জগদীশপুর জে সি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ
আলাউদ্দিন আল রনি, মাধবপুর
হবিগঞ্জের মাধবপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জগদীশপুর জে সি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ। ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ইতিহাসের তিন অধ্যায়ের সাক্ষী হয়ে আজও শির উঁচু করে জ্ঞানের আলো বিতরণ করে যাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। শত বছর পেরোনো বিদ্যাপীঠটিতে পাঠ নিয়ে দেশে-বিদেশে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন বহু গুণী ব্যক্তিত্ব। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। সময়ের পরিক্রমায় শিক্ষার পরিসর ও শিক্ষার্থী বাড়লেও বর্তমানে অবকাঠামো, শিক্ষক সংকটসহ নানা সমস্যা বিদ্যমান।
মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেনাসদস্য রফিকুল আলম চৌধুরী, ঢাকা কলেজের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আবুল হাসিম, মাধবপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শফিকুল হোসাইন চৌধুরী অন্যতম। তাদের মধ্যে সেনাসদস্য রফিকুল আলম চৌধুরী ঢাকা মিরপুর এলাকায় পাক বাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি যুদ্ধে তিনি শহীদ হন। তার পরিবারের সদস্যরা তার নামে বিদ্যালয়ে একটি ভবন নির্মাণ করে দিয়েছেন।
এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছড়িয়ে আছে বিশ্বময় নানা পেশায়, নানা কর্মকাণ্ডে। বিদ্যালয়ে হাতেখড়ি হয়েছে এমন ছাত্ররা আজ যেমন উচ্চতর শিক্ষা গবেষণায় অবদান রাখছেন, তেমনি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে আলোকিত মানবসম্পদ বিনির্মাণের কর্মযজ্ঞে নিয়োজিত রয়েছেন। রাজনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি আইন, সাংবাদিক, ব্যবসাসহ নানা পেশায় সুনাম কুড়িয়েছেন এ বিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন সিএসপি এই বিদ্যালয়ের কীর্তিমান শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি নোয়াপাড়া ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা। ১৯৫৮ সালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের মধ্যে পঞ্চম স্থান অধিকার করেন তিনি। সংগীত জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র সুবীর নন্দী এ বিদ্যালয়ের ছাত্র।
এছাড়াও যাদের নিয়ে এ বিদ্যালয় গর্ববোধ করে তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী মরহুম সৈয়দ মো. কায়সার। মরহুম অধ্যাপক আবুল হাসিম। তিনি ঢাকা কলেজের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. শেফাউল করিম।
বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক তোফাজ্জল আলী, একই কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রদীপ কুমার রায়, তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক দেওয়ান বাহাউদ্দিন লিটন। দৈনিক আমার দেশ’র চিফ রিপোর্টার মো. বাছির জামাল এ বিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি উপজেলার নোয়াপাড়ার সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। দৈনিক মানবজমিনের ডেপুটি চিফ রিপোর্টার কাজী সুমন এ বিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থী।
ব্রিটিশ উপনিবেশ শাসনামলে তৎকালীন হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর এলাকার জমিদার রায় বাহাদুর যোগেশ চন্দ্র দত্ত চৌধুরীর ৩ দশমিক ৭১ একর দানের জমিতে গড়ে উঠেছিল জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র দত্ত চৌধুরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ১৯২৪ সালে টিন ও বাঁশের বেড়ায় তৈরি করা ঘরে যাত্রা করা এ প্রতিষ্ঠানটি এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিরলস প্রচেষ্টায় ক্রমেই সামনের দিকে এগুতে থাকে। ১০২ বছর ধরে এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আবিদুর রহমান জানান, বর্তমানে স্কুল, কলেজ ও ভোকেশনাল শাখায় প্রায় দুই হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। বিদ্যালয়ে ৪টি পাকা এবং ২টি টিনসেড ভবন রয়েছে। এতে ২৫টি ক্লাস রুম, লাইব্রেরি, বিজ্ঞানাগার, শিক্ষক মিলনায়তন রয়েছে। ৩৪ জন শিক্ষকের মধ্যে বর্তমানে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন ২৬ জন শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নূরুল হক ভুঁইয়া জানান, আমাদের বিদ্যালয়ে কিছু সমস্যা আছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা ক্লাস রুমের। বিগত সরকারের আমলে কোনো উন্নয়ন হয়নি। কিন্তু বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ সুন্দর রাখতে এবং শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। তাদের পরামর্শ ও সহযোগিতায় দিন দিন বিদ্যালয়টি উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র দৈনিক মানবজমিনের ডেপুটি চিফ রিপোর্টার কাজী সুমন বলেন, এই স্কুলের ইতিহাস বললে যে নামটি ছাড়া স্কুল অসম্পূর্ণ তিনি হলেন সাবেক প্রধান শিক্ষক বাবু অরনেন্দু বিকাশ দেব। তিনি একজন জীবন্ত কিংবদন্তিতুল্য শিক্ষক। স্যারের মানের শিক্ষক এখন স্কুল পর্যায়ের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই। তার কাছ থেকে জেনেছি, উনার জীবনের গল্প, জগদীশপুর হাইস্কুলের ইতিহাস। কীভাবে তিনি টুকরি মাথায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান তুলে স্কুলকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আমরা ভাগ্যবান ছিলাম তার মতো গুণী শিক্ষকের শিক্ষার্থী হয়ে।
সাবেক শিক্ষার্থী বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক তোফাজ্জল আলী জানান, এ বিদ্যালয় নিয়ে অনেক মধুর স্মৃতি আছে। যা লিখে শেষ করা যাবে না। বিশেষ করে সাবেক প্রধান শিক্ষক বাবু অরনেন্দু বিকাশ দেবের কথা। তিনি বাংলা সাহিত্যের ছাত্র হয়েও ইংরেজিসহ সব বিষয় পড়াতেন। এত সুন্দর করে ইংরেজি পড়াতেন অনেক ভালো লাগত।
স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং কমিটির সভাপতি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইমরুল হাসান বলেন— দায়িত্ব পেয়েছি মাত্র পাঁচ মাস হলো। শতবর্ষের এই বিদ্যাপীঠে বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক। রয়েছে শিক্ষক স্বল্পতা। কিছু সমস্যা ইতোমধ্যেই সমাধান করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বেতন এবং পরীক্ষার ফি ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নেওয়া হচ্ছে একই পদ্ধতিতে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নির্ধারিত সময়ে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ের ফলাফল ভালো করার জন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে এ পর্যন্ত একাধিক সভা করেছি। প্রতি শ্রেণিতে সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক ক্লাস পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আশা করি প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাবে আপন গতিতে।
হবিগঞ্জের মাধবপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জগদীশপুর জে সি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ। ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ইতিহাসের তিন অধ্যায়ের সাক্ষী হয়ে আজও শির উঁচু করে জ্ঞানের আলো বিতরণ করে যাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। শত বছর পেরোনো বিদ্যাপীঠটিতে পাঠ নিয়ে দেশে-বিদেশে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন বহু গুণী ব্যক্তিত্ব। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। সময়ের পরিক্রমায় শিক্ষার পরিসর ও শিক্ষার্থী বাড়লেও বর্তমানে অবকাঠামো, শিক্ষক সংকটসহ নানা সমস্যা বিদ্যমান।
মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেনাসদস্য রফিকুল আলম চৌধুরী, ঢাকা কলেজের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আবুল হাসিম, মাধবপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শফিকুল হোসাইন চৌধুরী অন্যতম। তাদের মধ্যে সেনাসদস্য রফিকুল আলম চৌধুরী ঢাকা মিরপুর এলাকায় পাক বাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি যুদ্ধে তিনি শহীদ হন। তার পরিবারের সদস্যরা তার নামে বিদ্যালয়ে একটি ভবন নির্মাণ করে দিয়েছেন।
এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছড়িয়ে আছে বিশ্বময় নানা পেশায়, নানা কর্মকাণ্ডে। বিদ্যালয়ে হাতেখড়ি হয়েছে এমন ছাত্ররা আজ যেমন উচ্চতর শিক্ষা গবেষণায় অবদান রাখছেন, তেমনি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে আলোকিত মানবসম্পদ বিনির্মাণের কর্মযজ্ঞে নিয়োজিত রয়েছেন। রাজনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি আইন, সাংবাদিক, ব্যবসাসহ নানা পেশায় সুনাম কুড়িয়েছেন এ বিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন সিএসপি এই বিদ্যালয়ের কীর্তিমান শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি নোয়াপাড়া ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা। ১৯৫৮ সালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের মধ্যে পঞ্চম স্থান অধিকার করেন তিনি। সংগীত জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র সুবীর নন্দী এ বিদ্যালয়ের ছাত্র।
এছাড়াও যাদের নিয়ে এ বিদ্যালয় গর্ববোধ করে তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী মরহুম সৈয়দ মো. কায়সার। মরহুম অধ্যাপক আবুল হাসিম। তিনি ঢাকা কলেজের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. শেফাউল করিম।
বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক তোফাজ্জল আলী, একই কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রদীপ কুমার রায়, তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক দেওয়ান বাহাউদ্দিন লিটন। দৈনিক আমার দেশ’র চিফ রিপোর্টার মো. বাছির জামাল এ বিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি উপজেলার নোয়াপাড়ার সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। দৈনিক মানবজমিনের ডেপুটি চিফ রিপোর্টার কাজী সুমন এ বিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থী।
ব্রিটিশ উপনিবেশ শাসনামলে তৎকালীন হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর এলাকার জমিদার রায় বাহাদুর যোগেশ চন্দ্র দত্ত চৌধুরীর ৩ দশমিক ৭১ একর দানের জমিতে গড়ে উঠেছিল জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র দত্ত চৌধুরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ১৯২৪ সালে টিন ও বাঁশের বেড়ায় তৈরি করা ঘরে যাত্রা করা এ প্রতিষ্ঠানটি এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিরলস প্রচেষ্টায় ক্রমেই সামনের দিকে এগুতে থাকে। ১০২ বছর ধরে এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আবিদুর রহমান জানান, বর্তমানে স্কুল, কলেজ ও ভোকেশনাল শাখায় প্রায় দুই হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। বিদ্যালয়ে ৪টি পাকা এবং ২টি টিনসেড ভবন রয়েছে। এতে ২৫টি ক্লাস রুম, লাইব্রেরি, বিজ্ঞানাগার, শিক্ষক মিলনায়তন রয়েছে। ৩৪ জন শিক্ষকের মধ্যে বর্তমানে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন ২৬ জন শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নূরুল হক ভুঁইয়া জানান, আমাদের বিদ্যালয়ে কিছু সমস্যা আছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা ক্লাস রুমের। বিগত সরকারের আমলে কোনো উন্নয়ন হয়নি। কিন্তু বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ সুন্দর রাখতে এবং শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। তাদের পরামর্শ ও সহযোগিতায় দিন দিন বিদ্যালয়টি উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র দৈনিক মানবজমিনের ডেপুটি চিফ রিপোর্টার কাজী সুমন বলেন, এই স্কুলের ইতিহাস বললে যে নামটি ছাড়া স্কুল অসম্পূর্ণ তিনি হলেন সাবেক প্রধান শিক্ষক বাবু অরনেন্দু বিকাশ দেব। তিনি একজন জীবন্ত কিংবদন্তিতুল্য শিক্ষক। স্যারের মানের শিক্ষক এখন স্কুল পর্যায়ের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই। তার কাছ থেকে জেনেছি, উনার জীবনের গল্প, জগদীশপুর হাইস্কুলের ইতিহাস। কীভাবে তিনি টুকরি মাথায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান তুলে স্কুলকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আমরা ভাগ্যবান ছিলাম তার মতো গুণী শিক্ষকের শিক্ষার্থী হয়ে।
সাবেক শিক্ষার্থী বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক তোফাজ্জল আলী জানান, এ বিদ্যালয় নিয়ে অনেক মধুর স্মৃতি আছে। যা লিখে শেষ করা যাবে না। বিশেষ করে সাবেক প্রধান শিক্ষক বাবু অরনেন্দু বিকাশ দেবের কথা। তিনি বাংলা সাহিত্যের ছাত্র হয়েও ইংরেজিসহ সব বিষয় পড়াতেন। এত সুন্দর করে ইংরেজি পড়াতেন অনেক ভালো লাগত।
স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং কমিটির সভাপতি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইমরুল হাসান বলেন— দায়িত্ব পেয়েছি মাত্র পাঁচ মাস হলো। শতবর্ষের এই বিদ্যাপীঠে বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক। রয়েছে শিক্ষক স্বল্পতা। কিছু সমস্যা ইতোমধ্যেই সমাধান করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বেতন এবং পরীক্ষার ফি ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নেওয়া হচ্ছে একই পদ্ধতিতে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নির্ধারিত সময়ে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ের ফলাফল ভালো করার জন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে এ পর্যন্ত একাধিক সভা করেছি। প্রতি শ্রেণিতে সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক ক্লাস পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আশা করি প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাবে আপন গতিতে।
বুধবার ভোর রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ২৩০ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। তিনি ওই এলাকার বারকোনা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।
১২ মিনিট আগেমঙ্গলবার রাতে ১২টার দিকে তিনটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ধাওয়া করে। এসময় চালসহ একটি অটোরিকশা জব্দ করলেও বাকি দুটি রিকশা দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়।
১৮ মিনিট আগেবিএনপি নেতা সামছুল ইসলাম জেলার সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক। ছাড়া পাওয়া দুই আসামি হলেন, সদর উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান ওরফে রানা (৪০) ও একই কমিটির সদস্য মামুন আহমেদ (৩৮)।
২৯ মিনিট আগেমৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কের জানকিছড়া এলাকায় হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি ফেরার পথে অজ্ঞাত গাড়িচাপায় এক কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ (সিপিজি) সদস্য নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোরে কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে