরু হয়।
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে শুধু সেতু নয়, পুরো এলাকার মানুষও বড় বিপদের মুখে পড়বে, পাশাপাশি পরিবেশের ক্ষতি অপূরণীয় হবে।
শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান ইউনিয়নে নদী ও ছড়া থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। ফেসবুক পোস্ট ও কমেন্টে তারা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের ঘণিষ্ঠ সহায়তার অভিযোগ তুলেছেন।
বিএনপি নেতা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস শহীদ নানু লিখেছেন, সরকারি সম্পদ দিনে-দুপুরে লুট হচ্ছে, অথচ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কোনো ভূমিকা নেই! বেতন নিতে আপত্তি নেই, কিন্তু দায়িত্ব পালনে নিশ্চুপ কেন?”
তার পোস্টে ইউপি সদস্য নুয়েল আহমেদ মন্তব্য করেছেন, বেতনের সঙ্গে বালু খেকোদের কাছ থেকে মাশোয়ারা নিলে উনি কালো চশমা পড়েই থাকবেন, তাদের নজরে কিছুই আসবে না।
লাহারপুর গ্রামের মো. আব্দুর রব লিখেছেন, এসিল্যান্ডের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদেরও কি চোখে পড়ে না, নাকি দেখে না দেখার ভান। গত কয়েক দিন আগে দেখলাম অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে সবাই তোলপাড় করি, লাইলা এখন কী ঘুমে ধরি, না মক্কলে পাই।
একই ইউনিয়নের আব্দুল আলী কমেন্টে বলছেন, হারাম ও হালাল যখন এক হয়ে যায়, তখন কিছুই থাকে না। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যদি টাকা পেয়ে যায়, তাহলে তাদের আর কিছু লাগে না, শুধু টাকা বানাইতে।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন শতাধিক ডায়না ট্রাকে অবৈধ বালু নদী ও ছড়া থেকে পাচার করা হচ্ছে। প্রশাসনের বারবার অভিযান হলেও কার্যকর সমাধান আসছে না। স্থানীয়দের মতে, প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীদের পেছনের ছাতা এবং সরকারি কর্মকর্তাদের নিশ্চুপতা এই লুটপাটকে দীর্ঘস্থায়ী করেছে।
নদী ও পরিবেশ রক্ষার জন্য স্থানীয়রা দাবি করছেন, এখনই যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে শুধু সরকারি সম্পদ নয়, পুরো এলাকার মানুষও বিপদে পড়বে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মুহিবুল্লাহ আকন বলেন- আমরা তো নিয়মিত অভিযান করছি। এরা রাতের বেলা বালু তুলে। আমাদের পূজার নিরাপত্তার জন্য ব্যস্ততা ছিল। আবার আমরা নিয়মিত অভিযানে যাবো।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ৪ নং সিন্দুরখাঁন ইউনিয়নের লংলিয়াছড়া এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলনের ধারা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন বালু ব্যবসায়ী ও ডায়না ট্রাক ড্রাইভারদের সহযোগিতায় প্রতিদিন নদী ও ছড়ার তলদেশ থেকে শত শত ঘনফুট বালু তুলে নেওয়া হচ্ছে।
ফিনলে চা বাগানের ভেতরের কুঞ্জবন, পাট্টার ব্রিজ, ইসলামপুর, কামারগাঁও, চিড়িগাঁও, বনগাঁও ও পারেরটং—এই সাতটি পয়েন্টে প্রতিদিন ১০০টির বেশি গাড়ি বালু তোলার জন্য ব্যবহৃত হয়। সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত ও ভোরবেলায় ডায়না ট্রাকে এসব বালু লোড করা হয়। পরে তা বিক্রি করা হয় হবিগঞ্জের মিরপুর এলাকায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্রিজের পাশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, ফলে সেতুগুলো এখন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে। বিশেষ করে লংলিয়াছড়ার পাট্টার ব্রিজ এবং চিড়িগাঁও স্টিল ব্রিজ নদীর পাড় ভাঙন ও মাটি সরে যাওয়ার কারণে যে কোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে ছড়ার পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হওয়ায় স্থানীয় কৃষিজমি ও জলাশয় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে নদী ও ছড়ার স্বাভাবিক গঠন নষ্ট হবে এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করলেও স্থায়ী সমাধান আসছে না। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের সহায়তায় এই অবৈধ বালু ব্যবসা চলমান। অভিযান শেষে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও পরে আবার বালু উত্তোলন পুরোদমে শুরু হয়।
