নাইম জীবিত উদ্ধার, তাহলে দাফন করা লাশটি কার!

উপজেলা প্রতিনিধি, ওসমানীনগর (সিলেট)
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ১০: ০৭

সিলেটের ওসমানীনগরে ঘটলো এক অবিশ্বাস্য, মর্মান্তিক ঘটনা। নিখোঁজ হওয়ার পর এক অজ্ঞাত লাশ শনাক্ত করে শিশু রবিউল ইসলাম নাইমের (১৪) বলে দাফন করা হয়েছিল। অথচ সেই নাইম দাফনের ১৭ দিন পর জীবিত উদ্ধার হয়েছে!

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় স্তম্ভিত এলাকাবাসী। পরিবার যে ভুল লাশটি দাফন করেছে, তার পরিচয় আজও অজানা। অথচ নাইমকে হত্যা করা হয়েছে, এমন মামলায় এক ব্যবসায়ী এখনো কারাগারে।

২৪ জুলাই নিখোঁজ হয় রেস্টুরেন্টকর্মী নাইম। ৩ আগস্ট কুলাউড়া থানা পুলিশ উদ্ধার করে অজ্ঞাত এক কিশোরের লাশ। পরে পরিবার তড়িঘড়ি করে সেটি নাইমের লাশ হিসেবে শনাক্ত করে দাফন করেন।

কিন্তু লাশ দাফনের দিনই থানায় মামলা নিতে গড়িমসি করে পুলিশ। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ পরিবার মহাসড়ক অবরোধ করলে চাপের মুখে হত্যা মামলা নেয় কুলাউড়া থানা। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বগুড়ার ব্যবসায়ী বুলবুল ফকিরকে, যিনি এখনও কারাগারে বন্দি।

শনিবার (২৩ আগস্ট) নাইমকে উদ্ধার করা হয় নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে। কুলাউড়া থানার এসআই মুস্তাফিজুর রহমান তদন্ত করতে গিয়ে তাকে জীবিত উদ্ধার করেন।

স্থানীয়দের প্রশ্ন- ডিএনএ টেস্ট ছাড়াই পুলিশ অজ্ঞাত লাশ নাইমের পরিবারের হাতে তুলে দিলো কেন?একজন নির্দোষ মানুষকে জেলে পাঠানো হলো কেন? যেহেতু নাইম জীবিত আছে, তবে দাফন করা লাশটি কার?

নাঈমকে জীবিত উদ্ধারের বিষয়ে প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামান্য সতর্কতায় এই বিভ্রান্তি এড়ানো যেত। পুলিশের ব্যর্থতায় একটি পরিবার শেষ হতে গিয়েছিল।

এদিকে অজ্ঞাত ওই লাশের পরিচয় উদঘাটনে এখন কার কোনো তাগাদা নেই। তদন্তে পুলিশের অবহেলা ও গড়িমসি মানুষের আস্থা টলিয়ে দিয়েছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত