বিদায়ী অর্থবছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৭ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৫, ২১: ২৪

সদ্য বিদায় নেওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে বৈধ পথে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে ৩ হাজার ৩২ কোটি ডলার। এর আগের অর্থবছরে এসেছিল ২ হাজার ৩৯১ কোটি ডলার। সে হিসাবে প্রবাসী আয় বেড়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ। বিদায়ী অর্থবছরের প্রবাসী আয় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এক অর্থবছরে এতো পরিমাণ রেমিট্যান্স কখনোই আসেনি। এর আগে দেশে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে। সেই অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠেছে।

বিজ্ঞাপন

খাত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, গত সরকারের আমলে ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ে হুন্ডি ব্যবসা করা হতো। এতে বৈধ পথে দেশে প্রবাসীয় আয় কম আসতো। তবে বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর জালিয়াতির মাধ্যমে নেওয়া ব্যাংক ঋণ বন্ধ হয়েছে। এতে হুন্ডির ব্যবসা কমে গেছে। তাই বৈধ পথে রেমিট্যান্স বেড়েছে। প্রবাসী আয়ের শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এতে ডলারের ওপর চাপ কমে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৮১ কোটি সমপরিমাণ ডলার। যা তার আগের বছরের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সালের জুনে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫৩ কোটি ডলার। গত বছরের আগস্টে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রতি মাসেই রেমিট্যান্স বাড়ছে। ওই মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২২২ কোটি ৪১ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বরে এসেছিল ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ ডলার এবং ডিসেম্বরে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। চলতি বছরেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। জানুয়ারিতে এসেছিল ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার এবং মে মাসে ২৯৭ কোটি ডলার।

রেমিট্যান্সে উচ্চ প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানি আয়ে ৯ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আবার বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ পেয়েছে সরকার। সব মিলিয়ে গত সোমবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার দাঁড়িয়েছে। আর আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ উঠেছে ২৬ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত