
সিলেট ব্যুরো

সিলেটে পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (ওয়াসা) গঠনের প্রায় সাড়ে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগই নেই এখনো। মূলত বিষয়টি কাগজে-কলমে ও প্রজ্ঞাপনেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। নগরবাসী বলছেন, সিলেট ওয়াসা গঠনের নামে প্রতারণা করেছেন ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন। তার চাপে ২০২২ সালের ২ মার্চ দেশের পঞ্চম ওয়াসা হিসেবে সিলেট ওয়াসা প্রতিষ্ঠা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সে সময়ের সরকার কোনো পরিকল্পনা ও বাজেট বরাদ্দ ছাড়াই সিলেট ওয়াসা গঠন করে, যা আইনেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রায় এক বছর হলেও এই প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখেনি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সিলেট ওয়াসা গঠনের প্রস্তাব বিগত সরকারের সময় উঠলেও তা পাস হয়নি।
নগরবাসী বলছেন, নগরীতে যে ভয়াবহ পানি সংকট, তা থেকে উত্তরণে কার্যকর পদক্ষেপ হবে ওয়াসার কার্যক্রম শুরু করা। কিন্তু প্রজ্ঞাপন জারির নামে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সিলেটবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে। যার দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নগরবাসী।
তারা বলছেন, প্রতিদিন চাহিদার অর্ধেকও পূরণ করতে পারছে না সিলেট সিটি করপোরেশনের পানি সরবরাহ শাখা। নগরের ৪২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টি এখনো পানি সরবরাহের বাইরে রয়েছে। যেগুলোতে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে, তারাও নিয়মিত পাচ্ছেন না।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২০২২ সালের ২ মার্চ দেশের পঞ্চম ওয়াসা হিসেবে সিলেট ওয়াসা প্রতিষ্ঠা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ওই দিন পৃথক আরেকটি স্মারকে সিলেট ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নগরের পানি সরবরাহ কার্যক্রম সিলেট সিটি করপোরেশনকে অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ না হওয়ায় এখনো সিটি কর্তৃপক্ষই পানি সরবরাহ করছে।
২০২২ সালের ৫ জুন থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত চার ধাপে ১১ সদস্যবিশিষ্ট ওয়াসা বোর্ড গঠিত হয়। পরে ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক এ কে এম হাফিজকে বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়। তিনি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের ভাগনি জামাই।
জানা গেছে, শুধু বোর্ড গঠন ও চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েই দায় সারে তৎকালীন সরকার। কার্যক্রম শুরু করার জন্য দেওয়া হয়নি বাজেট বরাদ্দ। তৈরি করা হয়নি জনবল কাঠামো। নিয়োগ দেওয়া হয়নি ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ফলে ওয়াসার কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ১৮৭৮ সালে পৌনে দুই বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত সিলেট পৌরসভা ২০০২ সালে সিটি করপোরেশনের উন্নীত হয়ে পরিধি বেড়ে দাঁড়ায় ২৬ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার। ২০১৪ সালে আয়তন আরো বড় করার উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন। এরপর ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট সিটি করপোরেশন সম্প্রসারণ করে ২৭টি ওয়ার্ড থেকে ৪২টি ওয়ার্ডে বর্ধিত করা হয়েছে। নগরের এখনকার আয়তন প্রায় ৮০ বর্গকিলোমিটার। বাসিন্দা প্রায় ১০ লাখ।
সিটি করপোরেশনের পানি শাখা জানায়, পুরোনো ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৪টিতে তারা পানি সরবরাহ করছে। বর্ধিত ১৫টি ওয়ার্ডে পানির সঞ্চালন লাইন এখনো স্থাপিত হয়নি। ২৪টি ওয়ার্ডে দৈনিক সাড়ে ৮ কোটি লিটার চাহিদার বিপরীতে সিটি দিচ্ছে ৫ কোটি লিটার। এছাড়া ৪২টি ওয়ার্ডে দৈনিক পানির চাহিদা সাড়ে ১২ কোটি লিটার।
সূত্র জানিয়েছে, ২০২৪ সালের এপ্রিলে সিলেট ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পান সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে তিনটি দায়িত্ব দিয়ে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশনা দেয়।
দায়িত্বগুলো হলো— সিলেট ওয়াসার অর্গানোগ্রাম তৈরি, সিটি করপোরেশনের বিদ্যমান পানি শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে কীভাবে ওয়াসা চালু করা যায়, সে সম্পর্কিত পরিকল্পনা প্রদান ও সিটির পানি সরবরাহ শাখার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে জানানো।
সিটির প্রকৌশল শাখা প্রতিবেদন পাঠিয়েছে বেশ আগে। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে ফিরতি কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
জানা গেছে, বর্তমানে সিলেট নগরীর অধিকাংশ এলাকায় সঠিক সময়ে পানি সরবরাহে হিমশিম খাচ্ছে সিটি করপোরেশন। বিশেষ করে ৭নং ওয়ার্ডের জালালাবাদ আবাসিক এলাকায় পানি সরবরাহে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে প্রতি সপ্তাহে। প্রায় সময়ই হাউস পাম্প নষ্ট থাকায় দুই-তিন দিন পর্যন্ত পানি পান না অনেক এলাকার গ্রাহকরা।
আবার অনেক এলাকায় ময়লাযুক্ত পানি সরবরাহ করা হয়। এসব পানির সঙ্গে বালু ও ময়লা থাকায় তা ব্যবহার অনুপযোগী। বছরের পর বছর ধরে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেও প্রতিকার পান না এলাকার বাসিন্দারা। অবিলম্বে পানি সরবরাহ লাইন সংস্কার করে সুপেয় পানি সরবরাহের দাবি এলাকাবাসীর।
জানতে চাইলে সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান আমার দেশকে বলেন, আমাকে ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলীর অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ওয়াসার কার্যক্রম শুরু করতে আমাকে তিনটি বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হলে আমি সেগুলো প্রস্তুত করে অনেক আগেই পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত ওয়াসার কার্যক্রম শুরুর তথ্য আমার কাছে নেই।
এ বিষয়ে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার আমার দেশকে বলেন, সিলেটে ওয়াসার কার্যক্রম অনুভব করি। আমরাও চাই দ্রুত ওয়াসা চালু হোক। চালুর বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে কিছু জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পানি সরবরাহ শাখা-২ এর উপসচিব আশফিকুন নাহার আমার দেশকে বলেন, সিলেট ওয়াসা গঠনের একটি প্রস্তাব বিগত সরকারের সময় উঠেছিল, কিন্তু সেই প্রস্তাবটি পাস হয়নি।
তাহলে বিগত সরকার কীভাবে ওয়াসার বোর্ড গঠন ও সদস্য নিয়োগ করেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি পানি সরবরাহ শাখায় নতুন। তাই বিষয়টি আমি বলতে পারছি না।

সিলেটে পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (ওয়াসা) গঠনের প্রায় সাড়ে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগই নেই এখনো। মূলত বিষয়টি কাগজে-কলমে ও প্রজ্ঞাপনেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। নগরবাসী বলছেন, সিলেট ওয়াসা গঠনের নামে প্রতারণা করেছেন ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন। তার চাপে ২০২২ সালের ২ মার্চ দেশের পঞ্চম ওয়াসা হিসেবে সিলেট ওয়াসা প্রতিষ্ঠা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সে সময়ের সরকার কোনো পরিকল্পনা ও বাজেট বরাদ্দ ছাড়াই সিলেট ওয়াসা গঠন করে, যা আইনেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রায় এক বছর হলেও এই প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখেনি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সিলেট ওয়াসা গঠনের প্রস্তাব বিগত সরকারের সময় উঠলেও তা পাস হয়নি।
নগরবাসী বলছেন, নগরীতে যে ভয়াবহ পানি সংকট, তা থেকে উত্তরণে কার্যকর পদক্ষেপ হবে ওয়াসার কার্যক্রম শুরু করা। কিন্তু প্রজ্ঞাপন জারির নামে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সিলেটবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে। যার দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নগরবাসী।
তারা বলছেন, প্রতিদিন চাহিদার অর্ধেকও পূরণ করতে পারছে না সিলেট সিটি করপোরেশনের পানি সরবরাহ শাখা। নগরের ৪২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টি এখনো পানি সরবরাহের বাইরে রয়েছে। যেগুলোতে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে, তারাও নিয়মিত পাচ্ছেন না।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২০২২ সালের ২ মার্চ দেশের পঞ্চম ওয়াসা হিসেবে সিলেট ওয়াসা প্রতিষ্ঠা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ওই দিন পৃথক আরেকটি স্মারকে সিলেট ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নগরের পানি সরবরাহ কার্যক্রম সিলেট সিটি করপোরেশনকে অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ না হওয়ায় এখনো সিটি কর্তৃপক্ষই পানি সরবরাহ করছে।
২০২২ সালের ৫ জুন থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত চার ধাপে ১১ সদস্যবিশিষ্ট ওয়াসা বোর্ড গঠিত হয়। পরে ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক এ কে এম হাফিজকে বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়। তিনি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের ভাগনি জামাই।
জানা গেছে, শুধু বোর্ড গঠন ও চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েই দায় সারে তৎকালীন সরকার। কার্যক্রম শুরু করার জন্য দেওয়া হয়নি বাজেট বরাদ্দ। তৈরি করা হয়নি জনবল কাঠামো। নিয়োগ দেওয়া হয়নি ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ফলে ওয়াসার কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ১৮৭৮ সালে পৌনে দুই বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত সিলেট পৌরসভা ২০০২ সালে সিটি করপোরেশনের উন্নীত হয়ে পরিধি বেড়ে দাঁড়ায় ২৬ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার। ২০১৪ সালে আয়তন আরো বড় করার উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন। এরপর ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট সিটি করপোরেশন সম্প্রসারণ করে ২৭টি ওয়ার্ড থেকে ৪২টি ওয়ার্ডে বর্ধিত করা হয়েছে। নগরের এখনকার আয়তন প্রায় ৮০ বর্গকিলোমিটার। বাসিন্দা প্রায় ১০ লাখ।
সিটি করপোরেশনের পানি শাখা জানায়, পুরোনো ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৪টিতে তারা পানি সরবরাহ করছে। বর্ধিত ১৫টি ওয়ার্ডে পানির সঞ্চালন লাইন এখনো স্থাপিত হয়নি। ২৪টি ওয়ার্ডে দৈনিক সাড়ে ৮ কোটি লিটার চাহিদার বিপরীতে সিটি দিচ্ছে ৫ কোটি লিটার। এছাড়া ৪২টি ওয়ার্ডে দৈনিক পানির চাহিদা সাড়ে ১২ কোটি লিটার।
সূত্র জানিয়েছে, ২০২৪ সালের এপ্রিলে সিলেট ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পান সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে তিনটি দায়িত্ব দিয়ে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশনা দেয়।
দায়িত্বগুলো হলো— সিলেট ওয়াসার অর্গানোগ্রাম তৈরি, সিটি করপোরেশনের বিদ্যমান পানি শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে কীভাবে ওয়াসা চালু করা যায়, সে সম্পর্কিত পরিকল্পনা প্রদান ও সিটির পানি সরবরাহ শাখার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে জানানো।
সিটির প্রকৌশল শাখা প্রতিবেদন পাঠিয়েছে বেশ আগে। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে ফিরতি কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
জানা গেছে, বর্তমানে সিলেট নগরীর অধিকাংশ এলাকায় সঠিক সময়ে পানি সরবরাহে হিমশিম খাচ্ছে সিটি করপোরেশন। বিশেষ করে ৭নং ওয়ার্ডের জালালাবাদ আবাসিক এলাকায় পানি সরবরাহে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে প্রতি সপ্তাহে। প্রায় সময়ই হাউস পাম্প নষ্ট থাকায় দুই-তিন দিন পর্যন্ত পানি পান না অনেক এলাকার গ্রাহকরা।
আবার অনেক এলাকায় ময়লাযুক্ত পানি সরবরাহ করা হয়। এসব পানির সঙ্গে বালু ও ময়লা থাকায় তা ব্যবহার অনুপযোগী। বছরের পর বছর ধরে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেও প্রতিকার পান না এলাকার বাসিন্দারা। অবিলম্বে পানি সরবরাহ লাইন সংস্কার করে সুপেয় পানি সরবরাহের দাবি এলাকাবাসীর।
জানতে চাইলে সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান আমার দেশকে বলেন, আমাকে ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলীর অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ওয়াসার কার্যক্রম শুরু করতে আমাকে তিনটি বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হলে আমি সেগুলো প্রস্তুত করে অনেক আগেই পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত ওয়াসার কার্যক্রম শুরুর তথ্য আমার কাছে নেই।
এ বিষয়ে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার আমার দেশকে বলেন, সিলেটে ওয়াসার কার্যক্রম অনুভব করি। আমরাও চাই দ্রুত ওয়াসা চালু হোক। চালুর বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে কিছু জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পানি সরবরাহ শাখা-২ এর উপসচিব আশফিকুন নাহার আমার দেশকে বলেন, সিলেট ওয়াসা গঠনের একটি প্রস্তাব বিগত সরকারের সময় উঠেছিল, কিন্তু সেই প্রস্তাবটি পাস হয়নি।
তাহলে বিগত সরকার কীভাবে ওয়াসার বোর্ড গঠন ও সদস্য নিয়োগ করেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি পানি সরবরাহ শাখায় নতুন। তাই বিষয়টি আমি বলতে পারছি না।

বগুড়ার শেরপুরের পল্লীতে মুক্তা খাতুনের (১৯) নামের এক গৃহবধুর লাশ রেখে স্বামীসহ পরিবারের সবাই বাড়ি থেকে উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৮টায় উপজেলার সীমাবাড়ি ইউনিয়নের লাঙ্গলমোড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মুক্তা লাঙ্গল মোড়া গ্রামের বুলু মিয়ার মেয়ে ও ইয়াসিন আলীর স্ত্রী।
১৩ মিনিট আগে
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ৬ হাজার ইয়াবা বড়িসহ তিন নারী মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। কক্সবাজার থেকে ইয়াবা এনে ঢাকায় বিক্রির কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন তারা।
১৬ মিনিট আগে
টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকাবস্থায় হারুন অর রশিদকে গত ১৮ অক্টোবর (শনিবার) গভর্নিং বডির মাসিক সভা ডাকার নির্দেশ দেওয়া হলে তিনি রহস্যজনক কারণে সভা ডাকেননি। এছাড়াও ১৯ অক্টোবর (রোববার) ফের স্কুলে মিটিং ডাকার জন্য বলা হলে মিটিং ডাকবেন বলে জানান
২৩ মিনিট আগে
ইলিশ মাছ বিতরণের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার গরুর মাংস বিতরণের ঘোষণা দিয়েছেন ফরিদপুর- ৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা রায়হান জামিল। আগামী ৩০ অক্টোবর ১ টাকা কেজিতে ভাঙ্গা উপজেলার ১০০ অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে তিনি মাংস বিতরণের এ ঘোষণা দিয়েছেন।
৩৬ মিনিট আগে