মাদরাসায় না এসেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর সুপারের

মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩: ৩৭

কোনো ছুটি ছাড়াই মাসের বেশিরভাগ সময় প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকেন। সপ্তাহে দুই-তিন দিন মাদ্রাসায় আসা-যাওয়া করলেও দুই-তিন ঘণ্টার বেশি মাদ্রাসায় সময় দেন না। অনুপস্থিত থাকা দিনগুলোতেও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন তিনি। এমন অভিযোগ সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার নোয়াগাঁও দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে।

বিজ্ঞাপন

মাদ্রাসার সুপারের এমন কর্মকাণ্ডে ব্যাপক সমালোচনার হচ্ছে। আমার দেশ পত্রিকার অনুসন্ধানে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। ফেব্রুয়ারির ১ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত মাদ্রাসায় না গিয়েও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন তিনি।

এলাকাবাসী ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষক জানান,গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি নোয়াগাঁও দাখিল মাদ্রাসায় সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নানা অজুহাতে তিনি প্রতিষ্ঠান ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছেন। উনার ইচ্ছে মতোই প্রতিষ্ঠানে যাওয়া আসা করেন। আবার একসাথে হাজিরা খাতায় একাধিক দিনের স্বাক্ষর করেন তিনি।

মাদ্রাসার প্রধান হওয়ায় ভয়ে প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষক তার বিরুদ্ধে কথা বলেন না। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষক।

মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে মাদ্রাসায় গিয়ে সুপারকে না পাওয়ায় মুঠোফোনে কথা হয় আমার দেশ প্রতিবেদকের সাথে। এসময় তিনি ছাত্র না থাকায় জোহরের সময় চলে গেছেন বলে জানান। পরবর্তীতে আর এমন হবে না বলে কথা শেষ করেন তিনি।

এ ব্যাপার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুল কবির বলেন, উনার ব্যাপারে আগে কেউ অভিযোগ করেনি। বিষয়টি আমি আজই জানলাম। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি উজ্জ্বল রায় বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করার কোন সুযোগ নেই। নোয়াগাঁও দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত