সাইফুর এম রেফুল, ওসমানীনগর (সিলেট)
সিলেটের উসমানীনগর উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের তাজপুর-বালাগঞ্জ রোডের পাশে দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীন রহস্যময় এক স্থাপনা। স্থানীয়দের কাছে এটি গায়েবি জামে মসজিদ নামে পরিচিত। মসজিদের সঠিক নির্মাণকাল ও নির্মাতার পরিচয় জানা না থাকলেও এটি আবিষ্কারের এক অলৌকিক কাহিনি লোকমুখে প্রচলিত।
জানা যায়, শাহজালাল (রা.)-এর সিলেটে আগমনের আগেই টুলটিকরে সাধক হযরত বোরহান উদ্দিন (রা.) ওরফে নূরউদ্দিন বসতি স্থাপন করেছিলেন। পরে শাহজালালের সফরসঙ্গী সৈয়দ উম্মর ছমর খন্দের তিন সন্তান— সৈয়দ মাহবুব খন্দকার, সৈয়দ তাহির খন্দকার এবং অপর আউলিয়া সৈয়দ ওসমান বোগদাদী বর্তমান উসমানপুরে আগমন করেন। সে সময় এ অঞ্চলে হিন্দু সম্প্রদায়ের বসতি ছিল।
তিন আউলিয়া একটি উঁচু টিলা বেছে নেন বসতির জন্য। টিলা কাটতে গিয়ে হঠাৎ কোদালের আঘাতে একটি পাকা স্থাপনার অংশ বেরিয়ে আসে। মুসলমানরা ভেবেছিলেন এটি হয়তো তাদের মসজিদ, তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা এটিকে তাদের মন্দির বলে দাবি করেন । পরবর্তী সময়ে উভয় পক্ষের সম্মতিতে খনন কাজ চলে। অবশেষে পাওয়া যায় আজকের এই গায়েবি মসজিদটি। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, এটা ছিল ঐশ্বরিক ইঙ্গিত, যা নতুন বসতির দিকনির্দেশনা দিয়েছিল।
শিল্পকলার নিখুঁত কারুকাজে ভরপুর এই মসজিদটির দেয়াল প্রায় আড়াই হাত পুরু। শত বছরের প্রাকৃতিক ক্ষয়-ক্ষতির পরও দেয়ালের গায়ে জেগে আছে প্রাচীন সভ্যতার স্পর্শ। অনেককাল বন-জঙ্গলে ঢাকা থাকলেও মসজিদটি আজও দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের এক নীরব সাক্ষী হয়ে।
সৈয়দ ওসমান বোগদাদী (রা.)-এর নাম অনুসারে এ গ্রামের নামকরণ হয় উসমানপুর। গ্রামের মানুষের স্মৃতিচারণে এখনো ভেসে ওঠে গায়েবি মসজিদের সেই রহস্যময় আবির্ভাবের গল্প।
স্থানীয় প্রবীণ দলিল লেখক শাহাব উদ্দিন মুহিত বলেন, আমাদের বাপ-দাদারা এই মসজিদের অলৌকিক আবির্ভাবের গল্প শুনিয়ে গেছেন। শত শত বছর ধরে এ মসজিদ মুসলমানদের আধ্যাত্মিক শক্তির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক আব্দুল হাই মোশাহিদ জানান, বর্তমান উসমানপুর ছিল একটি বৌদ্ধ অধ্যুষিত অঞ্চল, নাম ছিল ভগবানপুর। পরে হযরত উসমান বোগদাদীর নামানুসারে স্থানটির নাম হয় উসমানপুর। এই মসজিদটি হযরত শাহজালাল (র.)-এর আগমন পূর্বেকার আগন্তুক মুসলিমদের দ্বারা নির্মিত। এটি আমাদের ইতিহাসের এক জীবন্ত দলিল।
আজও যখন ভোরের আলোয় কিংবা বিকেলের শেষ রোদে এই মসজিদের দেয়াল ছুঁয়ে যায়, তখন মনে হয় সময়ের গভীর থেকে উঠে আসা ইতিহাস আমাদের ফিসফিস করে বলে যায়, আমরা ছিলাম, আমরা আছি, আমরা থাকব।
সিলেটের উসমানীনগর উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের তাজপুর-বালাগঞ্জ রোডের পাশে দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীন রহস্যময় এক স্থাপনা। স্থানীয়দের কাছে এটি গায়েবি জামে মসজিদ নামে পরিচিত। মসজিদের সঠিক নির্মাণকাল ও নির্মাতার পরিচয় জানা না থাকলেও এটি আবিষ্কারের এক অলৌকিক কাহিনি লোকমুখে প্রচলিত।
জানা যায়, শাহজালাল (রা.)-এর সিলেটে আগমনের আগেই টুলটিকরে সাধক হযরত বোরহান উদ্দিন (রা.) ওরফে নূরউদ্দিন বসতি স্থাপন করেছিলেন। পরে শাহজালালের সফরসঙ্গী সৈয়দ উম্মর ছমর খন্দের তিন সন্তান— সৈয়দ মাহবুব খন্দকার, সৈয়দ তাহির খন্দকার এবং অপর আউলিয়া সৈয়দ ওসমান বোগদাদী বর্তমান উসমানপুরে আগমন করেন। সে সময় এ অঞ্চলে হিন্দু সম্প্রদায়ের বসতি ছিল।
তিন আউলিয়া একটি উঁচু টিলা বেছে নেন বসতির জন্য। টিলা কাটতে গিয়ে হঠাৎ কোদালের আঘাতে একটি পাকা স্থাপনার অংশ বেরিয়ে আসে। মুসলমানরা ভেবেছিলেন এটি হয়তো তাদের মসজিদ, তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা এটিকে তাদের মন্দির বলে দাবি করেন । পরবর্তী সময়ে উভয় পক্ষের সম্মতিতে খনন কাজ চলে। অবশেষে পাওয়া যায় আজকের এই গায়েবি মসজিদটি। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, এটা ছিল ঐশ্বরিক ইঙ্গিত, যা নতুন বসতির দিকনির্দেশনা দিয়েছিল।
শিল্পকলার নিখুঁত কারুকাজে ভরপুর এই মসজিদটির দেয়াল প্রায় আড়াই হাত পুরু। শত বছরের প্রাকৃতিক ক্ষয়-ক্ষতির পরও দেয়ালের গায়ে জেগে আছে প্রাচীন সভ্যতার স্পর্শ। অনেককাল বন-জঙ্গলে ঢাকা থাকলেও মসজিদটি আজও দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের এক নীরব সাক্ষী হয়ে।
সৈয়দ ওসমান বোগদাদী (রা.)-এর নাম অনুসারে এ গ্রামের নামকরণ হয় উসমানপুর। গ্রামের মানুষের স্মৃতিচারণে এখনো ভেসে ওঠে গায়েবি মসজিদের সেই রহস্যময় আবির্ভাবের গল্প।
স্থানীয় প্রবীণ দলিল লেখক শাহাব উদ্দিন মুহিত বলেন, আমাদের বাপ-দাদারা এই মসজিদের অলৌকিক আবির্ভাবের গল্প শুনিয়ে গেছেন। শত শত বছর ধরে এ মসজিদ মুসলমানদের আধ্যাত্মিক শক্তির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক আব্দুল হাই মোশাহিদ জানান, বর্তমান উসমানপুর ছিল একটি বৌদ্ধ অধ্যুষিত অঞ্চল, নাম ছিল ভগবানপুর। পরে হযরত উসমান বোগদাদীর নামানুসারে স্থানটির নাম হয় উসমানপুর। এই মসজিদটি হযরত শাহজালাল (র.)-এর আগমন পূর্বেকার আগন্তুক মুসলিমদের দ্বারা নির্মিত। এটি আমাদের ইতিহাসের এক জীবন্ত দলিল।
আজও যখন ভোরের আলোয় কিংবা বিকেলের শেষ রোদে এই মসজিদের দেয়াল ছুঁয়ে যায়, তখন মনে হয় সময়ের গভীর থেকে উঠে আসা ইতিহাস আমাদের ফিসফিস করে বলে যায়, আমরা ছিলাম, আমরা আছি, আমরা থাকব।
নিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
১৫ মিনিট আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
৩৪ মিনিট আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
১ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হলে বর্তমান সরকার আর কোনো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারবে না। সে কারণে দ্রুত পিডি নিয়োগ করে নভেম্বরেই কাজ শুরু করতে হবে। সেটি করা না হলে সারা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে চীন টাকা না দিলেও নিজের টাকা দিয়ে কাজ শুরুর দাবি জানান তারা।
২ ঘণ্টা আগে