ভারতের পাহাড়ি ঢলে বিপৎসীমার ওপর সুরমা-কুশিয়ারা

সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৫, ১৬: ৫৪

ভারতের পাহাড়ি ঢলে সিলেটে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সোমবার (২ জুন) দুপুর ১২টা পর্যন্ত সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৪টি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চলে নতুন করে বন্যার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্ট এবং কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি ১৩.৬২ সেমি, অমলশিদে কুশিয়ারা নদীর পানি ১৭.২৫ সেমি, শেওলায় কুশিয়ারা নদীর পানি ১৩.৫১ সেমি এবং ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি ৯.৭৯ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে সতর্ক রাখা হয়েছে। নিচু এলাকা ও প্লাবনপ্রবণ অঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মোকাবিলায় আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।

পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আজিজুন্নাহার বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া স্থিতিশীল হলে পুনরায় পর্যটনকেন্দ্রটি খুলে দেওয়া হবে।

গোয়াইনঘাটের ইউএনও রতন কুমার অধিকারী জানান, নদ-নদীতে প্রচুর পানি থাকলেও এখন জাফলংয়ে পানি স্থির ও শান্ত আছে। তাই এ পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ করা হয়নি। মাঝিরা নিরাপদ মনে করলেই নৌ চলাচল শুরু, নতুবা বন্ধ রাখতে পারবেন।

এদিকে জেলার গোয়াইনঘাটের জলার বন রাতারগুল ও বিছনাকান্দি এবং জৈন্তাপুরের লালাখালে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কোনো পর্যটনকেন্দ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেনি স্থানীয় প্রশাসন।

সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক আবদুর রহমান রিপন বলেন, ভারী বৃষ্টিসহ নানা কারণে এবারের ঈদের কেনাকাটায় স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে পর্যটনকেন্দ্রিক স্থানগুলোতে পানি আসায় ঈদের ছুটিতে পর্যটক আসবেন কি না। এ নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, সাদাপাথর ছাড়া কোনো পর্যটনকেন্দ্রই বন্ধ করা হয়নি। স্রোতের তীব্রতা থাকলে মাঝিরা নিজ উদ্যোগেই পর্যটনকেন্দ্র ঘুরে বেড়ানোর নৌ চলাচল বন্ধ রাখেন। তবে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার সময় যেহেতু আরও বাকি আছে, তাই এ সময়ে পানি বাড়ার হার দেখে পর্যটনকেন্দ্রগুলোর বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত