জসীম উদ্দীন, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় অবৈধ দখলে মাটিচাপা দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে বোকা নদী এবং তার আশেপাশের খাল। এ নদী এবং খালগুলো ব্যবহার করে নৌপথে আগে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্য আদান-প্রদান করতেন। কিন্তু সম্প্রতি এ নদীর চারপাশে দোকানপাট নির্মাণের ফলে নদীটি সরু হয়ে খালে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি খালগুলোও মাটির ভিটেয় পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার জাউয়া বাজারে অবস্থিত সুরমার শাখা বোকা নদী আগে থেকে দখল উৎসবে বিলীন হলেও নতুন করে নদীটির সাথে অন্যান্য নদীর যোগাযোগের একমাত্র খালটি ভরাট করা হচ্ছে। তাছাড়া প্রতি বছর বর্ষায় এই খালে ঐতিহ্যবাহী নৌকার হাট বসতো। ফলে ভাটি অঞ্চল থেকে এই খাল দিয়ে সহজে নৌকার ক্রেতা-বিক্রেতা হাটে যাতায়াত করতেন। কিন্তু খালের সেই হাটও দখলের কাছে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। জাউয়া বাজার সেতুর পশ্চিম পাড় শ্যামলি কাউন্টার থেকে আকিল কমিউনিটি সেন্টার পর্যন্ত খালটিতে মাটি দিয়ে ভরাট করে রাস্তা এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নির্মাণের প্রতিযোগিতা চলছে চোখে পড়ার মতো।
অভিযোগ রয়েছে, নদীরপাড় জুড়ে ভরাট ও অবৈধভাবে দোকানপাট ও মার্কেট নির্মাণের ফলে বর্ষায় নতুন পানির স্রোত এলেও তা গতি আটকে বিকল্প গতিতে প্রবাহিত হয়। ফলে নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে নদী তীরবর্তী ঘরবাড়ি। তবে বর্তমানে নদীরখালগুলো যেভাবে দখল করা হচ্ছে তাতে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা বাড়ছে। এদিকে নদী দখল উৎসবে প্রশাসনের নিরব ভূমিকা জনমনে প্রশ্ন দেখা দিলেও, প্রশাসন বলছে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তথ্য মতে, জেলার ছাতক উপজেলায় বয়ে যাওয়া সুরমার শাখা বোকা নদীটির জাউয়াবাজারের অবস্থান। এর দৈর্ঘ্য ৩৩ কিলোমিটার ও প্রস্থ ৩০ ফুটের বেশি। নদীটি জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার মহাসিং নদীর মোহনার সঙ্গে গিয়ে মিলিত হয়েছে। বোকা নদী দিয়ে আগে বড় বড় নৌকা চলাচল করতো। তীরে বাজার হওয়ায় এসব নৌকায় করে ব্যবসায়ীরা চাল, গম, কাঁঠাল এবং বিভিন্ন সবজি আমদানী করতেন। পাশাপাশি বর্ষার সময় নদীর উপর নৌকা বিক্রির হাট বসতো। আর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্রেতা বিক্রেতা এসে বাহারি ধরনের নৌকা ক্রয় বিক্রয় করতেন। ভরা পানিতে অনেক মানুষ লেওয়া জাল, লাঠি জাল বেঁয়ে এবং বর্ষার শেষের দিকে বরশি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মাছও শিকার করতেন। বর্ষায় এ নদীর উপর কয়েকটি নৌকার নোঙ্গর থাকায় আশেপাশের অঞ্চলের মানুষের যতায়াতের একমাত্র সহজ পথ ছিলো বোকা নদী। এখন তা কল্পনাতীত।
জানা গেছে, গত ১০ বছরে নদীটির পূর্ব দিকে (হাবিদপুর-খিদ্রাকাপন) সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত কুমিল্লা বস্তি ভাঙনের ফলে নদী গর্ভে চলে যায়। সেখানে বসবাস করতেন নিম্নআয়ের প্রায় অর্ধশত পরিবার। তাছাড়া নদী দখল, ভরাট ও মার্কেট নির্মাণের ফলে নদী ভাঙনে ৪-৫ বছরের মধ্যে নদীর পশ্চিম দিকে (লক্ষমসোম গ্রামের) প্রায় ৪০টি পরিবার জমিসহ ঘরবাড়ি হারিয়ে সহায়-সম্বলহীন হয়ে পড়েছেন। একদিকে মূল নদী সরু হচ্ছে আর অন্যদিকে ভাঙনের মধ্য দিয়ে যেন নদী তার ক্ষোভ ঝাড়ছে। নদীর তীরে বসবাসরত পরিবারগুলোও অজানা আশঙ্কায় দিন পার করছেন।
স্থানীয়রা বলেন, নানা কারণে দিন দিন নদীটি তার অস্তিত্ব রক্ষার তীব্র সংকটে ভুগছে। নাব্যতা হারানোর পাশাপাশি নদীর কিছু অংশ পরিণত হয়েছে ময়লার স্তুপে। কিন্তু প্রশাসন এ বিষয়ে এত নতজানু কেন তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা আওলাদ হোসেন বলেন, নদীতো আহেই দখলে দূষণে মরে হেচে। এখন খালগুলোকেও ধ্বংস করা হচ্ছে। আমরা আশা করবো কর্তৃপক্ষ বিষয়টির প্রতি নজর দিবে।
এ বিষয়ে নদী বিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য সালেহীর চৌধুরী শুভ বলেন, নদীকে জীবন্ত স্বত্বা ঘোষণা করে উচ্চ আদালত রায় দিয়েছেন। নদী ও নদীর তীর দখল, দূষণসহ নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘ্ন হয় এমন যেকোনো কর্মকাণ্ড ফৌজদারি অপরাধ। আমরা আশা করি নদীটি প্রাণ ফিরে পেয়ে তার আগের রুপ ও যৌবন ধরে রাখবে।
ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা নদী উদ্ধারে খুব দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এবং কারও দখলে যেন নদী না থাকে সে অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় অবৈধ দখলে মাটিচাপা দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে বোকা নদী এবং তার আশেপাশের খাল। এ নদী এবং খালগুলো ব্যবহার করে নৌপথে আগে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্য আদান-প্রদান করতেন। কিন্তু সম্প্রতি এ নদীর চারপাশে দোকানপাট নির্মাণের ফলে নদীটি সরু হয়ে খালে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি খালগুলোও মাটির ভিটেয় পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার জাউয়া বাজারে অবস্থিত সুরমার শাখা বোকা নদী আগে থেকে দখল উৎসবে বিলীন হলেও নতুন করে নদীটির সাথে অন্যান্য নদীর যোগাযোগের একমাত্র খালটি ভরাট করা হচ্ছে। তাছাড়া প্রতি বছর বর্ষায় এই খালে ঐতিহ্যবাহী নৌকার হাট বসতো। ফলে ভাটি অঞ্চল থেকে এই খাল দিয়ে সহজে নৌকার ক্রেতা-বিক্রেতা হাটে যাতায়াত করতেন। কিন্তু খালের সেই হাটও দখলের কাছে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। জাউয়া বাজার সেতুর পশ্চিম পাড় শ্যামলি কাউন্টার থেকে আকিল কমিউনিটি সেন্টার পর্যন্ত খালটিতে মাটি দিয়ে ভরাট করে রাস্তা এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নির্মাণের প্রতিযোগিতা চলছে চোখে পড়ার মতো।
অভিযোগ রয়েছে, নদীরপাড় জুড়ে ভরাট ও অবৈধভাবে দোকানপাট ও মার্কেট নির্মাণের ফলে বর্ষায় নতুন পানির স্রোত এলেও তা গতি আটকে বিকল্প গতিতে প্রবাহিত হয়। ফলে নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে নদী তীরবর্তী ঘরবাড়ি। তবে বর্তমানে নদীরখালগুলো যেভাবে দখল করা হচ্ছে তাতে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা বাড়ছে। এদিকে নদী দখল উৎসবে প্রশাসনের নিরব ভূমিকা জনমনে প্রশ্ন দেখা দিলেও, প্রশাসন বলছে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তথ্য মতে, জেলার ছাতক উপজেলায় বয়ে যাওয়া সুরমার শাখা বোকা নদীটির জাউয়াবাজারের অবস্থান। এর দৈর্ঘ্য ৩৩ কিলোমিটার ও প্রস্থ ৩০ ফুটের বেশি। নদীটি জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার মহাসিং নদীর মোহনার সঙ্গে গিয়ে মিলিত হয়েছে। বোকা নদী দিয়ে আগে বড় বড় নৌকা চলাচল করতো। তীরে বাজার হওয়ায় এসব নৌকায় করে ব্যবসায়ীরা চাল, গম, কাঁঠাল এবং বিভিন্ন সবজি আমদানী