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে শুধু সেতু নয়, পুরো এলাকার মানুষও বড় বিপদের মুখে পড়বে, পাশাপাশি পরিবেশের ক্ষতি অপূরণীয় হবে।
শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান ইউনিয়নে নদী ও ছড়া থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। ফেসবুক পোস্ট ও কমেন্টে তারা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের ঘণিষ্ঠ সহায়তার অভিযোগ তুলেছেন।
বিএনপি নেতা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস শহীদ নানু লিখেছেন, সরকারি সম্পদ দিনে-দুপুরে লুট হচ্ছে, অথচ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কোনো ভূমিকা নেই! বেতন নিতে আপত্তি নেই, কিন্তু দায়িত্ব পালনে নিশ্চুপ কেন?”
তার পোস্টে ইউপি সদস্য নুয়েল আহমেদ মন্তব্য করেছেন, বেতনের সঙ্গে বালু খেকোদের কাছ থেকে মাশোয়ারা নিলে উনি কালো চশমা পড়েই থাকবেন, তাদের নজরে কিছুই আসবে না।
লাহারপুর গ্রামের মো. আব্দুর রব লিখেছেন, এসিল্যান্ডের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদেরও কি চোখে পড়ে না, নাকি দেখে না দেখার ভান। গত কয়েক দিন আগে দেখলাম অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে সবাই তোলপাড় করি, লাইলা এখন কী ঘুমে ধরি, না মক্কলে পাই।
একই ইউনিয়নের আব্দুল আলী কমেন্টে বলছেন, হারাম ও হালাল যখন এক হয়ে যায়, তখন কিছুই থাকে না। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যদি টাকা পেয়ে যায়, তাহলে তাদের আর কিছু লাগে না, শুধু টাকা বানাইতে।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন শতাধিক ডায়না ট্রাকে অবৈধ বালু নদী ও ছড়া থেকে পাচার করা হচ্ছে। প্রশাসনের বারবার অভিযান হলেও কার্যকর সমাধান আসছে না। স্থানীয়দের মতে, প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীদের পেছনের ছাতা এবং সরকারি কর্মকর্তাদের নিশ্চুপতা এই লুটপাটকে দীর্ঘস্থায়ী করেছে।
নদী ও পরিবেশ রক্ষার জন্য স্থানীয়রা দাবি করছেন, এখনই যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে শুধু সরকারি সম্পদ নয়, পুরো এলাকার মানুষও বিপদে পড়বে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মুহিবুল্লাহ আকন বলেন- আমরা তো নিয়মিত অভিযান করছি। এরা রাতের বেলা বালু তুলে। আমাদের পূজার নিরাপত্তার জন্য ব্যস্ততা ছিল। আবার আমরা নিয়মিত অভিযানে যাবো।
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় পলাতক দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
৩১ মিনিট আগেপরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে শামসুদ্দিন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ৬৪১৪৬০। ১৯৩৯ থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুরো ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এ যোদ্ধা।
৩৮ মিনিট আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভেতরে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সাবেক নেতা। ঘটনার পর তাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক মো. রায়হান হাটহাজারি কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি।
১ ঘণ্টা আগেসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেরা ইলিশ মাছ ধরতে আসে তা জানার পরই সাথে সাথে কোস্টগার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা চাই দেশের মানুষ ইলিশ খাবে সাগরে যেন কেউ চুরি করে মাছ ধরতে না পারে সেজন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে