রোহান রাজিব
রেকর্ড রেমিট্যান্স ও রপ্তানির উচ্চ প্রবৃদ্ধির ওপর ভর করে দেশের বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে (ব্যালান্স অব পেমেন্ট বা বিওপি) বড় ধরনের উন্নতি হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিওপি তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি উদ্বৃত্ত হয়েছে, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে উদ্বৃত্ত ছিল ৯২৭ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিওপি ৩২৯ কোটি ডলার উদ্বৃত্ত ছিল। আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বিওপি ৪৩০ কোটি ডলার ঘাটতি ছিল। ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে বিওপির ঘাটতি ছিল ৮২২ কোটি ডলার। আর ২০২১-২২ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ৬৬৫ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, গত অর্থবছরে বহিরাগত খাতের ওপর চাপ ব্যাপকভাবে স্থিতিশীল ছিল, যার মূল কারণ বিনিময় হারের নমনীয়তা, কঠোর মুদ্রানীতি ও বাজেটের আকার ছোট করা, বৈদেশিক সহায়তার প্রবাহ, রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি এবং একটি শক্তিশালী রপ্তানি প্রবৃদ্ধি। এসবের প্রভাবে গত অর্থবছরে বিওপি উদ্বৃত হয়েছিল। চলতি অর্থবছরেও বিওপির উন্নতি থাকবে বলে আশা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জুনে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকাসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা পেয়েছে বাংলাদেশ। এই ঋণ পাওয়ার কারণেও ইতিবাচক ধারায় ফিরছে বিওপি।
অবশ্য আমদানি বৃদ্ধির কারণে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে আগের মতোই। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে চার হাজার ৮৩০ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা আট দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে আমদানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দুই দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি।
এতে করে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫০ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল দুই হাজার ২৪০ কোটি ডলার। রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি প্রবাসী আয়ও ২৬ দশমিক আট শতাংশ বেড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ডলার বাজার পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আমদানিতে এখন আর আগের মতো কড়াকড়ি নেই। এখন ছোট-বড় যে কোনো আমদানিকারক ব্যাংকে গিয়ে ডলার পাচ্ছেন। ডলারের দর বাজারভিত্তিক করার পরও ১২৩ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। চরম ডলার সংকটের কারণে গত অর্থবছরে যেখানে আমদানি কম হয়েছিল ১১ দশমিক ১০ শতাংশ। এবার তা বাড়ছে।
রেমিট্যান্স ও রপ্তানির ওপর ভর করে সরকারের চলতি হিসাবও উদ্বৃত্ত রয়েছে। গত অর্থবছরে সব মিলিয়ে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবে এক বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত ছিল। তার আগের অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল ছয় দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলার। আর আর্থিক হিসাবে উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে তিন দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার। তার আগের অর্থবছরের একই সময়ে অবশ্য চার দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত ছিল। সব মিলিয়ে সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে তিন দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত হয়েছে। অথচ আগের অর্থবছরে ঘাটতি ছিল চার দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার।
বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যে উন্নতির কারণে আগে ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। গত ২৪ জুলাই শেষে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারে ছিল। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী যা ছিল প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘গত তিন বছরজুড়ে ডলারের যে সংকট ছিল, সেটি এ মুহূর্তে পুরোপুরি কেটে গেছে। ব্যবসায়ীরা চাহিদা অনুযায়ী স্বাচ্ছন্দ্যে আমদানির এলসি খুলতে পারছেন। ডলারের বিনিময় হারও পুরোপুরি স্থিতিশীল। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। এসবের ফলে গত অর্থবছরে বৈদেশিক বাণিজ্যের সবকটি সূচকে দৃশ্যমান উন্নতি দেখা গেছে।
