ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়ি ঢল আসার কারণে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে হাওর, নদী, জলাশয়সহ নিম্নাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।
তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের আনোয়ারপুর ব্রিজের পূর্ব পাশে সড়কের উপর পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে।
অপরদিকে দিক্ষন বড়দল ইউনিয়নের বড়দল গ্রামের পুরাতন হাঠি ও নতুন হাঠির মধ্যের খালটি পাহাড়ি ঢলের পানির থোরে ভেঙ্গে যাওয়ায় পুরাতন হাঠি গ্রামে নতুন করে আরও কয়েকটি পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে। সেই সাথে খালের দিক্ষনপাড়ে মাটি সরে গিয়ে হুমকিতে পড়েছে বড়দল নতুন হাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদালয় ভবন।
শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১২৫ মিলিমিটার। সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ২ সেন্টিমিটার। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শনিবার রাতেই উপজেলার ৭টি ইউনিয়ননে ৩৪টি বন্যাশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বড়দল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাত্র অভিবাবক আশরাফুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ি ঢলের পানির তীব্র স্রোতে স্কুল ভবনের নিচের মাটি সরে গেছে। মাটি সরে যাওয়ায় ভবনটি মারাত্মক হুমকিতে পড়েছে।
বড়দল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (নতুনহাটি) প্রধান শিক্ষক রুখসানা আক্তার চৌধুরী জানান, বিদ্যালয় ভবনটি খালের তীরে অবস্থিত। পাহাড়ি ঢলের পানির থোরে খালটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই বিদ্যালয় ভবনটি হুমখির মুখে পড়েছে। দুপুরে ভবনের পানির নিচের বর্তমান অবস্থা জানতে পানিতে লোক নামিয়েছিলাম। তিনি জানালেন পানির চাপে ভবনের নিচের অনেক মাটি সরে গেছে। ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিতেও ভয় পাচ্ছি।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল হাসেম জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ৩৪টি বন্যাশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে ভেঙ্গে যাওয়া বড়দল গ্রামের বসতবাড়ি সরেজমিনে ঘুরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

