অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে সর্বনিম্ন বাস্তবায়নের পর চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসেও (জুলাই-আগস্ট) এডিপি বাস্তবায়নে বড় ধরনের ধীরগতি দেখা দিয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বরাদ্দের মাত্র দুই দশমিক ৩৯ শতাংশ অর্থ খরচ করেছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।
যা দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন বাস্তবায়নের রেকর্ড। সোমবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
আইএমইডির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৯৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। কিন্তু জুলাই-আগস্ট দুই মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ৫ হাজার ৭১৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ২.৩৯ শতাংশ।
গত অর্থবছরের একই সময়ে বাস্তবায়ন হয়েছিল ৭ হাজার ১৪৩ কোটি ৮ লাখ টাকা বা ২.৫৭ শতাংশ। অর্থাৎ চলতি বছরের প্রথম দুই মাসের বাস্তবায়ন গত এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিবেশ আগের তুলনায় ভালো হলেও বাস্তবায়নের হার এত কম হওয়া উদ্বেগজনক। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, সরকার এখন প্রকল্পগুলো যাচাই বাছাই করে অর্থ ছাড় করছে। এতে একদিকে সচেতনভাবে খরচ হচ্ছে, অন্যদিকে প্রশাসনিক জটিলতাও প্রভাব ফেলতে পারে।
আইএমইডির প্রতিবেদনে দেখা যায়, দুই মাসে চলমান ১ হাজার ১৯৮টি প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৫ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়নে খরচ হয়েছে ২ হাজার ৭৪৭ কোটি টাকা, বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান বাবদ দুই হাজার ৫০১ কোটি টাকা এবং প্রকল্পগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন ছিল ৪৬৭ কোটি টাকা।
কেবল খরচ কম হয়নি, বহু মন্ত্রণালয় ও বিভাগ পুরো মাসে এক টাকাও ব্যয় করেনি। দুই মাসে শূন্য ব্যয়ে ছিল ৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, জননিরাপত্তা বিভাগ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং সংসদ সচিবালয়। এ ছাড়া আরও ৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নামমাত্র অর্থ খরচ করেছে, যাদের বাস্তবায়ন হয়েছে শূন্য দশমিক শূন্য ১০ শতাংশেরও নিচে।
দুই মাসে সর্বোচ্চ অর্থ খরচ করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। তারা ১ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছে, যা তাদের মোট বরাদ্দের ১০.৭৫ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তারা খরচ করেছে ১ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা।
এদিকে বাস্তবায়নের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে, ১৩.৯৭ শতাংশ। তারা খরচ করেছে ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ মনে করেন, গত অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়ন হার ছিল সবচেয়ে কম। চলতি বছরের শুরুতেও একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে এডিপি বাস্তবায়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ায় জানুয়ারি থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি আবারও শ্লথ হয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও জানান, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের হার বাড়ানোর জন্য বিশেষ নজরদারি চলছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে সর্বনিম্ন বাস্তবায়নের পর চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসেও (জুলাই-আগস্ট) এডিপি বাস্তবায়নে বড় ধরনের ধীরগতি দেখা দিয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বরাদ্দের মাত্র দুই দশমিক ৩৯ শতাংশ অর্থ খরচ করেছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।
যা দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন বাস্তবায়নের রেকর্ড। সোমবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
আইএমইডির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৯৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। কিন্তু জুলাই-আগস্ট দুই মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ৫ হাজার ৭১৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ২.৩৯ শতাংশ।
গত অর্থবছরের একই সময়ে বাস্তবায়ন হয়েছিল ৭ হাজার ১৪৩ কোটি ৮ লাখ টাকা বা ২.৫৭ শতাংশ। অর্থাৎ চলতি বছরের প্রথম দুই মাসের বাস্তবায়ন গত এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিবেশ আগের তুলনায় ভালো হলেও বাস্তবায়নের হার এত কম হওয়া উদ্বেগজনক। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, সরকার এখন প্রকল্পগুলো যাচাই বাছাই করে অর্থ ছাড় করছে। এতে একদিকে সচেতনভাবে খরচ হচ্ছে, অন্যদিকে প্রশাসনিক জটিলতাও প্রভাব ফেলতে পারে।
আইএমইডির প্রতিবেদনে দেখা যায়, দুই মাসে চলমান ১ হাজার ১৯৮টি প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৫ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়নে খরচ হয়েছে ২ হাজার ৭৪৭ কোটি টাকা, বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান বাবদ দুই হাজার ৫০১ কোটি টাকা এবং প্রকল্পগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন ছিল ৪৬৭ কোটি টাকা।
কেবল খরচ কম হয়নি, বহু মন্ত্রণালয় ও বিভাগ পুরো মাসে এক টাকাও ব্যয় করেনি। দুই মাসে শূন্য ব্যয়ে ছিল ৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, জননিরাপত্তা বিভাগ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং সংসদ সচিবালয়। এ ছাড়া আরও ৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নামমাত্র অর্থ খরচ করেছে, যাদের বাস্তবায়ন হয়েছে শূন্য দশমিক শূন্য ১০ শতাংশেরও নিচে।
দুই মাসে সর্বোচ্চ অর্থ খরচ করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। তারা ১ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছে, যা তাদের মোট বরাদ্দের ১০.৭৫ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তারা খরচ করেছে ১ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা।
এদিকে বাস্তবায়নের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে, ১৩.৯৭ শতাংশ। তারা খরচ করেছে ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ মনে করেন, গত অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়ন হার ছিল সবচেয়ে কম। চলতি বছরের শুরুতেও একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে এডিপি বাস্তবায়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ায় জানুয়ারি থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি আবারও শ্লথ হয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও জানান, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের হার বাড়ানোর জন্য বিশেষ নজরদারি চলছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বহুল আলোচিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান এলআর গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকেও অনুরূপ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
২১ ঘণ্টা আগেব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, অডিট টিমের তদন্ত শেষে অনিয়মের পূর্ণাঙ্গ চিত্র ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে ব্যাংকের পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে যাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনী শাস্তিমুলক ব্যবস্হার মুখোমুখি করা যায়।
১ দিন আগেবাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) সরকারি ক্রয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উচ্চ-পদস্থ নীতি নির্ধারণী কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে।
২ দিন আগে