‘যাদুকাটায় বালু লুটে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে’

জেলা প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ২৫
আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ৫০

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, অল্পসময়ের মধ্যে যাদুকাটা নদীর তীর কেটে যারা বালু লুট করেছে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। কতিপয় স্বার্থন্বেসী মহল যাদুকাটা নদীর তীর কেটে বালু লুট করছে। লুটের সাথে জড়িত ৭০ জনকে আমরা চিহ্নিত করেছি।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে লাউড়েরগড় খেলার মাঠে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, যাদুকাটা নদীর তীর কাটার সাথে আব্দুল কাইয়ুম মাস্টার ও খাজা মাইনুদ্দিন সরাসরি জড়িত। তারা কোথাও পালাতে পারবেনা। পুলিশের নজরদারিতে তারা আছেন।

যাদুকাটা নদীর পাড় রক্ষা ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান মানিক।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাদুকাটা-১ এর ইজারাদার নাসির মিয়া। এ সময় স্থানীয়দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য আব্দুর রশীদ, স্থানীয় বাসিন্দা ও ইত্তেফাক প্রতিনিধি আলম সাব্বির প্রমুখ।

স্থানীয় বাসিন্দা আলম সাব্বির বলেন, নদীর পূর্বপাড়ের সাধারণ মানুষকে নিয়ে আগেও নদীর পাড় রক্ষা করেছি। এখনও রক্ষা করার চেষ্টা করছি। কিন্তু কিছু মানুষ নদীর তীর কেটে বালু বিক্রি করছেন। তাদের ঠেকানো যাচ্ছে না। প্রশাসনকে আরও কঠোর হওয়ার কথাও জানান তিনি।

ইজারাদার নাসির মিয়া বলেন, নদীর পাড় কাটা বন্ধ হোক, এটা সবসময়ই চাই; আমরা গ্রামবাসীর সহযোগিতা চাই। নদী বন্ধ হলে স্থানীয় প্রায় ৭০ হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। আমাদের প্রতিপক্ষরা আমাদের ডিস্টার্ব করছে। পাড় কাটার খবর পাওয়ার পরপরই আমরা প্রশাসনকে অবগত কররি, প্রশাসনও নিয়মিত মামলা করছেন। প্রতিপক্ষরা লিজ বাতিল করায় ষড়যন্ত্র করছে। আমরা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করছি। আমদের ৪-৫ শ ভলান্টিয়ার আছে। বাঁশ বেড়া দিয়েও আটকানো যাচ্ছে না। জমির পাড়ের মালিকরা সরকারি জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করে ২০ টাকা বিক্রি করেছেন।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান মানিক বলেন, যাদুকাটা নদীর ইজারাদারকে দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। দখল বুঝিয়ে দেওয়ার পর আমরা সম্প্রতি লক্ষ্য করছি, নদীতে পাড় কাটার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতিকারী লোকজন নদীর পাড় কাটছে। আমরা ইতিমধ্যে বেশকিছু অভিযান পরিচালনা করেছি। ইতিমধ্যে টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত রাতেও নদীতে অভিযান করে ৪ জনকে আটক করেছি।

ইউএনও আরও বলেন, জাদুকাটা নদীতে ফুল টাইম একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন। পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করতে দাবি তুলেছি। নদীর পাড় কাটার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে। ইজারাদারকে নির্ধারিত সীমানা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। তারাও যদি সীমানা অতিক্রম করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্তা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে তাদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান হৃদয়, লাউড়েরগড় বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার কামাল প্রমুখ।

জরুরি অবস্থা জারি করলেন পেরুর প্রেসিডেন্ট

এবার ১ টাকায় গরুর মাংস বিতরণের ঘোষণা সেই এমপি প্রার্থীর

অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বহন করা সেই প্রিজন ভ্যানে কী আছে

অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের নেয়া হয়েছে ক্যান্টনমেন্টের অস্থায়ী কারাগারে

গাজায় স্বাস্থ্য সংকট কয়েক প্রজন্ম থাকবে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত