ফেসবুকে জাদুকাটা নদীর বালু উত্তোলনের বিষয়ে পোস্ট ও বালু লুটের খবর সেনাবাহিনীকে জানানোর জেরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তানিম আহমেদ লিংকনকে গালিগালাজ ও হুমকি দিলেন তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।
ওসি এবং কৃষক দলের ওই নেতার মধ্যকার এই কথোপকথনের কিছু অংশ রেকর্ড করে লিংকন ফেসবুকে পোস্ট করলে তা ভাইরাল হয়।
তানিম আহমেদ লিংকন জানান, যাদুকাটা নদী থেকে কোটি কোটি টাকার বালু লুটের বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে অবহিত করেন তিনি। লিংকন সেনাবাহিনীকে জানান, প্রতিদিন রাতে অসংখ্য বালুভর্তি বাল্কহেড তাদের বাড়ির পাশে (উজান তাহিরপুর গ্রামের পাশ দিয়ে) বৌলাই নদী দিয়ে চলাচল করে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে লিপিবদ্ধ করা হয় এবং কোথায় সরেজমিন গেলে এই লুটপাটের চিত্র দেখা যাবে জানতে চাইলে তিনি তাহিরপুরের বাদাঘাটের লাউড়েরগড় থেকে আনোয়ারপুরের ফাজিলপুরের বৌলাই নদীর মুখ পর্যন্ত এলাকার কথা উল্লেখ করেন।
এ তথ্য জানানোর পর গত বৃহস্পতিবার রাত দুইটায় তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন তাকে ফোন করে বকাঝকা করেন। ওসি এ সময় ধমক দিয়ে বলেন, ‘তুমি তো বালু লুটপাট করো, তোমাকে থানায় আনার জন্য বলেছে।’
আরেকটি ফোনালাপে ওসিকে বলতে শোনা যায়, ‘তোমার কেমন সাহস, তুমি কত বড় ডাকাইত, ফেসবুকে কী লিখেছো, আমি কাল তোমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।’
লিংকন এ প্রতিবেদককে বলেন, ওসি সাহেব আমাকে এমনভাবে গালিগালাজ করেছেন, যা আমি সহ্য করতে পারিনি। একপর্যায়ে সবাইকে জানানোর জন্য ওই গালিগালাজের কিছু অংশ রেকর্ড করে ফেসবুকে ছাড়ি।
সুনামগঞ্জ জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আনিসুল হক বলেন, লিংকনের সঙ্গে ওসির আচরণ খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি নিয়ে আমরা বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন আমার দেশকে বলেন, লিংকনের সাথে আমার কোনো ঝামেলা নাই। তিনি তথ্য-প্রমাণ ছাড়া আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।