রেকর্ড রেমিট্যান্স ও রপ্তানির উচ্চ প্রবৃদ্ধির ওপর ভর করে দেশের বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে (ব্যালান্স অব পেমেন্ট বা বিওপি) বড় ধরনের উন্নতি হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিওপি তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি উদ্বৃত্ত হয়েছে, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে উদ্বৃত্ত ছিল ৯২৭ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিওপি ৩২৯ কোটি ডলার উদ্বৃত্ত ছিল। আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বিওপি ৪৩০ কোটি ডলার ঘাটতি ছিল। ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে বিওপির ঘাটতি ছিল ৮২২ কোটি ডলার। আর ২০২১-২২ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ৬৬৫ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, গত অর্থবছরে বহিরাগত খাতের ওপর চাপ ব্যাপকভাবে স্থিতিশীল ছিল, যার মূল কারণ বিনিময় হারের নমনীয়তা, কঠোর মুদ্রানীতি ও বাজেটের আকার ছোট করা, বৈদেশিক সহায়তার প্রবাহ, রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি এবং একটি শক্তিশালী রপ্তানি প্রবৃদ্ধি। এসবের প্রভাবে গত অর্থবছরে বিওপি উদ্বৃত হয়েছিল। চলতি অর্থবছরেও বিওপির উন্নতি থাকবে বলে আশা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জুনে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকাসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা পেয়েছে বাংলাদেশ। এই ঋণ পাওয়ার কারণেও ইতিবাচক ধারায় ফিরছে বিওপি।
অবশ্য আমদানি বৃদ্ধির কারণে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে আগের মতোই। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে চার হাজার ৮৩০ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা আট দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে আমদানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দুই দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি।
এতে করে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫০ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল দুই হাজার ২৪০ কোটি ডলার। রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি প্রবাসী আয়ও ২৬ দশমিক আট শতাংশ বেড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ডলার বাজার পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আমদানিতে এখন আর আগের মতো কড়াকড়ি নেই। এখন ছোট-বড় যে কোনো আমদানিকারক ব্যাংকে গিয়ে ডলার পাচ্ছেন। ডলারের দর বাজারভিত্তিক করার পরও ১২৩ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। চরম ডলার সংকটের কারণে গত অর্থবছরে যেখানে আমদানি কম হয়েছিল ১১ দশমিক ১০ শতাংশ। এবার তা বাড়ছে।
রেমিট্যান্স ও রপ্তানির ওপর ভর করে সরকারের চলতি হিসাবও উদ্বৃত্ত রয়েছে। গত অর্থবছরে সব মিলিয়ে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবে এক বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত ছিল। তার আগের অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল ছয় দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলার। আর আর্থিক হিসাবে উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে তিন দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার। তার আগের অর্থবছরের একই সময়ে অবশ্য চার দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত ছিল। সব মিলিয়ে সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে তিন দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত হয়েছে। অথচ আগের অর্থবছরে ঘাটতি ছিল চার দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার।
বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যে উন্নতির কারণে আগে ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। গত ২৪ জুলাই শেষে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারে ছিল। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী যা ছিল প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘গত তিন বছরজুড়ে ডলারের যে সংকট ছিল, সেটি এ মুহূর্তে পুরোপুরি কেটে গেছে। ব্যবসায়ীরা চাহিদা অনুযায়ী স্বাচ্ছন্দ্যে আমদানির এলসি খুলতে পারছেন। ডলারের বিনিময় হারও পুরোপুরি স্থিতিশীল। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। এসবের ফলে গত অর্থবছরে বৈদেশিক বাণিজ্যের সবকটি সূচকে দৃশ্যমান উন্নতি দেখা গেছে।
দাবা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী মনন রেজা নীড়ের বিশ্বজয়ের যাত্রার অংশীদার হতে পেরে গর্বিত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ছয়টি ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো থেকে মোট ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২ ঘণ্টা আগেএই তদন্তের ফলে হোয়াইট হাউস যেকোনো আমদানি পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, এতে আবারও শুরু হতে পারে বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ—যা কয়েকদিন আগেই কিছুটা প্রশমিত হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেআজ, বুধবার, বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনায় ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ কার্যক্রম সম্প্রসারণ ক্যাম্পেইন’ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য রোডশো, সেমিনার এবং স্টল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে