অডিও ভাইরাল

প্রধান শিক্ষককে পেটানোর হুমকি দিয়েছেন বিএনপি নেতা রাজা মিয়া

জেলা প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৫, ২২: ১৪
আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৫, ০০: ১৫

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে চিলাউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হককে মুঠো ফোনে পেঠানোর হুমকি দিলেন বিএনপির এক নেতা। তিনি হলেন উপজেলার হলদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য ডা. রাজা মিয়া।

বিজ্ঞাপন

এসএসসির ফলাফল বিএনপির এই নেতাকে না জানানোর কারণে এ হুমকি দেন তিনি। মোবাইল ফোনে প্রধান শিক্ষককে ওই বিএনপি নেতার ভয়েস রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে বিএনপি এই নেতার এমন হুমকির কথা জানাজানি হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত ব্যবস্তা নিচ্ছে না উপজেলা বিএনপির নেতারা।

অডিও রেকর্ডে বিএনপির ঐ নেতাকে বলতে শুনা যায়, কিতাবা মানুষের ঘরে ঘরে কইয়া গেলা কে পাস করছে, কে ফেইল করছে। আমার সামনে দিয়া গেলা আমারে মাতাইলা না। এ কথার জবাব দিতে না দিতেই তিনি বলেন ঐ বেঠা তুইতো বেয়াদব, আমার হাতের পিঠা খাইছছ না। পিঠা দিলে কোন বাপে তোরে ফিরাইত না। বেয়াদবের ঘরে বেয়াদব। খবিসের ঘরে খবিস। তোরে পিঠাইমু। আমার ফোন ধরস না। আমারে দাওয়াত দেসনা। তোরে কিন্তু পিঠাইমু।

চিলাউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক বলেন, প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক জানান, স্কুলের মাঠে মাটি ভরাটের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একটি বরাদ্দ দেন। বরাদ্দের টাকা পয়সা খেতে না পেরে এ নিয়ে তিনি আমার ওপর ক্ষুব্ধ। এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট বের হলে তাকে কেন আমি রেজাল্ট জানাইনি। এ নিয়ে ফোন করে গালিগালাজ ও হুমকি দেন। আমি আমার এক শিক্ষককে নিয়ে তার দোকানে গিয়ে দেখা করে বিষয়টি বুঝিয়ে বলতে চাইলে তিনি আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তার নাতীকে পাঠিয়েও স্কুলে হুমকি দেন। ভয়াবহ অবস্থা আমি ভয়ে আছি। আমি ভয়ভীতির মধ্যে আছি। কি করব ভেবে পাচ্ছি না।

এবিষয়ে জানতে ডা. রাজা মিয়াকে একাধিকবার ফোন করার পরও কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

তবে এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবু হুরায়রা ছাদ মাস্টার বলেন, এই মাত্র ফেসবুকে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। দলের একজন নেতা হিসেবে এমন আচরণ কাম্য নয়। তবে রাজা মিয়া একজন শান্ত মানুষ। জানি না কেন এমনটি হয়েছে। আমরা হুমকির ঘটনাটি যাচাই করব। সত্য প্রমাণিত হলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্তা নেবো।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত