ইমদাদ হোসাইন
বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানিপণ্য পোশাক। রপ্তানি আয়ের ৮৪ ভাগই আসে এ খাত থেকে। আর পোশাকের বৈদেশিক মুদ্রার আয়ের ২০ শতাংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। একক দেশ হিসেবে এটিই সবচেয়ে বেশি।
এ কারণেই হয়তো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কারোপের তালিকায় ১৪ দেশের মধ্যে অন্যতমও বাংলাদেশ। অন্য প্রতিযোগী দেশগুলো ইতোমধ্যে বিভিন্ন চুক্তির মাধ্যমে তাদের ওপর শুল্কের খড়্গ কিছুটা কমিয়েছে। অপরদিকে কোনো সুখবর পায়নি লাল-সবুজের পতাকা।
জুলাই বিপ্লবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অস্থিরতা দেখা দেয় পোশাকশিল্পে। আওয়ামী মদতের শ্রমিক আন্দোলনে ব্যাপক ক্ষতি হয় এ খাতের। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চলছিল। শিল্পটি পুনর্গঠনে বিভিন্ন উদ্যোগও নেয় সরকার। এরই মধ্যে নেমে আসে দেশের প্রধান রপ্তানি আয়ের উৎসে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের খড়্গ। এতে আরো চাপে পড়ে পোশাক খাত।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৮ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ আর সেখান থেকে আমদানি করা হয় ২ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য। ফ্রুট অব দ্য লুম থেকে শুরু করে লেভি স্ট্রস, ভিএফ কর্পÑযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এসব কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে পণ্য সংগ্রহ করে। প্রতিষ্ঠাগনুলোর ব্র্যান্ডের মধ্যে আছে ভ্যান, টিম্বারল্যান্ড ও দ্য নর্থ ফেস।
গত ২ এপ্রিল ট্রাম্প বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন আর গতকাল মঙ্গলবার জারি করা নতুন চিঠিতে মার্কিন এই নেতা বলেন, এটি কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হবে। কমানোর পরও তা তুলার ওপর ইতোমধ্যে আরোপিত ১৬ শতাংশের দ্বিগুণ।
বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বোয়িং বিমান ক্রয়, গম, তুলা ও তেল আমদানি বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে ঢাকার এমন প্রস্তাবকে ট্রাম্প যন্ত্রণাদায়ক শুল্ক আরোপের যুক্তি হিসেবে দেখছেন বলে এএফপিতে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। অপরদিকে ট্রাম্পের দেওয়া ৯০ দিনের সময়সীমার মধ্যে আলোচনার জন্য বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলোর দৌড়ঝাঁপ চোখে পড়ার মতো।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী ভিয়েতনাম। দেশটির ওপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ শতাংশ শুল্কারোপ করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে চূড়ান্ত হওয়া এ-সংক্রান্ত চুক্তিতে তা কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয় বলে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রকাশ্য বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর শুল্কনীতির পর প্রতিবেশী দেশ ভারতও আলোচনায় অনেক দূর এগিয়েছে। ৯ জুলাইয়ের শুল্ক স্থগিতের সময়সীমা ঘনিয়ে আসায় মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাজ্যও ইতোমধ্যে দেশটির সঙ্গে চুক্তি করেছে। ৮ মে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে অধিকাংশ পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে এ তালিকা থেকে বাদ ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম, যেগুলোতে কোনো শুল্ক থাকবে না।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আজ বুধবারের মধ্যে একটি চুক্তি নিশ্চিত করার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট জরুরি অধিবেশন আহ্বান করেছেন। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ‘পারস্পরিকভাবে উপকারী ফলাফল’ নিয়ে আলোচনার জন্য বর্ধিত সময়সীমা ব্যবহার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ ছাড়া হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ট্রাম্প আরো বেশ কয়েকটি চুক্তি চূড়ান্ত করার ‘নিকটবর্তী’ ছিলেন।
বর্ধিত সময়সীমা ১ আগস্ট নির্ধারণ হওয়ায় উচ্চ স্তরের বাণিজ্য কূটনীতির উত্থান-পতনের সম্ভাবনা রয়েছে। এই সপ্তাহে আরো দেশ শুল্ক সতর্কতা পেতে পারে বলে জানিয়েছে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।
তবে বাংলাদেশ সরকার এখনো শুল্ক কমানোর আশা করছে। বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এএফপিকে জানান, ‘ইউএসটিআর (মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির কার্যালয়) পর্যালোচনার জন্য আরেকটি খসড়া নথি পাঠানোয় শুল্ক হ্রাসের আশা আছে। বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে ‘বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন’।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান এটিকে ‘পোশাক খাতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ’ বলে অভিহিত করেছেন। আমার দেশকে তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দেশটির সঙ্গে এখনো আলোচনা শেষ হয়নি। ৩৫ শতাংশ শুল্কারোপ যদি থেকেই যায়, তাহলে সেটি বাংলাদেশের ব্যর্থতা। তবে আমরা আশাবাদী আগস্টের ১ তারিখে ভালো সিদ্ধান্ত আসবে।
প্রধান উপদেষ্টার সরাসরি আলোচনা প্রয়োজন উল্লেখ করে মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘আমরা মনে করি এখন প্রধান উপদেষ্টার সরাসরি আলোচনা জরুরি। কারণ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তো চেষ্টা করেছে।’
তিনি আরো বলেন, এই শুল্ক বহাল থাকলে যেসব কারখানা শতভাগ বা ৮০ শতাংশ পণ্য বিক্রিতে মার্কিন বাজারের ওপর নির্ভরশীল, সেগুলোর কয়েকটি বন্ধ হয়ে যাবে। যাদের সক্ষমতা আছে দুই থেকে তিন মাস টিকে থাকার, তারা হয়তো ভিন্ন বাজার খোঁজার চেষ্টা করবে।
আজ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠক
বাংলাদেশের পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আজ বুধবার বৈঠক করবে বাংলাদেশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। গতকাল তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে ৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠক আছে। সেখানে ভালো কিছু আশা করা যাচ্ছে।’ বাণিজ্য উপদেষ্টা বর্তমানে ওই বৈঠকে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।
এদিকে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজা সামাজিকমাধ্যমে জানান, ‘৩৫ শতাংশ শুল্ক চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নয়। আলোচনা চলমান। ৯ জুলাই পরবর্তী আলোচনার তারিখ। ভালো কিছুর জন্য বাংলাদেশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে এবং সে সম্ভাবনা শেষ হয়নি।’
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের চিঠির পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র চুক্তির জন্য নতুন নথিও পাঠিয়েছে।’ ওই নথিতে কী রয়েছেÑজানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি বেশ বড় একটি নথি এবং আমি এখনো এটি সম্পূর্ণরূপে পড়ার সুযোগ পাইনি। আমাদের পড়ে দেখতে হবে তারা কী চাইছে এবং চুক্তি হলে তারা কতটা পর্যালোচনা করতে ইচ্ছুক।’
এদিকে, এখনো আলোচনার সুযোগ আছে বলে মনে করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তার কাছে ভিয়েতনাম শুল্ক কমাতে পারলে বাংলাদেশ কেন সেভাবে কমাতে পারল নাÑজানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক যে আমাদের ঘাটতি মাত্র পাঁচ বিলিয়ন ডলার। ভিয়েতনামের ১২৫ বিলিয়ন ডলার। ওখানে কিন্তু ওরা মোটামুটি ছাড় দিতে পারে। কিন্তু আমাদের এত কম বাণিজ্য ঘাটতি, তাই এত শুল্ক দেওয়ার তো ন্যায্যতা থাকে না।’
বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানিপণ্য পোশাক। রপ্তানি আয়ের ৮৪ ভাগই আসে এ খাত থেকে। আর পোশাকের বৈদেশিক মুদ্রার আয়ের ২০ শতাংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। একক দেশ হিসেবে এটিই সবচেয়ে বেশি।
এ কারণেই হয়তো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কারোপের তালিকায় ১৪ দেশের মধ্যে অন্যতমও বাংলাদেশ। অন্য প্রতিযোগী দেশগুলো ইতোমধ্যে বিভিন্ন চুক্তির মাধ্যমে তাদের ওপর শুল্কের খড়্গ কিছুটা কমিয়েছে। অপরদিকে কোনো সুখবর পায়নি লাল-সবুজের পতাকা।
জুলাই বিপ্লবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অস্থিরতা দেখা দেয় পোশাকশিল্পে। আওয়ামী মদতের শ্রমিক আন্দোলনে ব্যাপক ক্ষতি হয় এ খাতের। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চলছিল। শিল্পটি পুনর্গঠনে বিভিন্ন উদ্যোগও নেয় সরকার। এরই মধ্যে নেমে আসে দেশের প্রধান রপ্তানি আয়ের উৎসে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের খড়্গ। এতে আরো চাপে পড়ে পোশাক খাত।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৮ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ আর সেখান থেকে আমদানি করা হয় ২ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য। ফ্রুট অব দ্য লুম থেকে শুরু করে লেভি স্ট্রস, ভিএফ কর্পÑযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এসব কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে পণ্য সংগ্রহ করে। প্রতিষ্ঠাগনুলোর ব্র্যান্ডের মধ্যে আছে ভ্যান, টিম্বারল্যান্ড ও দ্য নর্থ ফেস।
গত ২ এপ্রিল ট্রাম্প বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন আর গতকাল মঙ্গলবার জারি করা নতুন চিঠিতে মার্কিন এই নেতা বলেন, এটি কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হবে। কমানোর পরও তা তুলার ওপর ইতোমধ্যে আরোপিত ১৬ শতাংশের দ্বিগুণ।
বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বোয়িং বিমান ক্রয়, গম, তুলা ও তেল আমদানি বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে ঢাকার এমন প্রস্তাবকে ট্রাম্প যন্ত্রণাদায়ক শুল্ক আরোপের যুক্তি হিসেবে দেখছেন বলে এএফপিতে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। অপরদিকে ট্রাম্পের দেওয়া ৯০ দিনের সময়সীমার মধ্যে আলোচনার জন্য বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলোর দৌড়ঝাঁপ চোখে পড়ার মতো।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী ভিয়েতনাম। দেশটির ওপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ শতাংশ শুল্কারোপ করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে চূড়ান্ত হওয়া এ-সংক্রান্ত চুক্তিতে তা কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয় বলে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রকাশ্য বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর শুল্কনীতির পর প্রতিবেশী দেশ ভারতও আলোচনায় অনেক দূর এগিয়েছে। ৯ জুলাইয়ের শুল্ক স্থগিতের সময়সীমা ঘনিয়ে আসায় মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাজ্যও ইতোমধ্যে দেশটির সঙ্গে চুক্তি করেছে। ৮ মে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে অধিকাংশ পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে এ তালিকা থেকে বাদ ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম, যেগুলোতে কোনো শুল্ক থাকবে না।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আজ বুধবারের মধ্যে একটি চুক্তি নিশ্চিত করার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট জরুরি অধিবেশন আহ্বান করেছেন। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ‘পারস্পরিকভাবে উপকারী ফলাফল’ নিয়ে আলোচনার জন্য বর্ধিত সময়সীমা ব্যবহার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ ছাড়া হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ট্রাম্প আরো বেশ কয়েকটি চুক্তি চূড়ান্ত করার ‘নিকটবর্তী’ ছিলেন।
বর্ধিত সময়সীমা ১ আগস্ট নির্ধারণ হওয়ায় উচ্চ স্তরের বাণিজ্য কূটনীতির উত্থান-পতনের সম্ভাবনা রয়েছে। এই সপ্তাহে আরো দেশ শুল্ক সতর্কতা পেতে পারে বলে জানিয়েছে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।
তবে বাংলাদেশ সরকার এখনো শুল্ক কমানোর আশা করছে। বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এএফপিকে জানান, ‘ইউএসটিআর (মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির কার্যালয়) পর্যালোচনার জন্য আরেকটি খসড়া নথি পাঠানোয় শুল্ক হ্রাসের আশা আছে। বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে ‘বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন’।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান এটিকে ‘পোশাক খাতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ’ বলে অভিহিত করেছেন। আমার দেশকে তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দেশটির সঙ্গে এখনো আলোচনা শেষ হয়নি। ৩৫ শতাংশ শুল্কারোপ যদি থেকেই যায়, তাহলে সেটি বাংলাদেশের ব্যর্থতা। তবে আমরা আশাবাদী আগস্টের ১ তারিখে ভালো সিদ্ধান্ত আসবে।
প্রধান উপদেষ্টার সরাসরি আলোচনা প্রয়োজন উল্লেখ করে মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘আমরা মনে করি এখন প্রধান উপদেষ্টার সরাসরি আলোচনা জরুরি। কারণ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তো চেষ্টা করেছে।’
তিনি আরো বলেন, এই শুল্ক বহাল থাকলে যেসব কারখানা শতভাগ বা ৮০ শতাংশ পণ্য বিক্রিতে মার্কিন বাজারের ওপর নির্ভরশীল, সেগুলোর কয়েকটি বন্ধ হয়ে যাবে। যাদের সক্ষমতা আছে দুই থেকে তিন মাস টিকে থাকার, তারা হয়তো ভিন্ন বাজার খোঁজার চেষ্টা করবে।
আজ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠক
বাংলাদেশের পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আজ বুধবার বৈঠক করবে বাংলাদেশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। গতকাল তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে ৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠক আছে। সেখানে ভালো কিছু আশা করা যাচ্ছে।’ বাণিজ্য উপদেষ্টা বর্তমানে ওই বৈঠকে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।
এদিকে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজা সামাজিকমাধ্যমে জানান, ‘৩৫ শতাংশ শুল্ক চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নয়। আলোচনা চলমান। ৯ জুলাই পরবর্তী আলোচনার তারিখ। ভালো কিছুর জন্য বাংলাদেশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে এবং সে সম্ভাবনা শেষ হয়নি।’
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের চিঠির পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র চুক্তির জন্য নতুন নথিও পাঠিয়েছে।’ ওই নথিতে কী রয়েছেÑজানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি বেশ বড় একটি নথি এবং আমি এখনো এটি সম্পূর্ণরূপে পড়ার সুযোগ পাইনি। আমাদের পড়ে দেখতে হবে তারা কী চাইছে এবং চুক্তি হলে তারা কতটা পর্যালোচনা করতে ইচ্ছুক।’
এদিকে, এখনো আলোচনার সুযোগ আছে বলে মনে করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তার কাছে ভিয়েতনাম শুল্ক কমাতে পারলে বাংলাদেশ কেন সেভাবে কমাতে পারল নাÑজানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক যে আমাদের ঘাটতি মাত্র পাঁচ বিলিয়ন ডলার। ভিয়েতনামের ১২৫ বিলিয়ন ডলার। ওখানে কিন্তু ওরা মোটামুটি ছাড় দিতে পারে। কিন্তু আমাদের এত কম বাণিজ্য ঘাটতি, তাই এত শুল্ক দেওয়ার তো ন্যায্যতা থাকে না।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।
২ ঘণ্টা আগেফের বড় ধরনের তারল্য সংকটে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩৫৫ কোটি টাকা, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২৩ জুন ডিএসইতে সর্বনিম্ন ২৭৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল।
৩ ঘণ্টা আগেদাবা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী মনন রেজা নীড়ের বিশ্বজয়ের যাত্রার অংশীদার হতে পেরে গর্বিত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ছয়টি ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো থেকে মোট ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
৫ ঘণ্টা আগে