করতেন। পাশাপাশি বর্ষার সময় নদীর উপর নৌকা বিক্রির হাট বসতো। আর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্রেতা বিক্রেতা এসে বাহারি ধরনের নৌকা ক্রয় বিক্রয় করতেন। ভরা পানিতে অনেক মানুষ লেওয়া জাল, লাঠি জাল বেঁয়ে এবং বর্ষার শেষের দিকে বরশি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মাছও শিকার করতেন। বর্ষায় এ নদীর উপর কয়েকটি নৌকার নোঙ্গর থাকায় আশেপাশের অঞ্চলের মানুষের যতায়াতের একমাত্র সহজ পথ ছিলো বোকা নদী। এখন তা কল্পনাতীত।
জানা গেছে, গত ১০ বছরে নদীটির পূর্ব দিকে (হাবিদপুর-খিদ্রাকাপন) সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত কুমিল্লা বস্তি ভাঙনের ফলে নদী গর্ভে চলে যায়। সেখানে বসবাস করতেন নিম্নআয়ের প্রায় অর্ধশত পরিবার। তাছাড়া নদী দখল, ভরাট ও মার্কেট নির্মাণের ফলে নদী ভাঙনে ৪-৫ বছরের মধ্যে নদীর পশ্চিম দিকে (লক্ষমসোম গ্রামের) প্রায় ৪০টি পরিবার জমিসহ ঘরবাড়ি হারিয়ে সহায়-সম্বলহীন হয়ে পড়েছেন। একদিকে মূল নদী সরু হচ্ছে আর অন্যদিকে ভাঙনের মধ্য দিয়ে যেন নদী তার ক্ষোভ ঝাড়ছে। নদীর তীরে বসবাসরত পরিবারগুলোও অজানা আশঙ্কায় দিন পার করছেন।
স্থানীয়রা বলেন, নানা কারণে দিন দিন নদীটি তার অস্তিত্ব রক্ষার তীব্র সংকটে ভুগছে। নাব্যতা হারানোর পাশাপাশি নদীর কিছু অংশ পরিণত হয়েছে ময়লার স্তুপে। কিন্তু প্রশাসন এ বিষয়ে এত নতজানু কেন তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা আওলাদ হোসেন বলেন, নদীতো আহেই দখলে দূষণে মরে হেচে। এখন খালগুলোকেও ধ্বংস করা হচ্ছে। আমরা আশা করবো কর্তৃপক্ষ বিষয়টির প্রতি নজর দিবে।
এ বিষয়ে নদী বিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য সালেহীর চৌধুরী শুভ বলেন, নদীকে জীবন্ত স্বত্বা ঘোষণা করে উচ্চ আদালত রায় দিয়েছেন। নদী ও নদীর তীর দখল, দূষণসহ নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘ্ন হয় এমন যেকোনো কর্মকাণ্ড ফৌজদারি অপরাধ। আমরা আশা করি নদীটি প্রাণ ফিরে পেয়ে তার আগের রুপ ও যৌবন ধরে রাখবে।
ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা নদী উদ্ধারে খুব দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এবং কারও দখলে যেন নদী না থাকে সে অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হলে বর্তমান সরকার আর কোনো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারবে না। সে কারণে দ্রুত পিডি নিয়োগ করে নভেম্বরেই কাজ শুরু করতে হবে। সেটি করা না হলে সারা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে চীন টাকা না দিলেও নিজের টাকা দিয়ে কাজ শুরুর দাবি জানান তারা।
২২ মিনিট আগেময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় পলাতক দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
১ ঘণ্টা আগেপরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে শামসুদ্দিন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ৬৪১৪৬০। ১৯৩৯ থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুরো ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এ যোদ্ধা।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভেতরে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সাবেক নেতা। ঘটনার পর তাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক মো. রায়হান হাটহাজারি কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি।
২ ঘণ্টা আগে