ধান-চাল ক্রয়ে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং করা হবে: খাদ্য উপদেষ্টা

খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, ধান-চাল ক্রয়ে মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং করা হবে। কাউকে হয়রানি করা চলবে না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকার এ জেলা থেকে ধান কিনবে। আমরা ধানের মূল্য ও কৃষকের সংখ্যা নির্ধারণ করে দিয়েছি। প্রয়োজনে কৃষকের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলা খাদ্য গুদামে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে কৃষকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

ফসলের উপযুক্ত মূল্য দিতে না পারলে কৃষকরা চাষে উৎসাহ হারাবে। তাই সরকার ধানের মূল্য নির্ধারণ করেছে। এতে বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। আপনারা মিডিয়াকর্মীরা বিষয়টি মানুষের মাঝে তুলে ধরতে আহবান জানান তিনি।

খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, সরকারের কাছে যথেষ্ট খাদ্যশষ্য মজুদ আছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই। পাশাপাশি এ বছর কৃষকদের কাছ থেকে বাড়তি দামে ধান কেনা হচ্ছে। এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এবার সবকিছু ঠিক থাকলে খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকবে। সরকারের খাদ্য গুদামে ধারন ক্ষমতা কম। ২২ লাখ টন মজুদ করা যায়। এর সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। প্রান্তিক কৃষকদের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে সরকারের চেষ্টা আছে। হাওরের ধান মাঠ থেকে বাড়ি আনতে কৃষকের রাস্তাঘাটে ভোগান্তি হয়। সরকার হাওরের রাস্তা পাকাকরণের ব্যবস্থাগ্রহণে চেষ্টা করবে।

হাওরের জলমহাল নিয়ে তিনি বলেন, জলমহাল নিয়ন্ত্রণের পেছনে একধরনের লোক থাকেন। প্রকৃত জেলেরা সুবিধা ভোগ করতে পারেন না। জলদাস হয়ে থাকেন কৃষকরা। এসব বিষয় নিয়ে সরকার ভাবছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক ড. ইলিয়াস মিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, রেজাউল করিম, সমর কুমার পাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা, সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক মোস্তফা ইকবাল আজাদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, এবছর সুনামগঞ্জে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৬৪৫ মেট্রিক টন। ৩৬ টাকা কেজি দরে ১৪৪০ টাকা মণ ধান সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করবে সরকার।